পাকিস্তানের চীন-আমেরিকান সমীকরণ

গৌতম দাস | Feb 05, 2022 04:02 pm
পাকিস্তানের চীন-আমেরিকান সমীকরণ

পাকিস্তানের চীন-আমেরিকান সমীকরণ - ছবি : সংগ্রহ

 

সেটা ছিল আমেরিকান স্টেট ডিপার্টমেন্ট মানে আমাদের ভাষায় আমেরিকান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইসের এক রেগুলার রুটিন প্রেস ব্রিফিং। কিন্তু ব্যাপারটা আর রুটিন থাকেনি। মনে হয়েছে তা ‘বিশেষ’ হয়ে গেছে। প্রাইস অন্য এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বলে বসেন, পাকিস্তান আমেরিকার স্ট্রাটেজিক পার্টনার- ‘পাকিস্তান ইজ এ স্ট্রাটেজিক পার্টনার অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস’।
পাকিস্তান অবশ্যই স্ট্রাটেজিক পার্টনার কিন্তু একালে কোনো কারণে সে কথা উঠে গেলেও সাথে বলে দেয়া হয় ওটা- পাস্ট টেনস- যেন বলা মানে এককালে ছিল। মানে চলতি একুশ শতকের শুরুতে আমেরিকার আফগানিস্তান দখল শুরু থেকে তা বাস্তবায়নের প্রয়োজনে সেই থেকে আমেরিকা পাকিস্তানকে ‘স্ট্রাটেজিক পার্টনার’ করে রেখেছিল, সেটা জোর জবরদস্তি করে হলেও!

তবে সেটা টিকে ছিল এবং অত্যন্ত সরবভাবে অন্তত ওবামা আমল মানে, ২০১৬ সালের শেষ পর্যন্ত যা এরপর থেকে ট্রাম্পের আমলে এসে অনুচ্চারিত হতে হতে ‘নাই’ হয়ে যায়। আর ট্রাম্পের আমলের আমেরিকার ব্যবহারিক আচরণ ও তৎপরতা দেখেই সবাই বুঝে গিয়েছিল ‘দিন বদলে গেছে’। কারণ, আমেরিকা তখন আফগানিস্তানে যুদ্ধের খরচ বইবার মুরোদহীন হতে হতে ভারে কাত হওয়া শুরু করেছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার আমেরিকার ব্যয় হাসিঠাট্টার ইস্যু নয় নিশ্চয়। আমেরিকার এই আচরণ যে ‘আফগানিস্তান ফেলে পালাতে পারলে বাঁচে’, এমন জায়গায় পৌঁছেছে তা তখন সবাই বুঝেছিল। ফলে ‘পাকিস্তান আর আমেরিকার স্ট্রাটেজিক পার্টনার’ তখনো কি না সেটা অনুচ্চারিত থাকাকেই সবার কাছে স্বাভাবিক ঠেকেছিল বা সয়ে গেছিল।

কিন্তু এখন মানে, প্রায় পাঁচ বছর পরে আবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র যিনি সাধারণত তার বিভাগের স্থায়ী কিছু অবস্থান-সিদ্ধান্তগুলোর উপরে দাঁড়িয়ে প্রেসের সাথে কথা বলেন, তিনি যখন পুনরায় সে কথা ফিরে উচ্চারণ করে বলেন- ‘পাকিস্তান আমেরিকার স্ট্রাটেজিক পার্টনার’, তখন তা একটা নড়েচড়ে বসে নজর করার মতো ঘটনা তো বটেই। শুধু তাই নয়, মানে এটা বিচ্ছিন্ন একটা বাক্য নয়। কারণ, শুধু ওই বাক্যটাই নয়। এর পরে তিনি ওই বাক্যকে ফিরে আরো শক্তপোক্ত করতে আরো কয়েকটা বাক্যও যোগ করেন।

 

ঘটনার শুরু যদিও ইন্ডিয়া থেকে
ঘটনার শুরু ইন্ডিয়া থেকে। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করে বলেছিলেন, ‘তার ভুল ও অবিবেচক কূটনীতির কারণে, চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক আগের চেয়ে এত বেশি ঘনিষ্ঠ পর্যায়ে গেছে।’ এদিকে, ভারতে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তরপ্রদেশসহ পাঁচ রাজ্যে প্রাদেশিক বা বিধানসভা নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। প্রায় এক মাস ধরে পাঁচ-পর্বে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে চলবে, পরে মাস শেষে একসাথে ফল প্রকাশ করা হবে। এই নির্বাচন ভারতের রাজনীতি এলোমেলো করে দেয়ার মতো এক মুখ্য ঘটনাও হয়ে যেতে পারে।। কারণ বিজেপি নিজেই প্রকাশ্যে নিজের মনের কথা বলেছে যে, এবারের উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে যদি বিজেপি হেরে যায় সেটা ২০২৪ সালের মোদির নির্বাচনে বিজয়ের ক্ষেত্রে বিরাট বাধা এবং প্রভাব ফেলবে; সে নির্বাচনে জেতা কঠিন হয়ে যাবে।

তবু এখনো এটা ভারতের জন্য যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক, গ্লোবাল পরিপ্রেক্ষিতে তা এখনো এক স্থানীয় ঘটনাই। বিরোধী রাহুল গান্ধী মোদি ও বিজেপিকে ঘায়েল করতে এমন মন্তব্য করেছেন- যেমনটা ইলেকশনে এমন কিছু কাদা ছোড়াছুড়ি হয়েই থাকে। কিন্তু মোদির পক্ষের লোক সেই ইস্যুটাকে আমেরিকান প্রেস ব্রিফিংয়ে তুলে সেখান থেকে জবাব এনে রাহুলের উপর আপার-হ্যান্ড নিতে চেয়েছিলেন সম্ভবত; আর তা থেকেই...।

আমেরিকান মুখপাত্র নেড প্রাইস ব্যাপারটাকে ভারতের এক স্থানীয় ঘটনাই করে রেখে পাশ কাটিয়ে যেতে পারতেন। কিছুটা করেও ছিলেন। তিনি বলেছিলেন তিনি চীন-পাকিস্তানের সম্পর্ককে তাদের ওপরই ছেড়ে দিয়ে রাখতে চান, এতে ঢুকতে চান না। তবে তিনি জানিয়ে দেন যে, রাহুলের বক্তব্যকে অনুমোদন দিয়ে তিনি এর পক্ষেও দাঁড়াচ্ছেন না।

কিন্তু তা থেকেই আরো উসকানিমূলক প্রশ্ন করার সুযোগ করে নেন প্রশ্নকর্তা; যেটাকে অনেকে ‘অ্যারেঞ্জড’ মানে আগে থেকে আগাম আঁতাত-বুঝাবুঝিতে থাকা উভয়ের এক সওয়াল-জবাব পরিস্থিতি তৈরি করে কথাবলা অনেকে মনে করতে পারেন। এটা খুব কমন যদিও খুব সীমিতভাবে এমনটা অনেক সময় হয়েই থাকে। তবে এটা সাংবাদিকের ‘তেলের ভাণ্ড’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন (নাকি তোয়াজ) করতে বসার মতো নয় অবশ্যই। তেমন মনে করা মারাত্মক ভুল হবে।
যা হোক সে প্রশ্নটা ছিল, পাকিস্তানের এমন দূরে চলে যাওয়া বা চীন-ঘনিষ্ঠ হয়ে যাওয়া কী- আমেরিকার তাদেরকে (বিশেষত পাকিস্তানকে) পরিত্যাগ করে ফেলে পালানোর জন্য ঘটছে কি না- এই প্রশ্ন তুলে বসেন।
আর এমন প্রশ্নের জবাব দেয়ার সুযোগ নিয়ে এবার যেন নেড প্রাইস তার নয়া বিস্তারিত মেসেজ হাজির করার সুযোগ নিলেন। আর তাতে তিনি মূলত আরো দু’টি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন।

এক. প্রাইস বলছেন, আমরা অনেক দিন থেকেই বলছি, ‘যেকোনো একটি দেশের জন্য তারা আমেরিকা না হলে চীনকে বেছে নিতে হবে, ব্যাপারটি একেবারেই এমন প্রয়োজনীয় নয়।’ তবে এর পরেই প্রাইস চীনের চেয়ে আমেরিকা কেন অন্য দেশের সাথে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে ভালো এবং তাদের অনেক বাড়তি সুবিধা ও সে দেশকে মুক্ত থাকতে দেয় এসব দিক নিয়ে নিজের কিছু বিজ্ঞাপনও প্রচার করে নেন।

দুই. এরপর প্রাইসের সেই উক্তি যে ‘পাকিস্তান আমেরিকার স্ট্রাটেজিক পার্টনার।’ আর এ কথা বলার পরে আরো দুই বাক্য হলো- ইসলামাবাদের সাথে আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক সম্পর্ক আছে। আর আমরা এই সম্পর্ককে বিভিন্ন পরিসরে খুবই মূল্য দিয়ে থাকি।’ অর্থাৎ তিনি যেন বলতে চাইছেন আমরা যেন এগুলোকে কথার কথা হিসেবে না, সিরিয়াস কথা বলে দেখি।

নেড প্রাইস কেন এখন এ কথাগুলো বলছেন
এখানে একটা ব্যাকগ্রাউন্ড বা যে পটভূমিতে এ কথাগুলো উঠেছে তা পাঠককে মনে করিয়ে দেই। সেই পটভূমিটা হলো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এখন চার দিনের (৩-৬ ফেব্রুয়ারি) চীন সফরে আছেন। এই মুখ্য কারণ চীনে আয়োজিত এবারের অলিম্পিক, এই গ্লোবাল স্পোর্টসে অন্যান্য সরকার প্রধানদের সাথে ইমরান খানের যোগ দিতে চীন সফর। আবার বিশেষত এই অলিম্পিককে বাইডেন আনুষ্ঠানিকভাবে বয়কটের ডাক দিয়েছেন। আর কারণ দেখিয়েছেন সেই পুরোনা উইঘুর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তিনিও জানেন যে, এমন বারবার একই কারণ দেখানোটা মানুষ ভালো মনে করছে না আর তিনি নিজেও এতে সিরিয়াস নন ও মন শক্ত না করে অস্পষ্টভাবে উইঘুরের কথা তুলছেন। এমন মনে হতে পারে যার কারণ হলো, উইঘুর সশস্ত্র গ্রুপ এখন আফগানিস্তানে তালেবানদের বিরুদ্ধবাদী আইএসের সাথে মিলে সশস্ত্র তৎপরতায় জড়িত হয়েছে। পাকিস্তানে এরা যে হামলায় জড়িত হয়েছে তাতে ভারত-আমেরিকার সমর্থনের অভিযোগ উঠেছে। ফলে উইঘুর কি ভিকটিম না আইএসের সহযোগী সন্ত্রাসী- এই প্রশ্ন এখন বাইডেনের সামনে ঝুলছে।

আমরা ইমরানের চীন সফরে ফিরে আসি। ইমরানের এবারের সফরের মুখ্য দিক অলিম্পিক নয়। তিনি এবার চীনা সরকারি অবকাঠামো বিনিয়োগ নিয়ে নয় বরং এবার বিপুল চীনা ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) মানে ব্যবসায় বিনিয়োগ নিয়ে ফিরবেন। সে কারণে পাকিস্তানের মিডিয়াগুলোতে একটাই নিউজ, ‘চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক এতে আরেক উচ্চতায় যাচ্ছে। এফডিআইকে আকর্ষণীয় সুবিধা হিসাবে দেখা হয় এজন্য যে, অবকাঠামো নির্মাণে কোনো দেশের সরকার বিদেশী ঋণ নেয়। কিন্তু এই এফডিআই বিনিয়োগ নেয়া ঋণ হলেও সরকার তা নেয় না। ফলে ঋণের বোঝা বাড়ায় না তো বটেই, উল্টা ঋণের বোঝা কমাতে বা পরিশোধে ওই বৈদেশিক মুদ্রা সেখানে সাহায্য করে। কারণ ওই বিনিয়োগ বিদেশী মুদ্রায়।

ক’দিন আগেই খুব কড়া শর্ত চাপিয়ে আইএমএফ পাকিস্তানে লোন ছাড় করতে রাজি হয়েছে। তাই অনুমান করা হচ্ছে চীন সেই ঋণ পরিশোধে পাকিস্তানকে এফডিআই জোগাড় করে দিয়ে সাহায্য করতে যাচ্ছে। সার কথায় পাকিস্তান তাহলে ইমরানের এই সফরের মাধ্যমে আরো গভীর সম্পর্কে চীনের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে।
অতএব সে জন্যই কি নেড পাইস ওই প্রেস ব্রিফিং থেকে নতুন সম্পর্ক সূচনার ইঙ্গিত দিচ্ছে?

কেন আমেরিকার পাকিস্তানকে খুবই দরকার
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ রয়টার্সের এক নিউজ বলছে, আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন তাদের সংসদের শুনানিতে কেন আমেরিকার পাকিস্তানকে জরুরি দরকার তা ব্যাখ্যা করেছেন। তবে তিনি পরিষ্কার করে রাখেন যে, পাকিস্তানের বহুবিধ স্বার্থ আছে যেগুলোর অনেকই আফগানিস্তানে আমেরিকার স্বার্থের সাথে মেলে। যেমন আমেরিকা চাইবে অন্তত তালেবানদের গাইড করা এবং তালেবানের প্রতিদ্বন্দ্বী যেসব আরো রেডিক্যাল ইসলামী সশস্ত্র গ্রুপ আছে তাদের নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদিতে পাকিস্তান তাদের সহায়তা করুক। এ কারণে পাকিস্তান আমেরিকার কাছে প্রয়োজনীয় এবং তাই পার্টনার হতে পারে।

কিন্তু ব্যবহারিক জায়গায় পাকিস্তান-আমেরিকা সম্পর্ক থমকে দাঁড়িয়ে আছে। সেই অক্টোবর ২০২১ সালে আমেরিকান উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যানের সফরের পর থেকে কিছুই যেন নড়েনি। সেটা গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত না থাকা মানে, সে কাজ এক অস্থায়ী রাষ্ট্রদূত দিয়ে চালানোতেই প্রকাশ পায়- এমন মনোভাব প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের এক থিংকট্যাংক গবেষক।

আসলে সোজাসাপ্টা বললে, বাইডেন প্রশাসন সম্ভবত ইমরানের এই লম্বা চীন সফরে খুবই অস্বস্তি ও বিরূপ অবস্থায় পড়েছেন। যেমন, যদি পাকিস্তানকে তাদের এত দরকারি মনে হয় তবে গত অক্টোবরের পর থেকে আমেরিকার আগ্রহ অগ্রগতির প্রকাশ নাই কেন? আসলে এ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা নেই বাইডেন প্রশাসনের হাতে। তাই খুব সম্ভবত শুভ-ইঙ্গিত বা বন্ধুত্বের ইঙ্গিত করতেই হয়তো নেড প্রাইসের এই ‘আমরা এখনো স্ট্রাটেজিক পার্টনার’ বক্তব্য! তবে প্রাইসের আচরণের এই ব্যাখ্যা আমাদের আরো নিশ্চিত হতে হবে। মানে, এখনো নিশ্চিত বলে ধরে নেয়া ঠিক হবে বা তবে আরো মনিটর করতে হবে।

কিন্তু যেটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, নেড প্রাইস একটা ইঙ্গিতে যেন বলে ফেলেছেন যে, আমাদের মতো দেশ চীনের সাথে বিনিয়োগ পাওয়ার সূত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার পরও সমান্তরালে আমেরিকার সাথেও অন্য ইস্যুতে তবে উভয়ের অভিন্ন স্বার্থে একসাথে কাজের সম্পর্ক করতে পারি।

এমন অনুমানের ভিত্তি হলো, আফগানিস্তান বা অন্য কোনো ইস্যুতে আমেরিকার কাছে এখনো যদি পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক জরুরি হয়ে থাকে তবে আমেরিকা সেই স্বার্থ হাসিল করার একমাত্র উপায় হলো, চীন-পাকিস্তান সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর হলেও সমান্তরালে পাকিস্তান-আমেরিকা সম্পর্ক যতটুকু এগিয়ে নেয়ার বা করে নেয়ার সুযোগ আছে তা কাজে লাগানো।
তা না হলে ইসলামাবাদের আমেরিকার সাথেও সম্পর্ক করতে চীনের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে টান টান উত্তেজনা ও চাপ অনুভব করার কিছু নেই। নেড প্রাইসের এই নতুন রাস্তার কোনো কারণ নেই।


তাহলে আমরা কি আসলে পাকিস্তান-আমেরিকার সম্পর্ক বুঝার জন্য এত কথা বলছি? না, মোটেও তা নয়। বাংলাদেশের আমেরিকার সাথেও সম্পর্কিত হতে হলে আগে থেকেই চীনের সাথে আমাদের সম্পর্ক থাকা নিয়ে টান টান উত্তেজনা ও চাপ অনুভব করার কিছুই নেই- ব্যাপারটা এমন কিনা বা কতটুকু- এটা জানাই আমাদের মূল আগ্রহ এবং এত কথা!

লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
goutamdas1958@hotmail.com


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us