রশিদকে খেলা শেখাতে গিয়ে দু’বার চাকরি খুইয়ে ছিলেন বাবা
রশিদকে খেলা শেখাতে গিয়ে দু’বার চাকরি খুইয়ে ছিলেন বাবা - ছবি : সংগ্রহ
ভারতীয় ক্রিকেট দল যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠেছে। আর এর পেছনে অবদান রেখেছেন রশিদ। আবার রশিদের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পিছনে তার বাবার অবদান বিশাল। প্রতি দিন স্কুটার করে ১২ কিলোমিটার দূরে অনুশীলন করাতে নিয়ে যেতেন ছেলেকে।
বুধবার জুনিয়র বিশ্বকাপে যশ ঢুলের সঙ্গে ভারতকে বড় রানের ইনিংস গড়তে সাহায্য করেছিলেন তিনি। কিন্তু অধিনায়ক শতরান পেলেও শাইক রশিদকে শতরান থেকে থামতে হলো মাত্র ৬ রান দূরে। যশ আউট হওয়ার পরের বলেই ফিরে যান তিনি। তবে দলের জয়ের পিছনে তার অবদানও কম নয়। পুরস্কার নিতে গিয়ে অধিনায়কের প্রশংসাও পেয়েছেন রশিদ। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ আরো এক তারার আলো দেখতে পেল বুধবার।
রশিদের ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পিছনে তার বাবা শাইক বালিশাভল্লির অবদান বিশাল। প্রতি দিন স্কুটার করে ১২ কিলোমিটার দূরে অনুশীলন করাতে নিয়ে যেতেন ছেলেকে। সেটি ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের শহরতলি মণ্ডলগিরিতে অন্ধ্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাকাডেমি। ক্রিকেটের প্রয়া কিছুই না জানা বালিশাভল্লির কাজে যেতে দেরি হয়ে যেত প্রায়ই। দু’বার চাকরি হারাতে হয় তাকে। বালিশাভল্লি বলেন, “দেরি করে কাজে যাওয়ার জন্য অন্তত দু’বার আমাকে কাজে আসতে বারণ করে দেয়া হয়েছিল।”
বল ছুড়ে নিজে ছেলেকে অনুশীলন করানোর পর ৪০ কিলোমিটার দূরে রাজ্য স্তরের কোচেদের কাছে অনুশীলন করাতেও নিয়ে যেতেন বালিশাভল্লি। এক সংবাদমাধ্যমকে রশিদের বাবা বলেন, “ক্রিকেট বলগুলোর দাম ছিল ৪০০ টাকা করে। খেলার সরঞ্জামও খুব দামী। তাই বল ছুড়ে যখন অনুশীলন করাতাম, তখন সিন্থেটিক বল ব্যবহার করতাম। ওই দামে তিন, চারটা বল হয়ে যেত।”
বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে রশিদ বলেন, “বাবা কখনো আমাকে খরচের কথা জানতেই দেয়নি। আমি জানতাম খুব সহজ নয়, কিন্তু বাবা ঠিক টাকা যোগাড় করে ফেলত আমার খেলার জন্য।” বালিশাভল্লির এক বন্ধু রশিদের খেলা দেখেন এবং বুঝতে পারেন তার প্রতিভা। তিনি রশিদের ক্রিকেট খেলার খরচ বহন করেন। বালিশাভল্লি বলেন, “আমার বন্ধু ইন্দ্রসেনা রেড্ডি পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। ও হায়দরাবাদের একজন চিকিৎসক। কখনো আমাকে সাহায্য করার আগে দু’বার ভাবেনি।”
বয়সভিত্তিক খেলায় এক বার সুযোগ পাওয়ার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি রশিদকে। ২০১৮-১৯ সালে বিজয় মার্চেন্ট অনূর্ধ্ব ১৬ ক্রিকেটে তিন নম্বরে ব্যাট করে নজর কাড়েন তিনি। ছয় ম্যাচে ৬৭৪ রানে করেন। অপরাজিত ২০০-সহ তিনটি শতরানের ইনিংস ছিল তার। এই মরসুমে বিনু মাঁকড় (অনূর্ধ্ব ১৯) প্রতিযোগিতায় ছয় ম্যাচে ৩৭৬ রান করেন তিনি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
টেনিসকে কি এ বার বিদায় জানাতে বাধ্য হবেন রজার ফেডেরার
বেশ কিছু দিন ধরে চোটে ভুগছেন। দু’বছরের মধ্যে তিন বার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। একের পর এক টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন। ভক্তদের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তবে কি এ বার টেনিসকে বিদায় জানাতে চলেছেন ২০ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক রজার ফেডেরার? তিনি নিজেও এখনো জানেন না ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে। তবে এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে তিনি সেটা জানতে পারবেন বলেই মনে করছেন ফেডেরার।
এক ভিডিয়ো বার্তায় ফেডেরার বলেন, ‘‘আমি আবার কোর্টে ফিরে আমার সেরাটা দিতে চাই। সামনের কয়েকটা মাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে জানতে পারব ভবিষ্যতে আর কোর্টে নামতে পারব কি না। কিন্তু এখনও আমার মধ্যে খেলার ইচ্ছা একই রকম রয়েছে।’’
ইতিমধ্যে তিনি প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফেডেরার। তিনি বলেন, ‘‘আমি জিমে যাওয়া শুরু করেছি। চিকিৎসকরা যে ভাবে বলছেন সে ভাবেই পরিশ্রম করছি। আমি আরো পরিশ্রম করতে চাই। কিন্তু আমার শরীর আমাকে সেটা করতে দিচ্ছে না।’’
২০২০ সালে মাত্র ছ’টি ম্যাচ খেলেন রজার। সে বছর দু’বার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয় তার। গত বছর ১৩টি ম্যাচ খেলেন তিনি। জুলাই মাসে উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায়ের পরে আর খেলেননি। আরো এক বার অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে ফেডেরারকে। তার পর থেকে রিহ্যাবেই রয়েছেন তিনি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা