ডিমেনশিয়া এড়াতে ৬ পরামর্শ
ডিমেনশিয়া এড়াতে ৬ পরামর্শ - ছবি : সংগ্রহ
ডিমেনশিয়ার সাথে লড়ছেন বিশ্বব্যাপী ৫৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ। প্রতি বছর প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন এই রোগে, জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বিশ্বে এখন মৃত্যুর সপ্তম প্রধান কারণ এই ডিমেনশিয়া। বয়স্ক ব্যক্তিদের অক্ষমতা এবং নির্ভরতা বাড়িয়ে তোলার এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা আগামী ৩০ বছরে তিন গুণ বাড়বে বলে আশঙ্কা। ২০১৯ সালে ডব্লিউএইচও-র পরিচালক ডা. টেড্রোস অ্যাডানম ঘেব্রেয়েসাস জানিয়েছেন, আগামী ৩০ বছরে ডিমেনশিয়া আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা তিনগুণ হবে বলে আশঙ্কা। তাই হার্ট আর মস্তিষ্ক ভালো রাখতে, রোগের ঝুঁকি কমাতে সতর্ক হওয়া উচিত।
“ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমানোর জন্য আমাদের যা যা করা যায় তাই করতে হবে। সংগৃহীত বৈজ্ঞানিক প্রমাণগুলি থেকে মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে আমাদের হার্টের জন্য যা যা ভালো, তা আমাদের মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী,” বলেন WHO প্রধান। আশার খবর একটাই, যদি স্বাস্থ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করা যায় তবে ৪০ ভাগ ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ বা বিলম্বিত করা যেতে পারে।
ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস ইউকে) জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে এমন প্রমাণ মিলেছে। শুধু ডিমেনশিয়া নয়, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
NHS UK ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে এমন কিছু অভ্যাসের কথাও জানিয়েছে। সেগুলি হলো
* স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্য খান
* স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন
* নিয়মিত ব্যায়াম করুন
* মদ পরিহার করুন
* ধূমপান ছেড়ে দিন
* রক্তচাপের সঠিক মাত্রা বজায় রাখুন
কানাডার অ্যালঝাইমার সোসাইটি প্রস্তাবিত আরো কয়েকটি কৌশল বা পরামর্শ রয়েছে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের দীর্ঘমেয়াদি দেখভালের জন্য, অন্যান্য রোগের ঝুঁকি হ্রাস কমাতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে রক্ষা করতে হলে মেনে চলুন এই
পরামর্শগুলো :
* সামাজিক জীবনে সক্রিয় থাকুন
* ক্রস-ট্রেনিং করতে পারেন বা মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করতে থাকুন
* চাপ কমান
* কাজের মধ্যে থাকুন।
ফ্রিজ ছাড়াই যেভাবে দীর্ঘদিন তরতাজা রাখতে পারেন ফল-সবজি
আমাদের গৃহস্থালিতে, সব সময়ই ফ্রিজের সবজির বাক্সে সবজি এবং ফল রাখতে দেখা যায়৷ শুধু তাই নয়, রান্নাঘর কিংবা ডাইনিং টেবিলেও সবজি ও ফল দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু যদি ফ্রিজ না থাকে? তাছাড়া হাজার হোক, জিনিসটা যন্ত্র বই তো আর কিছু নয়, খারাপ হয়ে যেতে আর কতক্ষণ! হয়ে গেলে সেটা আবার বেশ কয়েক দিনের ধাক্কা, যত দিন না সারিয়ে বাড়িতে আসছে, তত দিন কাজ চলবে কী করে? মাথায় রাখা দরকার একটা কথা- ফ্রিজ আসার আগে আমরা কী করতাম? এক্ষেত্রে কিছু কৌশল জেনে নেয়া যাক যার মাধ্যমে আমরা রেফ্রিজারেটর ছাড়াই শাকসবজি এবং ফল তাজা এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে পারব।
যা মনে রাখতে হবে...
১. পেয়াঁজ, আলু, রসুন, টমেটোর মতো সবজি ফ্রিজে রাখলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এই ধরনের সবজি ঠান্ডা, শুকনো জায়গায় রাখতে হবে।
২. আবার আম, কলা, অ্যাভোকাডো, কিউই, নাশপাতি এবং টম্যাটোর মতো কিছু ফল পাকার সাথে সাথে ইথিলিন গ্যাস তৈরি করে। ইথিলিন আপেল, ব্রকোলি, গাজর, তরমুজ এবং শাক-সবজির মতো ইথিলিন-সংবেদনশীল খাবারকে আগে পাকাতে পারে। তাই এই দুই ধরনের সবজি কখনই একসাথে রাখা উচিত নয়।
৩. অন্য দিকে, বেরি এবং আহুরের মতো কিছু ফল খাওয়ার আগেই ধোয়া উচিত, ধুয়ে রাখা চলবে না। কারণ ভিজে গেলে আর্দ্রতায় এই ধরনের ফলগুলো তাড়াতাড়ি বেশি পেকে যায়।
৪. সবুজ শাকসবজি খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তাই যেকোনো শাক তাজা রাখতে সামান্য বাতাস ভরা ব্যাগে ঠিকমতো মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে।
৫. সাইট্রাস ফল যেমন লেবু, কমলালেবু, তেঁতুল এবং পাতিলেবু অন্যান্য ফলের চেয়ে বেশিদিন ভালো থাকে৷ এই টক ফলগুলি ছিদ্রযুক্ত প্লাস্টিকের ব্যাগে করে একটি রোদ আসে না এমন ঠান্ডা জায়গায় রাখলে দীর্ঘদিন ভালো থাকে।
৬. সবশেষে একথা বলা যায় যে ফ্রিজ না থাকলে রেফ্রিজারেটেড সবজি না কেনাই ভালো৷ কেন না, সুপারমার্কেটে যে সব সবজি কিংবা ফল ফ্রিজে আগে থেকে রাখা থাকে সেগুলো বাড়িতে এনেও ফ্রিজে না রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে।
সূত্র : নিউজ ১৮