‘নতুন’ ওমিক্রন আরো বেশি সংক্রমক!
‘নতুন’ ওমিক্রন আরো বেশি সংক্রমক! - ছবি : সংগৃহীত
এমনকি, আগে যদি কেউ মৃদু উপসর্গ সমেত ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তা হলেও যে তিনি নিস্তার পাবেন তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই
করোনাভাইরাসের ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন যে গতিতে সংক্রমণ বিস্তার করছিল, তা চিন্তা বাড়িয়েছিল বিশেষজ্ঞদের। তবে তা দ্বিগুণ করে তুলেছে ওমিক্রনের সাম্প্রতিকতম সংস্করণ বা ভেরিয়েন্ট। ফলে করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ নতুন মাত্রা পেল।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ওমিক্রনের এই ‘নতুন’ সংস্করণের সংক্রমণ ক্ষমতা নাকি সহজেই টেক্কা দিচ্ছে প্রাথমিক সংস্করণটিকেও! এমনকি, আগে যদি কেউ মৃদু উপসর্গ সমেত ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তা হলেও যে তিনি নিস্তার পাবেন তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, তার শরীরে ভবিষ্যতে সংক্রমণ এড়ানোর মতো যথেষ্ট অ্যান্টিবডি না থাকারই আশঙ্কা বেশি। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়ার করা এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
অনেকেই মনে করছিলেন, ওমিক্রনের ঢেউ কাটিয়ে উঠলেই হয়তো এই বৈশ্বিক মহামারীর কামড় ধীরে ধীরে কমবে। তবে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোয় অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের প্রকাশিত এই তথ্য সামনে আসার পর তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। অনলাইনে প্রকাশিত ওই রিপোর্ট বলা হয়েছে, টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়া ব্যক্তিরাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন। ওমিক্রনের প্রাথমিক সংস্করণের ক্ষেত্রে বেশির ভাগের শরীরেই মৃদু উপসর্গ থাকছে বলেই দেখা গেছে। কিছু দিন পরে তারা সুস্থও হয়ে উঠছেন। তবে চিন্তার বিষয় এই যে ওমিক্রনের সাম্প্রতিকতম সংস্করণ ছাড় দিচ্ছে না ইতিমধ্যেই ওমিক্রনকে জয় করা ব্যক্তিদেরও। কারণ, এই সংস্করণটির সংক্রমণ ক্ষমতাকে টেক্কা দেয়ার মতো প্রয়োজনীয় পরিমাণ অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হচ্ছে না তাদের। ফলে ফের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই।
যদিও এখনো এই গবেষণার ‘পিয়ার রিভিউ’ বা পর্যালোচনা বাকি তা সত্ত্বেও এতে গুরুত্ব দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। পাশাপাশি ওমিক্রনের সেকেন্ড জেনারেশন ভেরিয়েন্ট হিসাবে পরিচিত ‘বিএ.২’ নিয়েও ডেনমার্কের ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহাগেন-এর একটি রিপোর্ট কপালে ভাঁজ ফেলেছে তাদের।
অন্য একটি পর্যালোচনায় আবার উঠে এসেছে আরো একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মাঝে ডেনমার্কের ৮৫৪১টি পরিবার থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওমিক্রনের ‘বিএ.২’ ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত কমপক্ষে ৩৯ ভাগ মানুষ পরিবারের বাকিদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন। ওমিক্রনের আগের সংস্করণের ক্ষেত্রে যা ছিল ২৯ ভাগ। যদিও এই রিপোর্টিরও বিস্তারিত পর্যালোচনা বাকি।
এ দিকে, বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া মডার্নার টিকা ‘স্পাইকভ্যাক্স’ ব্যবহারের জন্য পূর্ণ ছাড়পত্র দিয়েছে আমেরিকার নিয়ামক সংস্থা ‘দ্য ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ)। তবে আপাতত এই অনুমোদন মিলেছে শুধু ১৮ বছর বা তার ঊর্ধ্বদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা