সবুজ আপেলে এত উপকার!
সবুজ আপেল - ছবি : সংগ্রহ
শরীরের জন্য লাল আপেল যে কত উপকারী, সে আমরা সবাই জানি৷ কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না সুবজ আপেলও পুষ্টিগুণে ঠাসা৷ তুল্যমূল্য বিচার করলে লাল ও সবুজ, দুই আপেলই উপকারিতার দিক থেকে একই৷ আসুন, জেনে নিই সবুজ আপেলের কী কী উপকারিতা আছে-
চোখের স্বাস্থ্য
সবুজ আপেলে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ৷ রোজ একটি করে সবুজ আপেল খেলে চোখে দুর্বলতা ও শুষ্কতা দূর হয়৷
মধুমেহ রোগী
লাল আপেলের তুলনায় সবুজ আপেলে শর্করার পরিমাণ কম৷ এছাড়া এতে প্রচুর ফাইবারও রয়েছে৷ তাই টাইপ-টু ডায়াবেটিস রোধে সবুজ আপেল খুবই উপকারী৷
সুস্থ ফুসফুস
সবুজ আপেলের ফ্ল্যাভোনয়েড আমাদের ফুসফুস ভালো রাখে৷ হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায় অনেকাংশে৷ তাই শীতে ফুসফুস ভালো রাখার জন্য খেতে হবে সবুজ আপেল৷
কোষ্ঠকাঠিন্যসহ পেটের অন্যান্য সমস্যা
প্রচুর ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ পেটের অন্যান্য সমস্যা থেকে রেহাই মেলে সবুজ আপেলের পুষ্টিগুণে৷ সবুজ আপেলের যৌগ পেক্টিন পেটে উপকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে সাহায্য করে৷ তাই পরিপাক ক্রিয়া স্বাস্থ্যকর রাখতে নিয়মিত সবুজ আপেল খান৷
মজবুত হাড়
সবুজ আপেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে৷ তাই রোজ একটি করে সবুজ আপেল খেলে হাড় ও দাঁত মজবুত হয়৷
স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক
বিভিন্ন রকম ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না সবুজ আপেল৷
সূত্র : নিউজ১৮
খাওয়ার পরই পানি খাচ্ছেন? বিপদ ডেকে আনছেন না তো
ভরপেট খাওয়াদাওয়া করার পর কিছুটা পানি পান করার অভ্যাস আমাদের অনেকের মধ্যেই রয়েছে। তা ছাড়া অনেক সময় অভিভাবকেরাও বাচ্চাদের শেখান, খাবার খাওয়ার পর পানি খেলে সেই খাদ্য তাড়াতাড়ি পৌঁছয় পাচনতন্ত্রে। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে, খাদ্য গ্রহণের অব্যবহিত পরেই পানি পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।
বিশেষজ্ঞ এবং পুষ্টিবিদদের মতে, খাওয়ার সময় বা তার ঠিক আগে বা পরে পানিতে চুমুক দেয়া ভালো নয়। কারণ আপনি যখন খাওয়ার আগে বা পরে খুব তাড়াতাড়ি পানি পান করেন, তখন এটি আপনার হজমে অসুবিধা সৃষ্টি করে এবং দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
খাবার আমাদের পাকস্থলীতে অপাচ্য অবস্থায় থেকে গেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এর ফলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে, যেমন ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি, কোলেস্টের্ল বা ট্রাইগ্লিসারাইড বৃদ্ধি ইত্যাদি। অপাচ্য খাবার থেকে গ্লুকোজ চর্বিতে রূপান্তরিত হয় এবং শরীরে জমা হয়। এর থেকে মুক্তির জন্য সঠিক সময়ে পানি পান করা জরুরি। তাই চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যে, খাওয়ার আগে এবং পরে উভয় ক্ষেত্রেই অন্তত আধ ঘণ্টা সময় পানি না খেতে।
তারা আরো বলেন যে খাওয়ার ঠিক পরেই পানি পান করলে খাবার হজম হতে যে স্বাভাবিক সময় লাগে তা বিঘ্নিত হয়। ফলে প্রত্যাশিত সময়ের থেকে দ্রুত ক্ষুধার্ত বোধ করে অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায় অনেক সময়। যা মেদবাহুল্যের সৃষ্টি করে। এ ছাড়াও আমাদের পাকস্থলী পানি শোষণে সমর্থ, কিন্তু খাদ্য গ্রহণের পরে অতিরিক্ত পানি পান হজমের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেচকগুলোর ঘনত্ব কমিয়ে দেয়। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।