পিঠের ব্যথা কমছেই না? কী করবেন
পিঠের ব্যথা কমছেই না? কী করবেন - ছবি : সংগ্রহ
করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে সব কিছুই এখন ডিজিটাল মাধ্যমের উপর নির্ভরশীল। পড়াশোনা থেকে বাজার দোকান- সব কিছুই সামলানো যাচ্ছে ফোন কিংবা কম্পিউটারের পর্দায়। ফলে কায়িক শ্রম খানিক কম হচ্ছে। অনেকেই আবার সময়ের অভাবে বাড়িতেও শরীরচর্চা করে উঠতে পারেন না। সব কিছুর ফলে পিঠে ব্যথার সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। সমস্ত বয়সের মানুষের মধ্যেই এই সমস্যার পরিমাণ বাড়ছে। ৯০ শতাংশ মানুষের পিঠে ব্যথার প্রধান কারণ— এক জায়গায় অনেক ক্ষণ বসে থাকা। তবে এই সমস্যার তাৎক্ষণিক উপশমও হতে পারে, এমন কিছু উপায় আছে। সেগুলি কী কী?
১) চেষ্টা করুন, ঘুমোনোর সময় মাথার নিচে বালিশ না নিতে।
২) নিয়মিত শবাসন, ভুজঙ্গাসন, মকরাসন প্রভৃতি শরীরচর্চা করলে পিঠের ব্যথা কমে।
৩) অফিসের কাজ করার সময়ে একই জায়গায় এবং একই ভঙ্গিতে অনেক ক্ষণ বসে থাকবেন না। প্রতি ২০ মিনিট অন্তর বিরতি নিতে পারেন। উঠে দাঁড়ান, হাঁটাচলা করুন।
চিনি খাওয়া কমালে ঘুম ভালো হয়!
অনেকেই মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। তাই মাঝেমধ্যে বিভিন্ন খাবারের সাথে চিনি ঢোকে শরীরে। আবার সচেতনভাবে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করেন কেউ কেউ। চিনি দেয়া কোনো খাবার খেতে চান না। বিশেষ করে যে সব পরিবারে ডায়াবেটিসের রোগীরা রয়েছেন, তেমন পরিবারের বাকি সদস্যদের মনেও ভয় ঢুকে যায়। এর সাথে রয়েছে ওজন কমানোর ইচ্ছা। সব মিলে চিনি খাওয়া বন্ধ করার চেষ্টা অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু সকলে পেরে ওঠেন না। বহু সময়ে তো বোঝাই যায় না, কোন খাবারে লুকিয়ে রয়েছে চিনি।
কিন্তু সত্যি যদি চিনি খাওয়া একেবারে বন্ধ করা যায়, তবে কী হতে পারে, তা-ও তো জানা দরকার।
ডায়াবেটিসের আশঙ্কা তো কমেই, তার সাথে আরো একটি বড় সমস্যা কমে। চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে ঘুম ভালো হয়। ফলে যাদের ঘুম না হওয়ার সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই অভ্যাস বেশ কার্যকর হতে পারে।
ঘুম ভালো হলে কাজের ইচ্ছাও বাড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্মক্ষমতা এক বারে অনেকটা বেড়ে যায় শুধু চিনি খাওয়া ছাড়তে পারলে।
সব মিলে শরীর এবং মন দুইয়ের উপরেই প্রভাব ফেলে এই অভ্যাস। ঘুম ভালো হলে এবং কাজের ক্ষমতা বাড়লে শরীর তো ভালো থাকেই, মনও থাকে সতেজ।
কোভিড আক্রান্ত থাকাকালীন শুকনো কাশি ভোগাচ্ছে? কী ভাবে পাবেন উপশম
দেশ এবং রাজ্যে ক্রমশ উদ্বেগজনক হচ্ছে কোভিড পরিস্থিতি। দৈনিক সংক্রমণের হারও বেশ ঊর্ধ্বমুখী। ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে কম সক্রিয় হলেও অনেক বেশি সংক্রামক। মৃদু উপসর্গ নিয়ে নিভৃতবাসে থাকা রোগীর সংখ্যাই বেশি। সাম্প্রতিক করোনা স্ফীতিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম। তবে সচেতন না থাকলে যেকোনও মুহূর্তে জটিলতা বাড়তে পারে।
কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, শরীরে ব্যথা সহ বিভিন্ন উপসর্গ লক্ষণীয়। চিকিৎসকরা বারেবারেই বলেছেন যে উপসর্গ যতই মৃদু হোক তা হালকা ভাবে নেওয়া যাবে না।
ল্যানসেটের গবেষণা অনুসারে, কোভিডে আক্রান্ত প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের প্রাথমিক উপসর্গ হল শুষ্ক কাশি।
এই সময় শুষ্ক কাশি অত্যন্ত কষ্টদায়ক এবং অস্বস্তিকর। করোনা আক্রান্ত থাকাকালীন ঘন ঘন এই শুষ্ক কাশির দমক ওঠে। সেই মুহূর্তে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মত অ্যান্টিবায়োটিক খান। সাময়িক ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করলেও কিছু সময় পর ফের শুকনো কাশি শুরু হতে পারে।
শুকনো কাশিকে বাগে আনতে আরও একটি ঘরোয়া উপায় আছে। এক বার কাশি শুরু হলে বা তার আগেই গরম জলে দিয়ে গার্গল করতে পারেন। সারাদিনে অন্তত বার চারেক গার্গেল করলে আরাম পাবেন গলায়। শুকনো কাশির প্রবণতাও ধীরে ধীরে কমবে।
করোনা বা ওমিক্রনের মতো ভাইরাস জাতীয় রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। শুধুমাত্র ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কাজে আসতে পারে। শুকনো কাশি বা সর্দির ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ খুব একটা কাজ করে না।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা