কতটা বিলাসী ছিলেন লতা মঙ্গেশকার!
লতা মঙ্গেশকার - ছবি : সংগ্রহ
প্রথম গান রেকর্ড করে আয় করেছিলেন ২৫ রুপি। তখন তিনি মাত্র ১৩। তার পর থেকে কয়েক দশক ধরে অগণিত সঙ্গীতপ্রেমীকে সুরেলা জালে বেঁধে রেখেছেন লতা মঙ্গেশকার। রোববার ৯২ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন তিনি। ২৫ রুপি থেকে সেই কিশোরীর সম্পত্তির পরিমাণ ছাড়িয়েছিল ১০০ কোটিরও বেশি।
সাত দশক ধরে ছড়িয়ে থাকা সঙ্গীতজীবনে অজস্র সম্মানে ভূষিত হয়েছেন লতা মঙ্গেশকার। কঠোর পরিশ্রমকে পাথেয় করে সুরের জগতে নিজের জায়গা পাকা করে নিয়েছেন। ধীরে ধীরে বেড়েছে তার সম্পত্তির পরিমাণও। লতা মঙ্গেশকারের মালিকানাধীন সম্পত্তিতে কী কী রয়েছে?
লতা মঙ্গেশকারের ঘনিষ্ঠরা বলেন, বিলাসবহুল গাড়ি চড়তে পছন্দ করতেন শিল্পী। তার মধ্যে মার্সিডিজ বা ক্রাইসলারের মতো গাড়িও ছিল।
যদিও জীবনের গোড়ার দিকে বিলাসিতা তো দূরের কথা, সংসার চালানোই দায় ছিল লতাদের। ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এক মরাঠি পরিবারে লতার জন্ম।
১৩ বছর বয়সে মাথার উপর থেকে বাবা দীননাথ মঙ্গেশকারের ছত্রছায়া সরে গিয়েছিল। মরাঠি মঞ্চাভিনেতা এবং গায়ক দীননাথের মেয়ের কাঁধে তখন আশা, ঊষা, মীনা এবং হৃদয়নাথ-সহ গোটা সংসারের ভার। কম বয়সেই রোজগারের চেষ্টা শুরু করেন লতা।
১৯৪২ সালে মরাঠি ছবি ‘কিতী হসাল’-এ প্রথম গান রেকর্ড করে ২৫ রুপি উপার্জন করেছিলেন লতা মঙ্গেশকার। তার পর থেকে সাত দশকে ৩৬টি ভাষায় নেপথ্য গায়িকা। ফিল্ম ছাড়াও রয়েছে নানা আঙ্গিকের গানের সম্ভার। ধীরে ধীরে বেড়েছে পরিচিতি। সেই সাথে আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকে লতা মঙ্গেশকারের।
দক্ষিণ মুম্বইয়ের মতো অভিজাত এলাকায় একটি বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে লতা মঙ্গেশকারের। পেডার রোডে ‘প্রভুকুঞ্জ ভবন’ নামে সে বাংলো থেকে ততধিক বিলাসবহুল গাড়ি চড়ে বার হতেন তিনি।
নিজের গ্যারাজে ক্রাইসলার, শেভ্রোলে বা বিউয়িক-এর মতো আমেরিকান গাড়ি রাখতে পছন্দ করতেন লতা। ঘোরাফেরা বা কাজের জন্য সে সবেই যাতায়াত ছিল পরলোকগত শিল্পীর।
জেনারেল মোটরসের ওই গাড়িগুলোর ছাড়াও মার্সিডিজের প্রতি লতার ভালোবাসা অজানা নয়। বলিউডে জল্পনা, পরিচালক যশ চোপড়া ওই মার্সিডিজটি লতাকে উপহার দিয়েছিলেন।
অনেকে বলেন, শুধুমাত্র গানের রয়্যালটি থেকে বছরে পাঁচ কোটি রুপির আয় হতো লতার। সেই সঙ্গে নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগও ছিল তার। এ ছাড়াও প্রতি মাসে লতা ৪০ লক্ষ টাকার বেশি আয় করতেন বলে দাবি অনেকের।
লতার সম্পত্তির সঠিক পরিমাণ কত? তা নিয়ে নানা জনের নানা মত শোনা যায়। এ নিয়ে জল্পনাও বিস্তর।
অনেকে বলেন, লতার মোট সম্পত্তি ৩৬০ কোটি রুপির কাছাকাছি। তবে কারো দাবি, ২০২২ সাল পর্যন্ত তা ১২০ কোটি রুপির বেশি হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা