চীনকে ভয় দেখাতে গিয়ে নিজেই বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র!
চীনকে ভয় দেখাতে গিয়ে নিজেই বিপাকে যুক্তরাষ্ট্র! - ছবি : সংগ্রহ
কয়েক দিন আগেই দক্ষিণ চিন সাগরে ভেঙে পড়েছিল একটি মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ-৩৫। সেই যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করতে অভিযান শুরু করেছে আমেরিকা। মার্কিনিদের আশঙ্কা, এই যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেলে আমেরিকার অত্যাধুনিক গোপন প্রযুক্তি হাতে চলে আসতে পারে চীনের। আর তাই দ্রুত গতিতে অভিযান সম্পন্ন করতে মরিয়া মার্কিন নৌবাহিনী।
মার্কিন যুদ্ধবিমান বাহক জাহাজ ইউএসএস কার্ল ভিনসনে অবতরণ করার সময় ভেঙে পড়েছিল এফ-৩৫ বিমানটি। রুটিন অপারেশনের সময়ই ওই যুদ্ধবিমানটি ভেঙে পড়ে। তবে এভাবে যুদ্ধবিমানটির ভেঙে পড়ার নেপথ্যে আসল কারণ সম্পর্কে এখনো মুখ খোলেনি পেন্টাগন। ঘটনায় সাতজন আহত হন বলে জানা যায়। সাতজন আহত নাবিককে ম্যানিলা ও ফিলিপাইনে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
ইউএসএস কার্ল ভিনসন ও ইউএসএস অ্যাব্রাহাম লিঙ্কন এই দুই মার্কিন এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার গত কয়েক দিন ধরে অবস্থান করছে দক্ষিণ চিন সাগরে। মার্কিন নৌবাহিনী রোববার দক্ষিণ চিন সাগরে একটি প্রশিক্ষণমূলক মহড়া চালায়। তাইওয়ান নিয়ে চীন-আমেরিকার সংঘাত বাড়তেই এই অঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীর তত্পরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বিষয়টিকে ভালো নজরে নিচ্ছে না বেইজিং। এই পরিস্থিতিতে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি পাল্টা তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে।
এই আবহে কয়েক দিন আগে জাপানের সাথে এক পর্ব নৌমহড়া সম্পন্ন করেছে আমেরিকা। গত সপ্তাহে মার্কিন-জাপান নৌ মহড়া চলেছিল ফিলিপাইন সাগরে। আর চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ চিন সাগরে অবস্থান করছে মার্কিন যুদ্ধবিমান বাহক জাহাজগুলো। তবে এক দুর্ঘটনার জেরে এবার চীনকে চোখ রাঙাতে গিয়ে নিজেরাই বিপাকে পড়ল আমেরিকা।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
বেলারুশে সু-৩৫ জঙ্গি বিমান পাঠাল রাশিয়া
বেলারুশে অসংখ্য সু-৩৫ জঙ্গি বিমান পাঠিয়েছে রাশিয়া। বুধবার একটি যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়ার জন্য এসব বিমান পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বেলারুশ ও রাশিয়ার যৌথ সংগঠন ‘দ্যা ইউনিয়ন স্টেট’-এর একটি সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়ার জন্য ওই সু-৩৫ জঙ্গি বিমানগুলোকে পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয়টি জানানো হয়নি যে কতকগুলো জঙ্গি বিমান সেখানে পাঠানো হয়েছে। এ যৌথ সামরিক মহড়া চালানো হচ্ছে মূলত দু’দেশের যুদ্ধ-প্রস্তুতির বিষয়টি নিরূপণ করতে।
এর আগে গত সপ্তাহে রাশিয়া তাদের এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যব্স্থা পাঠিয়েছে বেলারুশে। যাতে করে এ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যব্স্থা ওই যৌথ সামরিক মহড়ায় ব্যবহার করা যায়।
বেলারুশ ও রাশিয়ার যুদ্ধ-প্রস্তুতির বিষয়টি নিরূপণ করা হবে দু’স্তরে। প্রথম স্তর ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এ স্তরে বেলারুশ ও রাশিয়ার সেনাদের একটি যৌথ সেনাদল গঠন করা হবে। তাদের দায়িত্ব হবে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও সামরিক অবকাঠামো রক্ষা করা। একইসাথে আকাশসীমা রক্ষা করার দায়িত্বও দেয়া হবে।
দ্বিতীয় স্তরে একটি যৌথ সামরিক মহড়া চালানো হবে, যার নাম হলো ‘অ্যালাইড ডিটারমিনেশেন-২০২২।’ এ যৌথ সামরিক মহড়া ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এ মহড়ার মাধ্যমে চেষ্টা করা হবে কিভাবে বাইরের আক্রমণ প্রতিরোধ করা হবে তা রপ্ত করা। এ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে দু’দেশের স্বার্থ রক্ষা ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র : ইয়েনি শাফাক