প্রেসিডেন্ট সালেহ এবং মালদ্বীপে ভারতের স্বার্থ
ইব্রাহিম সালেহ - ছবি : সংগৃহীত
নির্বাচনের পর থেকেই মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সালিহকে মালদ্বীপবাসী নতুন দিল্লির নতুন ‘ইয়েস ম্যান’ নামে অভিহিত করছেন। ভারতের স্বার্থে অন্ধ হওয়ার কারণে মালদ্বীপবাসী তাকে এই উপাধি দিয়েছেন।
২০২১ সালের ১২ নভেম্বর কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে সে দেশে ভারতীয় সামরিক উপস্থিতি ও দেশটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও এমন বিক্ষোভ হয়েছে। জনগণ দেশটির শাসকগোষ্ঠীর ভারতমুখী হওয়ার বিরোধিতা করছেন। তারা স্লোগান তুলেছেন, ‘ভারতীয় সামরিক বাহিনী মালদ্বীপ থেকে ভাগো’। ১২ নভেম্বরের বিক্ষোভই ছিল দ্বীপ দেশটিতে নতুন সরকার গঠনের পর থেকে সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী প্রতিবাদ। শুধু রাজধানী মালেতেই নয়, দেশের অন্যত্রও প্রতিবাদকারীরা একই রকম প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছেন। ৫ লাখ ৪০ হাজারের কিছু বেশি অধিবাসীর এই দেশে সরকার যদিও প্রতিবাদকারীদের বিক্ষোভকে গুরুত্ব দিচ্ছে না কিন্তু প্রতিবাদকারীদের ‘ভারত ভাগো’, ‘ভারতীয় সামরিক বাহিনী ভাগো’, ‘মালদ্বীপকে সমর্থন করো’ নামের হ্যাশট্যাগগুলো ছিল মালদ্বীপের সোশ্যাল মিডিয়ার শীর্ষ ট্রেন্ডিং।
মালদ্বীপ এশিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এটল গঠিত দ্বীপ। দেশ মালের আয়তন ৩০০ বর্গ কিলোমিটার। দেশটি ছোট হলেও এর ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ মালদ্বীপ থেকে ভারত মহাসাগরে অথবা এই অঞ্চলের দেশগুলোতে নজরদারি করা সহজ। মালদ্বীপ থেকে ১১৭৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ব্রিটিশদের দখলে থাকা ছোট দ্বীপ দিয়েগো গার্সিয়া যেখানে ব্রিটিশ ও আমেরিকান নৌঘাঁটি রয়েছে। মোতায়েন করা রয়েছে শত শত বিমান। ঠিক এ কারণেই মালদ্বীপের গুরুত্ব বেড়েছে চীনাদের কাছে এবং ভারতের কাছে মালদ্বীপের গুরুত্ব বেড়েছে দেশটিতে চীনাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কারণে। আবার আমেরিকানদের নজরেই রয়েছে মালদ্বীপ। সে কারণে দ্বীপ দেশটির সামরিক গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে।
মালদ্বীপ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে উষ্ণ সম্পর্ক ছিল এবং রয়েছে। এর অন্যতম একটি কারণ হলো- ভারতীয় ট্যুরিস্টদের মালদ্বীপ ভ্রমণ। প্রতি বছর এক থেকে দেড় লাখ ভারতীয় মালদ্বীপ ঘুরতে আসেন।
মালদ্বীপের আয়ের পুরো অর্থই আসে পর্যটন থেকে। তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক দিল্লির আগ্রাসী নীতি এবং মালদ্বীপে ও এই অঞ্চলে ভারতের অবৈধ হস্তক্ষেপের কারণে মালদ্বীপবাসী ক্রমেই ভারতের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণু হয়ে উঠছেন। চীনের সাথে মালদ্বীপের সম্পর্ক সেখানে প্রচুর বিনিয়োগের কারণে। এই বিনিয়োগের কারণে বর্তমান আবদুুল্লøাহ সালিহর সরকার ‘ভারত প্রথম’ নীতি ঘোষণা করলেও তারা চীনাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারছে না। ভারতীয়দের বিরুদ্ধে মালদ্বীপের বর্তমান শাসকদলের উষ্ণ সম্পর্ক থাকলেও সাধারণ জনগণ ক্রমেই ভারতের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ। অন্য দিকে, জনগণের বিশাল অংশ চীনাদের প্রতি বেশ কোমল। মালদ্বীপবাসীর উদ্বেগ উচ্চ মাত্রায় রূপ নেয় ২০২১ সালের জুনে লিক হওয়া একটি ডকুমেন্টের পর। ওই ডকুমেন্টে দেখা যায়, মালদ্বীপে ভারতীয় সামরিক হেলিকপ্টারকে মালদ্বীপ থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য আবদুুল্লøাহ ইয়ামিনের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করলেও ভারত হেলিকপ্টারগুলো সরিয়ে নেয়নি। ভারত ২০১৩ সালে মালদ্বীপকে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডের (হাল) তৈরি দুটি সামরিক হেলিকপ্টার উপহার দিয়েছিল ৪৮ জন ক্রুসহ। এই দুই হেলিকপ্টারের লিজ এগ্রিমেন্ট ২০১৮ সালের জুনেই শেষ হয়ে গিয়েছিল।
এই ডকুমেন্টটি লিক হয়ে যাওয়ার পর মালদ্বীপবাসীর মধ্যে নতুন করে ভারতবিরোধী মনোভাব চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট আবদুল্লøাহ ইয়ামিনের দল ‘প্রোগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপ’ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সালিহর মালদ্বীপের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কাছে পরাজিত হয়। আবদুল্লাহ ইয়ামিনের সরকারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায় মালদ্বীপবাসীর মধ্যে এখন এই ধারণাই পাকাপোক্ত হচ্ছে যে, ভারত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে ইব্রাহিম মুহাম্মদ সালিহর দলকে জিতিয়ে এনেছে। ফলে ভারতের আধিপত্য সম্পর্কে মালদ্বীপবাসীর মধ্যে ভারত সম্পর্কে আরো বেশি সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সন্দেহ ও সংশয়ের মাত্রা ধূমায়িত হতে থাকে মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদের ২০১৯ সালে ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে দেয়া সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর। মালদ্বীপ ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে জিতিয়ে আনার জন্য ভারতীয়রা মালদ্বীপে যে ‘ছোট জানালা’ তৈরি করে দিয়েছিল তার জন্য ভারতীয় কর্মকর্তা এবং কূটনীতিকদের মুহাম্মদ নাশিদ প্রশংসা করেছিলেন।
মুহাম্মদ নাশিদ ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছিলেন, ‘কেউ ভাবতেই পারেনি যে, আমরা নির্বাচনে জিতে আসব। সবাই ভেবেছিল, নির্বাচনে প্রচণ্ড রকমের কারচুপি হবে, আমরা জিতব না। কিন্তু ভারত আমাদের মতো সে রকম চিন্তা করেনি। তারা জানত যে, তারা আমাদের জিতিয়ে দেয়ার জন্য একটি ছোট জানালা খুলে দিতে পারবে।’ এটা ঠিক যে, আবদুল্লøাহ ইয়ামিনের সরকার কোনো ফেরেশতাদের সরকার ছিল না। মানবাধিকার গ্রুপগুলো অভিযোগ করে আসছিল, ‘ইয়ামিন সরকার নাগরিক স্বাধীনতা হরণ করেছে, রাজনৈতিক বিরোধীদের জেলে পুরেছে এবং দুর্নীতিতে জড়িয়েছে। দেশের মধ্যে জনঅসন্তোষ সৃষ্টি করে ইয়ামিন সরকার চাইনিজদের বিশ্বস্ততা অর্জনের চেষ্টা করেছে।’ তা হয়তো এ কারণেই করেছে, ইয়ামিন ভেবেছিলেন যে, চাইনিজরা তাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করবে। প্রকৃতপক্ষে তা হয়নি এবং কেন হয়নি তা ভিন্ন আলোচনার বিষয়। তবে বলা হয়ে থাকে, চীনারা অন্য দেশে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে না অথবা যখন যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তাদের সাথে তারা কাজ করে। সে কারণেই হয়তো আবদুল্লøাহ ইয়ামিনের আকাক্সক্ষা পূরণে চীন এগিয়ে আসেনি। তারা ব্যবসায়কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
তবে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মালদ্বীপবাসীর ক্ষোভ আরো বেশি বেড়েছে মালদ্বীপের নির্বাচনে ধূম্রজাল সৃষ্টি করে ভারতের পছন্দের দলকে জিতিয়ে আনার জন্য। যেমন করে রাশিয়ানরা ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিতিয়ে এনেছে। লিক হওয়া ডকুমেন্টটি সম্পর্কে সাধারণ মালদ্বীপবাসী জেনে যাওয়ার পর তারা নির্বাচনে যে ভারতীয় হস্তক্ষেপ হয়েছে তা জানতে আরো উদগ্রীব এবং কীভাবে হয়েছে সেটাও জানতে চায়। এই কারণেই অনেক মালদ্বীপবাসী মনে করে, ‘নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট সালিহ নতুন দিল্লির ইয়েস ম্যান হয়ে গেছেন।’ তার নিজের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করার জন্য প্রেসিডেন্ট সালিহ মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে নয়াদিল্লির কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। প্রমাণ হিসেবে মালদ্বীপে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্পকে সামনে নিয়ে এসেছেন বিরোধীরা। ‘মালদিভস জার্নালে’ লিকড হওয়া দলিল জনগণের সামনে আসার পর মালদ্বীপ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত কিছু গোপন চুক্তি ও মালদ্বীপের বর্তমান সরকার ও ভারতের বিরুদ্ধে সমালোচনার প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চুক্তিতে কি আছে? মালদ্বীপের অনলাইন মিডিয়াগুলোতে এসেছে, ‘নতুন দিল্লির সাথে গোপন চুক্তিতে ভারতীয় সামরিক অফিসারদের পূর্ণ কূটনৈতিক দায়মুক্তি প্রদর্শন করার পাশাপাশি মালদ্বীপে ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাদের কর মওকুফ করে দেয়া হয়েছে।’ মালদ্বীপের রাজনৈতিক কর্মীরা বলছেন, সব ধরনের গোপন চুক্তিই সংবিধানবিরোধী। ভারতের সাথে করা এই চুক্তিটি একটি অসম চুক্তি। এটা মালদ্বীপের সংবিধানের বিরোধী। মালদ্বীপের সংবিধান অনুযায়ী, ‘বিদেশী সৈন্যরা মালদ্বীপে অবস্থান করতে পারবে না সংসদের পূর্ণ অনুমোদন ছাড়া।’ এ প্রসঙ্গে মালদিভস নিউজ নেটওয়ার্কের সম্পাদক এবং প্রতিষ্ঠাতা হামদান শাকিল বলেন, ‘মালদ্বীপবাসী ভবিষ্যতে ভারত মহাসাগরে চায়না ও ভারতীয়দের পরস্পরের গুলির মুখে পড়তে চান না। জনগণের মধ্যে ভারতীয় সামরিক উপস্থিতিবিরোধী মনোভাবের এটাই অন্যতম কারণ।’
মালদ্বীপে ভারতের সামরিক হেলিকপ্টারের অবস্থান এবং এখান থেকে সামরিক বাহিনী পরিচালনা এটাই বোঝায়, যেকোনো সময় ভারতীয়রা মালদ্বীপে সামরিক তৎপরতা চালাতে পারবে। ভারতীয় সামরিক উপস্থিতি এখানে থাকলে একই সাথে ভারত মহাসাগরে মালদ্বীপের দীর্ঘ নিরপেক্ষ অবস্থানগত নীতি-আদর্শ ভঙ্গ হবে এবং বৃহৎ শক্তির বিরোধিতায় পড়ে যাবে। মালদ্বীপের কৌশলগত নেভাল বেস- উথোরো থিলাহা ফালহুর (ইউটিএফ) অবস্থান শুধু মালদ্বীপের রাজধানীর কাছেই নয়, এটি মালদ্বীপের সর্বশেষ প্রতিরক্ষা সীমা। ভারত ও মালদ্বীপ সরকারের সাথে গত ২১ ফেব্রুয়ারি যে চুক্তি হয়েছে তাতে নৌঘাঁটিটির উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের কথা রয়েছে। চুক্তি অনুসারে ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তারা অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহন করতে পারবেন, তারা নিজেদের মতো করে মালদ্বীপে নজরদারি করতে পারবেন এবং দেশজুড়ে পাহারাও দিতে পারবেন। এসব কারণেই ‘ভারতীয় সামরিক বাহিনী ভাগো’ এই আন্দোলনে জনসমর্থন অব্যাহতভাবে বাড়ছে এবং এরা ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে। অপর দিকে ‘ডিফেন্ড মালদ্বীপ’ ধীরে ধীরে সম্মিলিত বিরোধী দলের ব্যানারে শক্তিশালী হচ্ছে। মালদ্বীপের বিভিন্ন পত্রপত্রিকার খবর থেকে দেখা যাচ্ছে, ওই গ্রুপে সরকারি দলের একটি ছোট অংশও জড়ো হয়েছে সরকারের বিরোধিতা করার জন্য।
মালদ্বীপ সরকার ইতোমধ্যে ১৭ নভেম্বর ‘ভারতীয় সামরিক বাহিনী ভাগো’ নামক হ্যাশট্যাগযুক্ত আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেছে। সরকার ইতোমধ্যে এই বলে বিবৃতি দিয়েছে যে, ‘ভারতের সাথে দীর্ঘ উষ্ণ সম্পর্ককে ভণ্ডুল করার জন্য একটি ছোট গোষ্ঠী প্রচারণা চালাচ্ছে’। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিরোধীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়াচ্ছে। লক্ষ্যণীয় যে, ভারতীয় সামরিক বাহিনী বিরোধী আন্দোলনকে মালদ্বীপ সরকার কেবল ‘ভারত বিরোধিতা’ বলে লেবেল দিয়ে প্রতিবাদটাকে গুরুত্বহীন করে দিতে চাচ্ছে। তবে হামধাম শাকিল বলেছেন, মালদ্বীপের জনগণ এমনিতেই ভারতীয় সংস্কৃতি ও জনগণের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন। তারা ভারতীয় জনগণের বিরুদ্ধে নয়, নির্দিষ্টভাবে ভারতের বিজেপি সরকারের আগ্রাসী কিছু নীতির বিরোধিতা করছে। তারা ভারত মহাসগরে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করছে এবং একই সাথে তারা মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলছে।
ভারত মহাসাগরের ছোট্ট কিন্তু কৌশলগত খুবই গুরুত্ববহ একটি দেশ মালদ্বীপ। ঠিক এ কারণেই দ্বীপদেশটি ভারত ও চীনের যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠছে। এই দুটি শক্তির প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রও হয়ে উঠেছে মালদ্বীপ। অপর দিকে, এই দেশটির সাথে চীন ও ভারত এই দুই দেশের সাথেই গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ভারতের কাছাকাছি থাকায় ভারতের সাথে ঐতিহাসিক সম্পর্কও রয়েছে মালেদের। অন্য দিকে, মালেদের সাথে ভারতের সম্পর্কটা যত গভীরে চাইনিজদের সাথে আগে ততটা গভীরে ছিল না। ফলে মালেতে দীর্ঘদিন প্রো-ইন্ডিয়ান একটি সরকার ছিল। সাম্প্রতিক করোনাভাইরাসের টিকা কূটনীতির ক্ষেত্রে মালের সাথে ভারতের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে যা চীনারা পারেনি। এ কারণেও ভারতীয়রা মনে করে, তারা মালদিভিয়ানদের কাছে অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি কাছের। আবার ওয়াশিংটনও মালদ্বীপের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করার চেষ্টায় আছে যাতে করে দেশটিতে চীনাদের প্রভাব কমিয়ে রাখা যায়।