একান্ত পারিবারিক অনুষ্ঠানেই এনগেজমেন্ট রহমান কন্যার
একান্ত পারিবারিক অনুষ্ঠানেই এনগেজমেন্ট রহমান কন্যার - ছবি : সংগৃহীত
খানিকটা আটপৌরে ভাবেই এনগেজমেন্ট সেরে ফেললেন এ আর রহমানের মেয়ে খাদিজা রহমান। নিতান্ত পারিবারিক এক অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল রহমান কন্যার নতুন জীবনের এই শুরুয়াত।শীত পড়লেই শুরু হয়ে যায় বিয়ের মরসুম। প্রখ্যাত গায়ক তথা অস্কার জয়ী সুরকার এ আর রহমানের বাড়িতেও এবার তারই প্রতীক্ষা।
খাদিজার হবু স্বামীর নাম রিয়াজদিন শেখ মোহম্মদ, যিনি পেশায় একজন অডিও ইঞ্জিনিয়ার। এনগেজমেন্টের অনুষ্ঠান থেকে নিজের একটি ছবি শেয়ার করেছেন খাদিজা। গোলাপি এবং রুপালি রঙের একটি শাড়িতে দেখা গেল খাদিজাকে। মুখ ঢাকা পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং গোলাপি মাস্ক-এ। তবে এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠানে জীবনসঙ্গী হতে চলা রিয়াজের কোনো ছবি খাদিজা দেননি। তার বদলে দিয়েছেন রিয়াজের একটি সাদাকালো ছবি।
খাদিজা জানিয়েছেন গত ২৯ ডিসেম্বর রিয়াজের সাথে তার বাগদান হয়েছে। দুই পরিবারের আত্মীয় এবং ঘনিষ্ট বন্ধুরাই শুধু উপস্থিত ছিলেন এনগেজমেন্ট অনুষ্ঠানে। তবে খতিজার এই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ার দেয়ালে আসা মাত্র সাধারণ মানুষ থেকে বলিউডের সেলেবরা সকলেই শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন খাদিজাকে।
নিজের বোরখা পড়া নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে লেখিকা তসলিমা নাসরিনকেও যোগ্য জবাব দেন খাদিজা। তসলিমা বলেছিলেন খতিজা যে ভাবে বোরখা পড়েন, তা দেখে তাঁর দমবন্ধ হয়ে আসে।
এ আর রহমান এবং সায়রাবানুর কন্যা বড় মেয়ে খাদিজার বেড়ে ওঠা সুরের পরিমন্ডলেই। ১৯৯৬ সালের ২৮ জুলাই তার জন্ম। লেখাপড়া শেষ করে প্রত্যাশিতভাবেই গানকেই পেশা হিসেবে নেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে পেশাদার শিল্পী হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ। ২০১০ সালে বাবা রহমানের সুরে রজনীকান্ত এবং ঐশ্বর্য রাইয়ের ছবি এন্থিরানের জন্য, এসপি বালসুব্রমনিয়মের সুরে গান গান খতিজা। যা সমালোচকদের প্রশংসাও পায়।
পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি হচ্ছেন আয়েশা মালিক
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে প্রথমবারের মতো একজন নারী বিচারপতি নিয়োগ পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার দেশটির জুডিসিয়াল কমিশন আয়েশা মালিককে বিচারপতি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জুডিশিয়াল কমিশন ৫৫ বছর বয়সী আয়েশা মালিককে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর আয়েশা মালিক প্রথম নারী বিচারক হিসেবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতে নিয়োগ পাচ্ছেন।
দেশটির ক্ষমতাসীন দল তেহরিক-ই-ইনসাফের এমপি এবং আইন সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি কমিটির সম্পাদক মালিকা বোখারি এক ট্যুইটে বলেন, ‘পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে প্রথম নারী বিচারক হিসেবে একজন মেধাবী ও খ্যাতিমান বিচারক নিয়োগ পাচ্ছেন, যা আমাদের দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় মুহূর্ত।’ অবশ্য ঐতিহাসিক এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে মতভেদ রয়েছে পাকিস্তানে। ৯ সদস্যের ওই কমিশনই গত বছর বিচারক হিসেবে আয়েশার নিয়োগ ঠেকিয়ে দিয়েছিল এবং বৃহস্পতিবারের ভোটাভুটিতেও চারজন আয়েশার নিয়োগের বিপক্ষে ভোট দেন। অনেক আইনজীবী এবং বিচারকও এই নিয়োগের বিরোধিতা করেছেন। তাদের দাবি, বিধি লঙ্ঘন করে আয়েশাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ইসলামাবাদের আইনজীবী এবং অধিকার কর্মী ইমান মাজারি-হাজির বলেন, ‘বিচারক হিসেবে আয়েশা মালিকের যোগ্যতা নিয়ে কখনই কোনো প্রশ্ন ছিল না। প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে পাকিস্তানের জুডিশিয়াল কমিশন।’
এদিকে বেশ কয়েকজন আইনজীবী এই নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধর্মঘটে যাওয়ার এবং আদালতের কার্যক্রম বয়কটের হুমকি দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে নারীদের অধিকার ও নিরাপত্তার ইস্যুতে বিতর্ক রয়েছে পাকিস্তানে। এর মাঝে সর্বোচ্চ আদালতে নারী বিচারক নিয়োগ নিয়ে আলোচনা চলছে দেশজুড়ে।
সূত্র : পুবের কলম