পাকিস্তান দলে সুযোগ না পেয়ে ‘চানা বিক্রেতা’ ওয়াহাব রিয়াজ!
ওয়াহাব রিয়াজ! - ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তান দলের সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম সেরা পেসার হিসেবে ধরা হয় ওয়াহাব রিয়াজকে। তবে বিভিন্ন লিগে খেললেও দীর্ঘদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ সুযোগ পাচ্ছেন না ওয়াহাব। এবার শেষমেশ রাস্তার পাশে ঠেলা গাড়িতে করে ‘চানা’ বিক্রি শুরু করলেন পাকিস্তান তারকা ফাস্ট বোলার।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে ওয়াহাব নিজেই নিজেকে ‘চানা বিক্রেতা’ হিসেবে দাবি করে এক ভিডিও পোস্ট করেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আজকের জন্য আপনাদের চানাওয়ালা চাচা। আপনাদের অর্ডার পাঠান, কী বানাব এবং কত টাকার বানাব বলুন।’ পাকিস্তান তারকা এমন অবতার দেখে তো সকলে হা। ক্রিকেটভক্ত থেকে শুরু পাকিস্তান ক্রিকেটারেরাও ওয়াহাবের এই ভিডিওয় কমেন্ট না করেন। পাকিস্তানি ক্রিকেটার আহমদ শেহজাদ ওয়াহাবের ভিডিয়োর জবাবে লেখেন, ‘ওয়াহাব চাচা, আলিও চানা খেতে চায়।’
গোটা বিষয়টাই বেশ মজাদার হলেও আদপে ওয়াহাব নিজের ছোটবেলার স্মৃতিচারণা করেই এই ভূমিকায় ধরা দেন বলে তিনি নিজেই জানান। প্রসঙ্গত, ৩৬ বছর বয়সী ওয়াহাব, পাকিস্তানের হয়ে ২৭টি টেস্ট, ৯১টি ওয়ান ডে এবং ৩৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তবে ২০২০ সালের পর থেকে আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তাকে দেখা যায়নি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ওযাহাব নিজেই জানান যে তিনি সম্ভবত ২০২৩ বিশ্বকাপের পরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। তবে তার আগে এই বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলার পাকিস্তান দলে কামব্যাক ঘটাতে পারেন কি না সেটাই দেখার।
ক্রিকেটারদের থেকে বেশি বেতন পিসিবি কর্তাদের, চোখ কপালে উঠবে অফিসিয়ালদের মাসিক পারিশ্রমিক
ক্রিকেটারদের জন্য যাবতীয় আয় বোর্ডের। অথচ সেই ক্রিকেটারদের থেকেও বেশি বেতন পান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা। সম্প্রতি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পেশ করা হয় পিসিবি অফিসিয়ালদের পারশ্রমিক। যা দেখে চোখ কপালে ওঠার উপক্রম পাক ক্রিকেটমহলের। বেশিরভাগ অফিসিয়ালের মাসিক বেতন বাবর আজমদের থেকেও বেশি।
বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা এ, বি ও সি গ্রেডের ক্রিকেটাররা প্রতি মাসে পারিশ্রমিক পান যথাক্রমে ১০ লক্ষ, ৭.৫ লক্ষ ও ৪.৫ লক্ষ পাকিস্তানি রুপি। অথচ পিসিবি কর্তাদের অনেকেরই মাসিক বেতন ১০ লক্ষের উপর।
পিসিবি অফিসিয়ালদের মধ্যে সব থেকে বেশি বেতন পান বিদেশি ফিজিও ক্লিফ ডিকন। পাকিস্তানি মুদ্রায় তাঁর মাসিক পারিশ্রমিক ২০ লক্ষ রুপির বেশি। হেড কোচ সাকলাইন মুস্তাক পেতেন মাসে ১৩ লক্ষ। নির্বাচক প্রধান মোহম্মদ ওয়াসিমের বেতন মাসিক ১০ লক্ষ রুপি। মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিরেক্টর সামি বার্নির বেতন মাসে ১৩ লক্ষ। সম পরিমান বেতন পান ডিরেক্টর অফ হাই পারফর্ম্যান্স নদীম খান। ডিরেক্টর অফ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট অপারেশন জাকির খান মাসে ৮.৫ লক্ষ রুপি বেতন পান।
চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার জাভেদ মুর্তাজা, চিফ অপারেটিং অফিসার সালমান নাসের, চিফ মেডিক্যাল অফিসার নাজিবুল্লাহ মাসে ১২ লক্ষ টাকার বেশি বেতন পান। ডিরেক্টর হিউম্যান রিসোর্স সেরেনা ও ডিরেক্টর সিকিউরিটি অ্যান্ড অ্যান্টি কোরাপশন আসিফ মেহমুদ মাসে ৮.৫ লক্ষ রুপি বেতন পান।
এছাড়া জিএম লজিস্টিক্স, জিএম ফিনান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টসের মতো অফিসিয়ারলা প্রতি মাসে ৬ লক্ষ রুপি বেতন পেয়ে থাকেন। মাসিক বেতনের বাইরে পিসিবি কর্তারা গাড়ি, জ্বালানি ও মোবাইল বিলের মতো খরচও পেয়ে থাকেন বোর্ড থেকে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস