রাত বাড়তেই বাড়ছে অ্যালার্জি? ঘুমের দফারফা আটকাতে মেনে চলুন এই উপায়গুলো
রাত বাড়তেই বাড়ছে অ্যালার্জি? ঘুমের দফারফা আটকাতে মেনে চলুন এই উপায়গুলো - ছবি : সংগ্রহ
শীতের দিনে অনেকেরই বাড়ে অ্যালার্জির সমস্যা। কারো কারো ক্ষেত্রে রাত বাড়লে পাল্লা দিয়ে বাড়ে অ্যালার্জির উপসর্গও। দিনেরবেলা সহ্য করা গেলেও রাতে অ্যালার্জি বেড়ে গেলে ঘুমের দফারফা হওয়া কার্যত নিশ্চিত। অ্যালার্জি ঘটিত অনিদ্রা সামলাতে রইল কিছু ঘরোয়া টোটকা।
১। বায়ুতে আর্দ্রতা ও ধুলো-বালির পরিমাণের তারতম্য অ্যালার্জি র কারণ হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে ঘরে বায়ু পরিশুদ্ধ করার যন্ত্র বসাতে পারেন। আজকাল সাধারণ বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দোকানেই এই ধরনের যন্ত্র কিনতে পাওয়া যায়।
২। চেষ্টা করুন একটু উঁচু বালিশ ব্যবহার করতে। শরীরের উপরের দিক একটু উঁচুতে থাকলে শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মার সঞ্চয় কিছুটা কম হয়। ফলে অ্যালার্জির দরুন সৃষ্টি হওয়া শ্বাসকষ্ট কমে। ঘুম ভাল হয়। খেয়াল রাখবেন বালিশের তুলোর মান যেন ভাল হয়।
কোভিডকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খান এই তিনটি ভেষজ উপাদান
৩। পোষা প্রাণিদের ঘরের বাইরে রাখুন। অন্তত শুতে যাওয়ার সময় পোষা প্রাণির থেকে দূরে থাকাই ভালো। পোষা প্রাণির শরীরের লোম অনেক সময়েই এলার্জি বাড়িয়ে দেয়।
৪। নিয়মিত পরিষ্কার করুন ঘর। ধুলো খালি চোখে দেখা না গেলেও অ্যালার্জির রোগীদের জন্য এটি ভয়ঙ্কর বিপদ। এমনকি, সিলিং ফ্যানে জমে থাকা ময়লা, খাটের কোনে জমে থাকা ধুলোও বাড়িয়ে তোলে অ্যালার্জি, সমস্যা হয় ঘুমের। তবে সাফাই করার সময় রোগীর নিজের কাছাকাছি না থাকাই বাঞ্ছনীয়।
৫। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যালার্জির ওষুধ খাবেনও না বন্ধও করবেন না। অ্যালার্জির ওষুধে মূলত আন্টিহিস্টামিন নামক উপাদান থাকে, এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার কোষ্ঠকাঠিন্য, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, গলা শুকিয়ে যাওয়া বা মূত্র ত্যাগের সমস্যার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ডেকে আনে। এই সব কিছুই অনিদ্রার কারণ। অনিদ্রা যদি ঘোরতর হয় তাহলে চিকিৎসকই হতে পারেন আপনার সবচেয়ে বড় বন্ধু।
জাঁকিয়ে পড়েছে শীত, এই সময় বয়স্করা কিভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেদের
বিগত কয়েক দিনে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। জেলা থেকে শহর, শিশু থেকে বয়স্ক-- রীতিমত কাঁপছে। তবে এই শীতকালে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন প্রবীণেরা। ঋতুবদলের এই সময়ে বয়স্ক মানুষদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। শীতকালে বয়স্কদের সুস্থ থাকা ভীষণ জরুরি।
শীতে রক্তচাপের মাত্রা মাপা প্রয়োজন
ঋতু পরিবর্তনে রক্তচাপের মাত্রাও পরিবর্তিত হয়। গ্রীষ্মে যেমন রক্তচাপের মাত্রা উপরের দিকে থাকে, শীতে আবার তা কম থাকে। শীতকালে যে হেতু তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে, ফলে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে পড়ে। তাই সারা বছর তো বটেই, বিশেষ করে শীতকালে বয়স্কদের রক্তচাপ নিয়মিত মাপা উচিত।
খুব সকালে প্রাতর্ভ্রমণে না যাওয়াই ভালো
প্রচুর বয়স্ক মানুষ আছেন যারা শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সব ঋতুতেই প্রাতর্ভ্রমণে যান। তবে শীতকালে সকালের দিকে যে হেতু ঠান্ডা বেশি থাকে, তাই খুব সকাল সকাল হাঁটতে না গেলেই ভালো। তবে সকাল ৭ থেকে ৮টার মধ্যে যাওয়া যেতে পারে। বিকালে হাঁটতে গেলে ৩ থেকে ৪টার মধ্যে যেতে পারেন।
শীতের রোদ লাগান শরীরে
একেবারে সকাল সকাল নয়, খানিক বেলা বাড়লে গরম জামাকাপড় এক পাশে সরিয়ে রেখে রোদ পোহান। সূর্যের আলোয় থাকা ভিটামিন ডি শরীরকে সুস্থ রাখে। হাড়ের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিও করে, যা প্রবীণদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
শাকসব্জির পাশাপাশি মরসুমি ফল খান
বয়স বাড়লে শরীরে ভিটামিন, ক্যালশিয়াম; ফাইবার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়। শীতকালে প্রতিটি বয়সের মানুষেরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বৃদ্ধদের তো আরো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময় বেশি করে সবুজ শাকসব্জি ও বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল খাওয়া দরকার।
সব সময় গরম জামাকাপড় ব্যবহার করুন
শীতকালে রাতের তুলনায় দিনে ঠান্ডা কম থাকে বলে অনেকেই গরম অনুভব করে শীতপোশাক খুলে রাখেন। বয়স্কদের ক্ষেত্রে যা একেবারেই ঠিক নয়। প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় যে কোনও মুহূর্তে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই খুব ভারী পোশাক না হলেও শীতকালে সব সময়ই বয়স্কদের উচিত একটি শাল বা চাদর দিয়ে কান মাথা ঢেকে রাখা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা