চোখের কোন কোন সমস্যা হলে বুঝবেন আরো গুরুতর কোরো রোগের শঙ্কা রয়েছে

অন্য এক দিগন্ত | Dec 29, 2021 03:02 pm
চোখের কোন কোন সমস্যা হলে বুঝবেন আরো গুরুতর কোরো রোগের শঙ্কা রয়েছে

চোখের কোন কোন সমস্যা হলে বুঝবেন আরো গুরুতর কোরো রোগের শঙ্কা রয়েছে - ছবি : সংগ্রহ

 

চোখ আমাদের দেহের প্রধান ইন্দ্রিয়গুলোর মধ্যে একটি। দৃষ্টিশক্তির পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যকারিতাতেও বিশেষ প্রভাব ফেলে চোখ। ফলে এই ইন্দ্রিয়টি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে আপনার সারা শরীরেই দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা। এখন অতিমারি-পরবর্তী সময়ে ঘরে বসে কাজকর্ম করতে করতে চোখের উপরেই চাপ পড়ছে বেশি। ফলে ছোটখাটো অস্বস্তি আমরা এড়িয়েই যাই বেশির ভাগ সময়ে। অথচ চোখ সংক্রান্ত কিছু অসুবিধা থেকে হতে পারে গুরুতর কোনও রোগও। নিয়মিত তাই চক্ষু-বিশারদের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।

১। সময়ের সাথে সাথে শরীরের অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ চোখেও ফেলতে পারে তার প্রভাব। হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি তো রয়েছেই। তা ছাড়া রেটিনার রক্তনালীগুলিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ফলে হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি প্রায় অনিবার্য। আয়নায় আপনার চোখ দেখার সময় এটি সাধারণভাবে চোখে পড়বে না। তাই নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।

২। আপনি যদি আপনার চোখের আশেপাশের চামড়া সাদা হয়ে উঁচু অবস্থায় দেখতে পান তবে এটি উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রার লক্ষণ হতে পারে। এটি বার্ধক্যজনিত কারণে বা নিম্ন-ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিনের মাত্রার কারণেও হতে পারে যা স্ট্রোকের ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়।

৩। ইদানীং দিনের বেশির ভাগ সময় কম্পিউটার, টিভি বা মোবাইলের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঝাপসা হয়ে আসে দৃষ্টি। চোখ অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়লে এই ঘটনা ঘটতেই পারে। আবার ডায়াবেটিস রোগীরাও প্রায়শই এই উপসর্গের অভিযোগ করেন। এটি আবার ছানি বা ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের লক্ষণও হতে পারে।

৪। অনিদ্রায় ভুগলে চোখ লাল হয়ে থাকে এবং চোখে নিয়মিত অস্বস্তি লেগেই থাকে। এর ফলে আক্রমণ করতে পারে অন্য কোনও গুরুতর রোগ।

৫। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধা তৈরি হতে পারে। অনেককেই দেখা যায় চোখ থেকে বই বা খবরের কাগজ অনেকটা দূরে রেখে পড়তে। এই সমস্যা এড়িয়ে না গিয়ে অবিলম্বে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

ঘুমের ঘোরে খাট থেকে পড়ে যাবেন মনে হয়?
সারাদিনে প্রবল ব্যস্ততার পরে যখন ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে অনেকেই বিশ্রাম নিতে খানিক ঘুমিয়ে নেন। আপনি যখন বেশ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হঠাৎ তখনই বৈদুত্যিক শকের মতো ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে শরীর। এই সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। শুধু ঝাঁকুনি নয়, অনেকের আবার মনে হয় যে শূন্যে পড়ে যাচ্ছেন। ঠিক যেমন ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ইনসেপশন’ ছবিতে স্বপ্ন ভাঙার উপায় ছিল শূন্যে পড়ে যাওয়ার আতঙ্ক।

চিকিৎসকরা মনে করেন, প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। এবং তাঁদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ প্রতিদিন ঘুমের মধ্যে এই ধরনের সমস্যায় ভোগেন।

ঘুমের মধ্যে এই হঠাৎ চমকে বা ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলে হিপনিক জার্ক। এর আরো একটি নাম আছে। একে মায়োক্লোনিক জার্ক বা স্লিপ সুইচও বলা হয়ে থাকে।

মূলত তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় হিপনিক জার্ক ঘটে থাকে। মানুষ যখন সবে ঘুমাতে শুরু করেন, অর্থাৎ ঘুমের ঘোর তৈরি হয় যখন সেই সময় স্বপ্ন দেখা শুরু করেন। কিন্তু মস্তিষ্কে থাকা সেরিব্রাম কর্টেক্স সেটা সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারে না। মস্তিষ্কের সঙ্গে নিউরোট্রান্সমিটার এর অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে হিপনিক জার্ক হয়ে থাকে।

এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে এমন হয়ে থাকে—

১) ক্যাফিন বা নিকোটিন সমৃদ্ধ চা, কফি বেশি খেলে।

২) অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের কারণে।

৩) ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান‌ের শরীরে ঘাটতি থাকলে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us