ছানি রোগের চিকিৎসা

অধ্যাপক ডা: এম নজরুল ইসলাম | Feb 01, 2022 01:59 pm
ছানি রোগ

ছানি রোগ - ছবি : সংগ্রহ

 

১০ অক্টোবর ২০১৩ বিশ্বব্যাপী পালন করা হলো বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইন্টারন্যশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেসের উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয়। এ বছরে এই দিবসের উদ্দেশ্য ছিল ইউনিভার্সাল আই হেলথ বা সর্বজনীন চক্ষু চিকিৎসা সেবা। এ বছর এই বিশ্ব দৃষ্টি দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘গেট ইউর আইজ টেস্টেড’ বা ‘আপনার চোখ পরীক্ষা করুন।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অ্যাকশন প্লানে রয়েছে প্রিভেনশন অব অ্যাভয়েডঅ্যাবল ব্লাইন্ডনেস বা পরিহারজনিত অন্ধত্বের প্রতিরোধ করা। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পরিহারজনিত অন্ধত্বের মধ্যে রয়েছে চোখের ছানি, গ্লকোমা, কর্নিয়া অন্ধত্ব, ডায়াবেটিস ও বয়সজনিত অন্ধত্ব।

চোখের ছানি
বর্তমান বিশ্বে অন্ধত্বের মূল কারণ হচ্ছে চোখের ছানি এবং এর জটিলতা। বাংলাদেশেও অন্ধত্বের প্রধান কারণ ছানি। চোখের লেন্স বা এই লেন্সের আবরণ ঘোলা হয়ে যাওয়াকে ছানি বা ক্যাটারাক্ট বলা হয়। সাধারণত ৬০-৮০ বছর বয়সেই ছানি পড়তে দেখা যায়। তবে চোখের আঘাত, চোখের বিভিন্ন প্রদাহ ইত্যাদি নানা কারণে যে কোনো সময় এবং যে কোনো বয়সে চোখের ছানি পড়তে পারে। ডায়াবেটিস ও শারীরিক কিছু অসুখে অতি অল্প বয়সেও চোখের ছানি হতে পারে।

চোখের ছানির আধুনিক চিকিৎসা: ছানির একমাত্র চিকিৎসা অপারেশন। তবে অপারেশনের মধ্যে নানারকম পদ্ধতি রয়েছে। প্রাচীনকালে কাউচিং পদ্ধতিতে চোখের ঘোলা লেন্স বা ছানিকে চোখের জলীয় পদার্থ ভিট্রিয়াসের মধ্যে ফেলে দেয়া হতো। এতে রোগীরা হয়তো এক হাতের মধ্যে কিছু কিছু দেখতে পেতেন।

পরবর্তীতে ছানি অপারেশনের পর যাতে স্বাভাবিক দেখা যায় তার জন্য যুগান্তকারী অপারেশন ইন্ট্রাঅকুলার লেন্স (ওঙখ) ইমপ্লান্ট শুরু হল। ১৯৫১ সালে ইংল্যান্ডে ডা: হ্যারল্ড রিডলি প্রথমে চোখের ছানি ফেলে দিয়ে সেখানে প্লাস্টিকের তৈরি কৃত্রিম লেন্স বসিয়ে দেন। পরবর্তীতে অনেক গবেষণার পর আইওএল-এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে কয়েক শ' চক্ষু বিশেষজ্ঞ আইওএল ইমপ্লান্ট অপারেশনে পারদর্শী। বর্তমান যুগে অপারেশনে আরো ভালো দেখার জন্য করা হচ্ছে ফ্যাকো সার্জারি। চোখের লেন্সকে আল্ট্রাসনিক শক্তির সাহায্যে গলিয়ে বের করে আনার নাম হচ্ছে ফ্যাকো ইমালসিফিকেশন সংক্ষেপে ফ্যাকো সার্জারি। ফ্যাকো মেশিনের সাহায্যে চোখের লেন্সকে গলিয়ে নরম করে বের করে আনা হয়। এই পদ্ধতিতে সাধারণ ছানি অপারেশনের মতো চোখের প্রায় অর্ধেক কাটার প্রয়োজন হয় না। চোখের পাশে ছোট একটি ছিদ্র করে ওই মেশিনের সাহায্যে ছানিকে ইমালছিফাই করা হয় বা গলিয়ে আনা হয়। আবার ওই একই পথ দিয়ে ভাঁজ করা যায় বা ফোল্ডঅ্যাবল নরম কৃত্রিম লেন্স বসানো হয়। ওই ছিদ্রপথে সাধারণত কোনো সেলাইয়ের প্রয়োজন হয় না।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us