বিয়ে করার জন্যই ব্যাটে রান নেই কোহলির!
বিয়ে করার জন্যই ব্যাটে রান নেই কোহলির! - ছবি : সংগৃহীত
শোয়েব আরো জানিয়েছেন, টিমের ক্যাপ্টেনের একমাত্র অবসরের পরেই বিয়ে করা উচিত। 'অধিনায়ক হিসেবে অনেক চিন্তাভাবনা করতে হয়। আমি মোটেই বিয়ের বিরোধী নই। তবে খেলার সময় একদম চাপমুক্ত হয়ে মাঠে নামা উচিত। যাতে নির্বিঘ্নে পিছুটানহীনভাবে খেলা যায়। আমিও অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরার পরে বিয়ে করি। ক্যাপ্টেন হিসেবে মিডিয়াকে প্রতিনিয়ত ফেস করতে হয়, ব্র্যান্ড বুঝতে হয়। এগুলো অধিনায়কত্বের সাথে সাথে আসে।'
ভারতের সদ্য সাবেক হওয়া অধিনায়ক বিরাট কোহলির ব্যাটে দুই বছর সেঞ্চুরি নেই। পুরোনো ফর্মে বহু দিনই পাওয়া যায়নি তাকে। বিরাট কোহলির এই ফর্মহীনতার জন্য নাকি দায়ী বলিউড অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মার সাথে তার বিয়ে। এমনটাই এবার দাবি করে বসলেন স্বয়ং পাকিস্তানি গ্রেট শোয়েব আখতার।
ওয়ানডে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার এক মাস পরে কোহলি নিজেই সরে গিয়েছেন টেস্ট নেতৃত্ব থেকে। এমন ঘটনার প্রেক্ষাপটে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শোয়েব আখতার জানিয়েছেন, তিনি কোনো দিনই কোহলির নেতৃত্বের পক্ষে ছিলেন না। বরং কোহলি আরো সেঞ্চুরি করুক, ব্যাটিংয়ে ফোকাস করুক, এটাই চেয়েছেন।
দৈনিক জাগরণ-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে শোয়েব আখতার জানিয়ে দিয়েছেন, 'বিরাট মোটেই নেতৃত্ব ছাড়েনি। বরং ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। সময়টা মোটেই তার জন্য ভালো যাচ্ছে না। তবে তাকে প্রমাণ করতে হবে, ও কী করার সামর্থ্য রাখে। তাকে দেখাতে হবে ওর মধ্যে লোহা নাকি স্টিলের মানসিকতা রয়েছে।'
বর্তমানে লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে অংশ নিতে ওমানে তিনি। শোয়েব আরো জানিয়েছেন, কোহলির উচিত ছিল সাততাড়াতাড়ি বিয়ে না করে আরো রান করে যাওয়ায় মনোনিবেশ করা।
তিনি বলেন, 'কোহলির জায়গায় আমি থাকলে বিয়ে করতাম না। আমি স্রেফ রান করেই আনন্দ করতাম ম্যাচের পর ম্যাচ। কারণ এই ১০-১২ বছর জীবনে আর ফিরে আসবে না। বিয়ে করা যে ভুল, সেটা মোটেই বলছি না। তবে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলার সময় টিমকেই সবসময় প্রাধান্য দেয়া উচিত। কোহলিকে সমর্থকরা তুমুল ভালোবাসে। টানা ১০-২০ বছর যাতে সমর্থকদের ভালোবাসা সে পেতে পারে, সেটাই তার নিশ্চিত করা উচিত ছিল।' জানিয়েছেন শোয়েব।
এরপরেই স্পিডস্টার বলে দেন, বিয়ের চাপেই কোহলির অফ ফর্ম অব্যাহত, 'পরিবারের চাপ থাকে। বাচ্চাকাচ্চার চাপ থাকে। এই দায়িত্ব বাড়ার সাথে সাথেই চাপ বাড়তে থাকে। ক্রিকেটারদের কেরিয়ার খুব বেশি হলে ১৪-১৫ বছরের বেশি হয় না। এর মধ্যে পাঁচ-ছয় বছর সেরা ফর্মে থাকতে হবে। সেই সময় বিরাট পেরিয়ে এসেছে। তাই এখন তার স্ট্রাগলিং পিরিয়ড চলছে।'
শোয়েব আরো জানিয়েছেন, টিমের ক্যাপ্টেনের একমাত্র অবসরের পরেই বিয়ে করা উচিত। 'অধিনায়ক হিসেবে অনেক চিন্তাভাবনা করতে হয়। আমি মোটেই বিয়ের বিরোধী নই। তবে খেলার সময় একদম চাপমুক্ত হয়ে মাঠে নামা উচিত। যাতে নির্বিঘ্নে পিছুটানহীনভাবে খেলা যায়। আমিও অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরার পরে বিয়ে করি। ক্যাপ্টেন হিসেবে মিডিয়াকে প্রতিনিয়ত ফেস করতে হয়, ব্র্যান্ড বুঝতে হয়। এগুলো অধিনায়কত্বের সাথে সাথে আসে।'
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস