মোদির ভুলে চীন-পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ হয়েছে!
নরেন্দ্র মোদি - ছবি : সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম বিষয় ছিল যে চীন এবং পাকিস্তানকে আলাদা রাখতে হবে। কিন্তু দুই প্রতিবেশী দেশকে একসাথে নিয়ে এসেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। যা দেশের মানুষের প্রতি সবচেয়ে বড় অপরাধ। বুধবার ভারতীয় পার্লামেন্টে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণের প্রেক্ষিতে ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রস্তাবে এমনই দাবি করলেন কংগ্রেস এমপি ও দলটির সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী।
কী কী বলেছেন রাহুল, তা দেখে নিন একনজরে -
রাহুল : চীনের কাছে স্পষ্ট রূপরেখা আছে যে তারা কী করতে চায়। ওরা অত্যন্ত স্পষ্ট। মৌলিকভাবে ভারতের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম কৌশলগত নীতি ছিল যে চীন এবং পাকিস্তানকে আলাদা রাখতে হবে। কিন্তু এই নরেন্দ্র মোদি সরকারই চীন এবং পাকিস্তানকে একসাথে নিয়ে এসেছে। বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে বড়সড় ভুল করেছে মোদি সরকার। কোনো আকাশ-কুসুম ভাবনায় মেতে থাকবেন না। আমাদের সামনে যে শক্তি দাঁড়িয়ে আছে, সেটা হালকাভাবে নেবেন না। দেশের মানুষের প্রতি এটা আপনাদের সবথেকে বড় অপরাধ। চীনের যে পরিকল্পনা আছে, তার ভিত্তি তৈরি হয়েছে ডোকলাম এবং লাদাখে। যা দেশ হিসেবে ভারতের সামনে বড়সড় ঝুঁকি আমরা জম্মু ও কাশ্মিরে বড়সড় ভুল করেছি। আপনারা বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে বড়সড় ভুল করেছেন। এই ভুল শোধরাতে হবে। আমরা সাংঘাতিক ভুল করেছি। আমাদের চীনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে আমার প্রিয় দেশ বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
রাহুল : আমাদের দেশের মূলভিত্তির সঙ্গে ছেলেখেলা করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং বিজেপি। তারা আমাদের দেশে মূলভিত্তিকে দুর্বল করে তুলছে। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে সংযোগকে দুর্বল করে দিচ্ছে ওরা। বিভিন্ন ভাষার মধ্যে সংযোগ নষ্ট করে দিচ্ছে। একজনও ভারতীয় যুবক-যুবতী চাকরি না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশকে দুর্বল আরো করছে। ১০ বছর আগেও ভারতের যা অবস্থা ছিল, তার থেকেও বেশি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। নিজেদের প্রশ্ন করুন। কেন প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে একজনও অতিথি আসেননি, সেই প্রশ্নটা নিজেদের করুন। অবাক হবেন না। নিজেদের প্রশ্ন করুন। আদতে বিষয়টা হচ্ছে যে ভারত আজ পুরোপুরি একা হয়ে গিয়েছে। চারদিক থেকে ঘিরে রাখা হয়েছে। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার এবং চীনের দ্বারা ঘিরে আছে ভারত। আমরা দুর্বল হয়ে গিয়েছে।
রাহুল : দুটি ভারত তৈরি হয়ে গিয়েছে। একটি অত্যন্ত ধনীদের জন্য। যাদের প্রচুর টাকা, ক্ষমতা আছে। যাদের চাকরি চাই না। যাদের পানি এবং বিদ্যুতের সংযোগ চাই না। অপর ভারত হচ্ছে গরিবদের জন্য। ধনী এবং গরিবদের মধ্যে বৈষম্য ক্রমশ বাড়ছে।
রাহুল : আপনারা 'মেড ইন ইন্ডিয়া'-র কথা বলেন। কিন্তু এখন 'মেড ইন ইন্ডিয়া' হতেই পারবে না। বিষয়টা শেষ হয়ে গেছে। কারণ 'মেড ইন ইন্ডিয়ায়' আদতে কারা আছেন? আছে ছোটো-মাঝারি শিল্প এবং অসংগঠিত ক্ষেত্র। যাদের আপনারা শেষ করে দিয়েছেন। তাই এখন 'মেড ইন ইন্ডিয়া' সম্ভবই নয়।
রাহুল : রাষ্ট্রপতির ভাষণে বেকারত্ব নিয়ে একটাও শব্দ খরচ করা হয়নি। দেশের যুবপ্রজন্ম চাকরির জন্য হাপিত্যেশ করে বসে আছেন। আপনাদের সরকার তা দিতে পারেনি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস