কাশ্মিরের গোলাপি চায়ের কত উপকার
কাশ্মিরের গোলাপি চা - ছবি : সংগ্রহ
গোলাপি চায়ের রং কিভাবে পরিবর্তিত হয়? একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকার প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কাশ্মিরি চায়ে পলিফেনল অনেকটা ফেনোলসালফথালেইনের মতো কাজ করে।
দুধ চা,লাল চা, লেবু চা কত ধরনের চা আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু যদি বলি গোলাপি চা? তাহলে চমকে উঠবেন তো? ভূস্বর্গ কাশ্মিরে এবং হিমালয় সন্নিহিত স্থানে এই গোলাপি চা অত্যন্ত জনপ্রিয়। শুধু মাত্র চা নয়, এর সঙ্গে রয়েছে সুস্বাস্থ্যের সন্ধান।
জানলে অবাক হবেন, বর্তমানে হিমালয়ের উপত্যকা ছাড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক রান্নাঘরেই পৌঁছে গেছে গোলাপি চা। অনেকে বলেন নুন চা আবার অনেকেই চেনেন গুলাবি চা হিসেবে।
কাশ্মীরের জনগণের মতে, গোলাপি চা-পানের উপকারিতাও আছে। এর মূল উপকরণগুলো হলো গ্রিন টি, লবণ ও বেকিং সোডা। এই চায়ে লবণ থাকায় পান করলে ডিহাইড্রেশন কম হয়
গোলাপি চায়ে লবণ ও বেকিং সোডা ছাড়াও ফ্লেভারের জন্য মেশানো হয় স্টার অ্যানিস। অনেকে আবার মেশান আধা ভাঙা বাদাম। গোলাপি চায়ের স্বাদ ও তৈরির পদ্ধতিও ভিন্ন।
কি করে বানাবেন
প্রয়োজন
১ লিটার পানি, ২ টেবিল চামচ গ্রিন টি, ৩ টি এলাচ, ১ টি স্টার অ্যানিস, ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা, কয়েক টুকরা বরফ, ১ কাপ তরল দুধ, ১ টেবিল চামচ চিনি (ইচ্ছুক), ১ টেবিল চামচ মালাই, ১ টেবিল চামচ পেস্তা বাদাম কুচি
প্রণালি
ওভেনে প্যান বসিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। এবার এতে গ্রিন টি, এলাচ, স্টার অ্যানিস মিশিয়ে বার বার নাড়ুন। ১০ থেকে ১২ মিনিট পর বেকিং সোডা মিশিয়ে নাড়তে থাকুন যেন এতে ফেনা সৃষ্টি হয়। এবার কয়েক টুকরো বরফ মিশিয়ে আরো কিছুক্ষণ জ্বাল দিন।
চায়ের রঙ গাঢ় মেরুন হলে ছেঁকে নামিয়ে নিন। কাপে দুধ ও চিনি মিশিয়ে নিন। যদিও এই চায়ে চিনি ব্যবহার করা হয়না, তবে কেউ চাইলে ব্যবহার করতে পারেন।
এই দুধে চায়ের লিকার ঢেলে দিয়ে মেশালেই চায়ের রঙ গোলাপি হয়ে যাবে। সবশেষে মালাই আর পেস্তাবাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার কাশ্মিরি গোলাপি চা।
বানানোর পর এই চায়ের লিকার ১ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। মূলত, এই চা তৈরিতে কাশ্মিরি চা পাতা ব্যবহার করা হয়। তবে সাধারণ গ্রিন টি দিয়েও তা তৈরি করা যায়
গোলাপি চা তৈরি করতে হলে দক্ষ হাতের প্রয়োজন। এর পেছনেও আছে বৈজ্ঞানিক যুক্তি। হালকা অ্যাসিডিক এই চায়ে অম্লরোধে সাহায্য করে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট (বেকিং সোডা)।
গোলাপি চায়ের রং কিভাবে পরিবর্তিত হয়? একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকার প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কাশ্মিরি চায়ে পলিফেনল অনেকটা ফেনোলসালফথালেইনের মতো কাজ করে।
সূত্র : পুবের কলম