কেন বিদেশী কোচ চাইছেন বাবর আজমরা
বাবর আজম - ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তান ক্রিকেট দল এখন দারুণ ফর্মে আছে। এই অবস্থায় পাকিস্তান টিমের প্লেয়াররাই বিদেশী কোচ চাইছেন। টিমের অধিনায়ক বাবর আজম নাকি এ কথা নিজে জানিয়েছেন পিসিবি কর্মকর্তাদের। শুধু বাবরই নন, অন্তর্বর্তীকালীন হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে সাকলাইন মুশতাকও বিদেশী কোচ নিয়োগ করার বিষয়েই জোর দিয়েছেন। দলের তারকা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানও একই দাবি তুলেছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই কথাই স্পষ্ট করে জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রামিজ রাজা। দলীর সংহতি এবং ভাষা সমস্যার কারণে পাকিস্তানে দেশী কোচ রাখার চল বেশি। তবে বাবর মনে করছেন, তাদের দলে এই মুহূর্তে যথেষ্ট দলীয় সংহতি রয়েছে। ফলে এখন বিদেশী কোচ নিয়োগ করলেও সমস্যা হবে না। রামিজ এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘বাবর, রিজওয়ান এবং সাকলাইন, তিনজনেই বিদেশী কোচ নিয়োগের কথা বলেছে। আমার মতে, বিদেশ সফরে স্থানীয় কোচ রাখলে দলের ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ভালো থাকবে। আমাদের দলে সংহতি রয়েছে। এ বার নিজেদের অন্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাইলে আমাদের বিদেশী কোচ দরকার।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনো প্রধান কোচ ছিল না পাকিস্তানের। সাকলাইন মুশতাকই অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। রামিজ রাজা তাই জানিয়েছেন, দল নিজের পায়ে দাঁড়াতে কতটা তৈরি সেটার বোঝার জন্যেই তারা ইচ্ছা করে কোনো কোচ নিয়োগ করেননি। তবে আগামী দিনে যে তাদের বিদেশী কোচ দরকার, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন। রোববার আবার অন্তর্বর্তীকালীন হেড কোচ সালকাইন মুশতাক পদত্যাগ করেছেন। যেটা নতুন কোচ নিয়োগেরই একটি প্রক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন সাকলাইন
পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের পদ থেকে এ বার সরে দাঁড়ালেন সাকলাইন মুশতাক। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, বাংলাদেশ সফর এবং ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য সাকলাইনকে কোচ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল।
এক দিন আগেই শনিবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান রমিজ রাজা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পরবর্তী প্রধান কোচ হিসেবে একজন বিদেশীকে নিয়োগ করা হবে। রামিজ রাজার দাবি, ‘আমি সাকলাইন, বাবর আজম এবং রিজওয়ানের সাথে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করেছি এবং সকলেই বিদেশী কোচ নিয়োগ করার বিষয়েই আগ্রহ দেখিয়েছে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনো প্রধান কোচ ছিল না পাকিস্তানের। সাকলাইন মুশতাকই অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। রামিজ রাজা তাই জানিয়েছেন, দল নিজের পায়ে দাঁড়াতে কতটা তৈরি সেটার বোঝার জন্যেই তাঁরা ইচ্ছে করে কোনো কোচ নিয়োগ করেননি। তবে আগামী দিনে যে তাদের বিদেশী কোচ দরকার, সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন। সাকলাইন মুশতাকের পদত্যাগ নতুন কোচ নিয়োগেরই একটি প্রক্রিয়া।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস