ওমিক্রনে লং কোভিড! কিভাবে বুঝবেন?
ওমিক্রনে লং কোভিড! কিভাবে বুঝবেন? - ছবি : সংগ্রহ
করোনাভাইরাসের মারাত্মক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ মৃদু বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ একবার হলে শারীরিক জটিলতা নানাভাবে দেখা দিতে পারে বলেই সতর্ক করছেন দেশ-বিদেশের চিকিৎসকরা। ফলে করোনা সংক্রমণকে হালকাভাবে না নেয়ার পরামর্শই দেয়া হচ্ছে দেশে দেশে। হালকা ঠান্ডা লাগার মতোই ভেবে করোনাকে অবহেলা করবেন না। কারণ, এই অসুস্থতা দীর্ঘ দিনের সঙ্গী হতে পারে।
এক দফা সুস্থ হয়ে যাওয়ার তিন মাস পরও করোনা রোগীদের শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। চিকিৎসকরা এই ধরনের সমস্যাকেই ‘লং কোভিড’ বলে থাকেন।
লং কোভিডের উপসর্গ কী?
সব দেশেই দেখা গিয়েছে যে বহু করোনা রোগী সেরে ওঠার মাস তিন-চার পরও আগের মতো স্বাদ-গন্ধ পাচ্ছেন না। ডেল্টা রূপের করোনার দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার পর অনেকের গন্ধের অনুভূতি ফিরতে অনেকের সময় লেগে গিয়েছে প্রায় তিন-চার মাস। তাও সম্পূর্ণ ফেরেনি।
এ ছাড়াও, ক্লান্তি, পিঠে ব্যথা, মাথা ব্যথার মতো সমস্যা অনেকেই অনেক দিন পর্যন্ত অনুভব করেছেন। কোনো কোনো রোগীর উদ্বেগের সমস্যা বেড়েছে। আর যাদের কাশি হয়েছে, তা ছাড়তে লেগে গিয়েছে মাসের পর মাস।
ওমিক্রনের পর লং কোভিডের উপসর্গ কি আলাদা?
ওমিক্রনের সংক্রমণ সবে ছড়াতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশে। তাই কোনো দেশের চিকিৎসকই এখনো ওমিক্রন সংক্রান্ত নির্দিষ্ট উপসর্গের কথা আলাদা করে বলছেন না। তবে ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়ে সেরে ওঠা অনেকেই কাশি না যাওয়ার কথা বলছেন। রোগীদের ক্লান্তিও কাটছে না বলে জানাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের চিকিৎসক।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
উচ্চ কোলস্টেরলে হতে পারে আলঝেইমার
নুরে আলম সিদ্দিক
যাদের রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা বেশি ছিল তাদের মস্তিষ্কে প্ল্যাকের পরিমাণ বেশি। প্ল্যাক হল স্নায়ুর মধ্যে জমা হওয়া অ্যামাইলয়েড। আলঝেইমার আক্রান্তদের মস্তিষ্কে প্ল্যাক পাওয়া যায়
কোলস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে এটি সবাই জানে। কিন্তু সম্প্রতি নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কোলস্টেরলের মাত্রার সাথে আলঝেইমার রোগের সম্পর্ক আছে। আমেরিকান একাডেমি অব নিউরোলজির জার্নাল নিউরোলজিতে এ মাসের ১৩ তারিখে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে- রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি বাড়ে। জাপানের একদল গবেষক এ গবেষণা করেন। এ গবেষকদলের নেতৃত্ব দেন ফুকোকার কিয়োশু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের ড. কানসুকি সাসাকি। ৪০-৭৯ বছরের দুই হাজার ৫৮৭ জন ব্যক্তিকে ১০-১৫ বছর নিয়মিত ফলোআপে রাখা হয়।
এ সময়ের মধ্যে ১৪৭ জন মারা যান। এদের মধ্যে মৃত্যুর আগে স্মৃতিভ্রমে আক্রান্ত হন ৫০ জন। মরার পর তাদের ময়নাতদন্ত করা হয়। দেখা যায় যাদের রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা বেশি ছিল তাদের মস্তিষ্কে প্ল্যাকের পরিমাণ বেশি। প্ল্যাক হলো স্নায়ুর মধ্যে জমা হওয়া অ্যামাইলয়েড।
আলঝেইমার আক্রান্তদের মস্তিষ্কে প্ল্যাক পাওয়া যায়। গবেষণায় আরো দেখা যায়, যারা স্মৃতিভ্রমে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশির ভাগের কোলস্টেরলের মাত্রা বেশি ছিল।
এ গবেষণার ব্যাপারে ড. কানসুকি সাসাকি বলেন, রক্তে উচ্চ কোলস্টেরলের মাত্রা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মস্তিষ্কে প্ল্যাক জমা হওয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু কোলস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করে আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধ করা যায় না।