দাঁড়িয়ে পানি পান করেন? ঘটতে পারে মারাত্মক বিপদ
দাঁড়িয়ে পানি পান করেন? ঘটতে পারে মারাত্মক বিপদ - ছবি : সংগ্রহ
দৈনন্দিন জীবনে প্রায় প্রতিটি কাজেরই আলাদা কিছু কিছুনিয়ম আছে। এই ধরা যাক খাওয়া, ঘুমানো কিংবা পানি পান করা। শেষের টায় একটু অবাক হলেন তো। ভাবছেন পিপাসা পেলে পানি খাবেন, তার আবার আলাদা নিয়ম কী? যখন খুশি শুয়ে, বসে, আধশোয়া হয়ে, দাঁড়িয়ে পানি খাবেন।
খবরদার আর যাই করুন, দাঁড়িয়ে ভুলেও পানি খাবেন না।
কী হয় দাঁড়িয়ে পানি খেলে?
চিকিৎসকেদের মতে, দাঁড়িয়ে পানিপান করা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। এর ফলে মূত্রথলিতে এবং পিত্তাশয়ে শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন জাতীয় পদার্থ জমা হয়। যা শরীরে বিভিন্ন অবাঞ্ছিত বিপদ ডেকে আনে।
শরীরের বর্জ্য জাতীয় দূষিত পদার্থ বের করে শরীরকে সুস্থ রাখে পানি। শরীরের কোষগুলোকে পুষ্টি এবং অক্সিজেন জোগায়। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে। শরীর কতটা সুস্থ থাকবে, তার প্রায় অনেকটাই নির্ভর করে পানির ওপর।
তবে পানিপান করার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। দাঁড়িয়ে পানিপান করলে বিপাক ক্রিয়ারও ওপরও প্রভাব ফেলে।
তা হলে কী ভাবে পানিপান করা প্রয়োজন?
একবারে একসাথে ঢকঢক অনেকটা পানি খেয়ে নেবেন না। এতে লিভারের ওপর চাপ পড়ে। পরবর্তীকালে পেটের বা লিভার সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা দেখা যায়।
জাঁকিয়ে পড়েছে শীত, এই সময় বয়স্করা কিভাবে সুস্থ রাখবেন নিজেদের
বিগত কয়েক দিনে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। জেলা থেকে শহর, শিশু থেকে বয়স্ক-- রীতিমত কাঁপছে। তবে এই শীতকালে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন প্রবীণেরা। ঋতুবদলের এই সময়ে বয়স্ক মানুষদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। শীতকালে বয়স্কদের সুস্থ থাকা ভীষণ জরুরি।
শীতে রক্তচাপের মাত্রা মাপা প্রয়োজন
ঋতু পরিবর্তনে রক্তচাপের মাত্রাও পরিবর্তিত হয়। গ্রীষ্মে যেমন রক্তচাপের মাত্রা উপরের দিকে থাকে, শীতে আবার তা কম থাকে। শীতকালে যে হেতু তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে, ফলে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে পড়ে। তাই সারা বছর তো বটেই, বিশেষ করে শীতকালে বয়স্কদের রক্তচাপ নিয়মিত মাপা উচিত।
খুব সকালে প্রাতর্ভ্রমণে না যাওয়াই ভালো
প্রচুর বয়স্ক মানুষ আছেন যারা শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, সব ঋতুতেই প্রাতর্ভ্রমণে যান। তবে শীতকালে সকালের দিকে যে হেতু ঠান্ডা বেশি থাকে, তাই খুব সকাল সকাল হাঁটতে না গেলেই ভালো। তবে সকাল ৭ থেকে ৮টার মধ্যে যাওয়া যেতে পারে। বিকালে হাঁটতে গেলে ৩ থেকে ৪টার মধ্যে যেতে পারেন।
শীতের রোদ লাগান শরীরে
একেবারে সকাল সকাল নয়, খানিক বেলা বাড়লে গরম জামাকাপড় এক পাশে সরিয়ে রেখে রোদ পোহান। সূর্যের আলোয় থাকা ভিটামিন ডি শরীরকে সুস্থ রাখে। হাড়ের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিও করে, যা প্রবীণদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
শাকসব্জির পাশাপাশি মরসুমি ফল খান
বয়স বাড়লে শরীরে ভিটামিন, ক্যালশিয়াম; ফাইবার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয়। শীতকালে প্রতিটি বয়সের মানুষেরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বৃদ্ধদের তো আরো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময় বেশি করে সবুজ শাকসব্জি ও বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল খাওয়া দরকার।
সব সময় গরম জামাকাপড় ব্যবহার করুন
শীতকালে রাতের তুলনায় দিনে ঠান্ডা কম থাকে বলে অনেকেই গরম অনুভব করে শীতপোশাক খুলে রাখেন। বয়স্কদের ক্ষেত্রে যা একেবারেই ঠিক নয়। প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় যে কোনও মুহূর্তে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই খুব ভারী পোশাক না হলেও শীতকালে সব সময়ই বয়স্কদের উচিত একটি শাল বা চাদর দিয়ে কান মাথা ঢেকে রাখা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা