খেয়েই যেতে হয় বাথরুমে? কেন হয় এমন!

অন্য এক দিগন্ত | Feb 03, 2022 02:56 pm
খেয়েই যেতে হয় বাথরুমে? কেন হয় এমন!

খেয়েই যেতে হয় বাথরুমে? কেন হয় এমন! - ছবি : সংগ্রহ

 

খাবার পেটে পড়ার সাথে সাথে পেটে মোচড়। সাধারণত এরকম পরিস্থিতিতে ভাবা হয় যে প্রতিদিনের খাবার খাওয়ার সাথে সাথে তা বেরিয়ে যাওয়াটা আসলে ভালোই। কিন্তু ডাক্তাররা অন্য কথা বলছেন। তাদের মতে, শরীরের এই নিয়ম শুধু খারাপই না, অস্বাস্থ্যকরও। প্রতিটা মানুষের খাবার খাওয়ার পর ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর শরীর তার বর্জ্য পদার্থ বের করে। কিন্তু তার আগেই যদি বেরিয়ে যায় তাহলে তার সাথে সথে তার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা উচিৎ।

কিভাবে হয়

গ্যাস্ট্রকোলিক রিফ্লেক্স হলো একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, যা মানুষের মল ত্যাগের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এই রিফ্লেস্কে যদি সমস্যা তৈরি হয় তখনই খাবার খাওয়ার পর পরই মল ত্যাগের বেগ আসে। যারা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের সমস্যায় ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে এটা বেশি দেখা যায়।

কেন এই সমস্যা হয়?

অনেকের বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা থেকে এটি শুরু হয়। যেমন, যাদের কোনো খাবারে অ্যালার্জি আছে, বা গ্যাসের সমস্যা আছে বা যাদের আগের থেকে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম আছে তাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। আবার অনেক সময় ডায়াবেটিসও এই রোগটি বাড়াতে পারে। এছাড়া যারা অতিরিক্ত ধূমপান করেন, বা অ্যালকোহল সেবন করেন তাদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। শরীরকে এক্সারসাইজের মধ্যে রাখলে আবার এই সমস্যা কমেও যেতে পারে। কিন্তু যারা কাজের মাঝে নিজের শরীরের প্রতি নজর দেন না তাদের ভবিষ্যতে গিয়ে এই রোগটি আরো বাড়তে পারে।

মুক্তির উপায়

ডাক্তারের কাছে গেলে তারা অ্যান্টি স্পাস্মডিক্সের মতো ওষুধ খেতে বলেন যা গ্যাস্ট্রকোলিক রিফ্লেক্স নিয়ন্ত্রণ করে। তবে ওষুধ ছাড়া এই রোগের উপশম পেতে হলে মেনে চলতে হবে সঠিক ডায়েট। রাস্তার খাবার বা কোনও ঝাল খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কেউ যদি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট হয় অর্থাৎ দুধ এবং দুধজাতীয় খাবারে সমস্যা হয়, তাহলে সেইগুলোও খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। পরিমাণ মতো পানি খাওয়া থেকে শুরু করে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম খুব প্রয়োজনীয়। সঠিক ডায়েট, সাথে এক্সারসাইজ এই রোগের একমাত্র উপশম।
নিউরোলজিয়া কী?

নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে স্নায়ুর কোনো সমস্যা৷ কিন্তু আসলে নিউরোলজিয়া কী? রক্তের ব্যধির কারণেও নিউরোলজিয়া হতে পারে৷ এবং নিউরোলজিয়া হলো এমন একটি অসুখ যেখানে আপনার স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং স্নায়ুর পথে তীব্র ব্যথা হয়। এটি আপনার মুখ এবং ঘাড়ে গুরুতর জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। যেকোনো সময় ব্যথা অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে৷

কেন হয় নিউরোলজিয়া?

নিউরোলজিয়া কোনও একটি কারণে ঘটে না। স্নায়ুর ক্ষতি, রাসায়নিকের প্রতিক্রিয়া, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস, হার্পিস জোস্টার, এইচআইভি/এইডস, সিফিলিসের সংক্রমণের মতো এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। রক্তের অসুখ, নিকটবর্তী হাড়, লিগামেন্ট বা রক্তনালী দ্বারা স্নায়ুর উপর চাপের কারণে এটি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, মূল কারণ শনাক্ত করা যায় না।

কিভাবে বুঝবেন আপনার নিউরোলজিয়া আছে?

আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট স্নায়ুর পথে মুখের উপর চরম ব্যথা অনুভব করেন, তবে এটি স্নায়ুতন্ত্রের কারণেই হতে পারে। হয়তো মুখ স্পর্শ করলেই চাপ বা ব্যথা অনুভব করেন যা অসহনীয়। ব্যথা স্থায়ী হয় না। এটি আসে এবং যায় এবং যখন আসে ছুরিকাঘাতের মনে হয়৷। নড়াচড়ার সঙ্গে এটি আরও খারাপ হতে পারে। আপনি এমনও অনুভব করতে পারেন যেন আপনার মুখ অবশ হয়ে গেছে। যদি আপনি এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি অনুভব করেন তবে আপনাকে অবশ্যই এটি এখনই পরীক্ষা করাতে হবে।

সূত্র : নিউজ ১৮

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us