উচ্চ কোলস্টেরলে হতে পারে আলঝেইমার
উচ্চ কোলস্টেরলে হতে পারে আলঝেইমার - ছবি : সংগ্রহ
যাদের রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা বেশি ছিল তাদের মস্তিষ্কে প্ল্যাকের পরিমাণ বেশি। প্ল্যাক হল স্নœায়ুর মধ্যে জমা হওয়া অ্যামাইলয়েড। আলঝেইমার আক্রান্তদের মস্তিষ্কে প্ল্যাক পাওয়া যায়
কোলস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে এটি সবাই জানে। কিন্তু সম্প্রতি নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কোলস্টেরলের মাত্রার সাথে আলঝেইমার রোগের সম্পর্ক আছে। আমেরিকান একাডেমি অব নিউরোলজির জার্নাল নিউরোলজিতে এ মাসের ১৩ তারিখে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে- রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি বাড়ে। জাপানের একদল গবেষক এ গবেষণা করেন। এ গবেষকদলের নেতৃত্ব দেন ফুকোকার কিয়োশু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের ড. কানসুকি সাসাকি। ৪০-৭৯ বছরের দুই হাজার ৫৮৭ জন ব্যক্তিকে ১০-১৫ বছর নিয়মিত ফলোআপে রাখা হয়।
এ সময়ের মধ্যে ১৪৭ জন মারা যান। এদের মধ্যে মৃত্যুর আগে স্মৃতিভ্রমে আক্রান্ত হন ৫০ জন। মরার পর তাদের ময়নাতদন্ত করা হয়। দেখা যায় যাদের রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা বেশি ছিল তাদের মস্তিষ্কে প্ল্যাকের পরিমাণ বেশি। প্ল্যাক হল স্নায়ুর মধ্যে জমা হওয়া অ্যামাইলয়েড।
আলঝেইমার আক্রান্তদের মস্তিষ্কে প্ল্যাক পাওয়া যায়। গবেষণায় আরো দেখা যায়, যারা স্মৃতিভ্রমে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশির ভাগের কোলস্টেরলের মাত্রা বেশি ছিল।
এ গবেষণার ব্যাপারে ড. কানসুকি সাসাকি বলেন, রক্তে উচ্চ কোলস্টেরলের মাত্রা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মস্তিষ্কে প্ল্যাক জমা হওয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু কোলস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করে আলঝেইমার রোগ প্রতিরোধ করা যায় না।
যে ৪টি অভ্যাস বাড়াতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি
গড়ে প্রতি চারজন ২৫ বছরের বেশি বয়সি মানুষের মধ্যে একজন আক্রান্ত হন স্ট্রোকে। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে অসংখ্য প্রাণ কেড়ে নেয় এই মারণ রোগ। তবুও অসচেতনতার অন্ত নেই জনমানসে। দেখে নিন কী কী অভ্যাস বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের ঝুঁকি।
১। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস আশি শতাংশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি। অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার বাড়ায় স্ট্রোকের আশঙ্কা। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। যারা আগে থেকেই ঝুঁকি সম্পন্ন, তাদের ডিমের কুসুম ও গোশত খাওয়া ছাড়তে হতে পারে।
২। অলসতা
শরীরচর্চার অভাব ও সারাদিন শুয়ে-বসে থাকা ডেকে আনে এই রোগ। অলস জীবনযাপনে বাড়ে ওজন, কমে পেশী ও হাড়ের সক্ষমতা। বিপাকের হারেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
৩। ধূমপান
ধূমপানের ফলে শরীরে অসংখ্য ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করে। এমনকি, পরোক্ষ ধূমপানেও প্রবল ক্ষতি হয় শরীরের। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা যায় কমে। ফলে ফুসফুসের পাশাপাশি ক্ষতি হয় সংবহনতন্ত্রেরও।
৪। মদ্যপান
মদ্যপান অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের অন্যতম কারণ। অ্যালকোহল শিরা ও ধমনীর স্থিতিস্থাপকতাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যা স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ।
তবে এই চারটি কারণ ছাড়াও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হলো সচেতনতার অভাব ও নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করা। যাদের উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বা ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা আছে, বা সংবহনতন্ত্রে রয়েছে কোনো গোলযোগ তাদের নিয়মিত শরীরের খেয়াল রাখা দরকার। অনেক ক্ষেত্রেই এই উপসর্গগুলোকে উপেক্ষা করাই ডেকে আনতে পারে মহা বিপদ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা