রেগে আছেন নাকি? তাহলে এই খাবারগুলো ভুলেও মুখে তুলবেন না
রেগে আছেন নাকি? - ছবি : সংগ্রহ
মনে আনন্দ থাকলে খিদে বাড়ে। দুঃখ হলেও খিদে বাড়ে। আবার রেগে গেলেও খিদে বাড়তে। তবে এই সময়গুলোয় খিদের ধরন একটু আলাদা হয়। মানে এক একটা অনুভূতির জন্য এক এক ধরনের খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। আবার এটি উল্টো দিক থেকে দেখলেও, সে কথাটা সত্যি। কোনো কোনো খাবার বিশেষ বিশেষ অনুভূতি বাড়িয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ কোনো খাবার বাড়িয়ে দিতে পারে আনন্দ, কোনো খাবার রাগ।
রাগের সাথে এমনই কিছু খাবারের যোগ খুঁজে পেয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ্যা বিভাগের গবেষকরা। তাঁরা বলছেন, রাগ হলে কিছু কিছু খাবার খেতে ইচ্ছা করে। আবার অল্প রাগের মুহূর্তে সেই খাবারগুলো খেলে রাগ মাত্রাতিরিক্ত বেড়েও যেতে পারে। কিন্তু সমস্যা শুধু সেখানেই নয়। এই খাবারগুলো একই সঙ্গে শরীরেরও মারাত্মক ক্ষতি করে।
সম্প্রতি আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)-এর তরফে এই খাবারগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং এগুলোর ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এবার দেখে নেয়া যাক, রাগ হলে কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ্যা বিভাগের গবেষকরা বলছেন, এমন খাবার, যাতে প্রচুর ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে। আমাদের চেনা খাবারের মধ্যে কোনগুলোয় এই ফ্যাট রয়েছে?
কেক
কুকিজ বা বিস্কুট
অতিরিক্ত তেলযুক্ত ভাজাভুজি
চিপস জাতীয় প্যাকেটের খাবার
এই খাবারগুলোয় ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ প্রচুর। গবেষকরা বলছেন, রাগ বা অবসাদের সময়ে এগুলো খাওয়ার আগ্রহ বাড়ে। আবার এগুলো খেলে রাগ এবং অবসাদ বাড়ে। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের জন্য এই খাবারগুলো মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। বিশেষ মন চাপে থাকলে এগুলো একেবারেই মুখে তোলা উচিত নয়।
রোজ কতগুলোর বেশি কলা খেলেই বিপদ? আপনি খাচ্ছেন না তো
কলা অনেকেরই খুব প্রিয় ফল। শরীর ক্লান্ত থাকলে এই ফলটি খুব দ্রুত হারানো শক্তি ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু যথেচ্ছ কলা বিপদও ডেকে আনতে পারে। তাই কলাকে শুধুমাত্র উপকারী বলে ধরে নিলে ভুল হবে।
কলার প্রচুর পুষ্টিগুণ। ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স তো আছেই, তার সাথে আছে পটাসিয়াম, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান। এর প্রতিটাই শরীরকে প্রচুর শক্তি জোগায়, পেশির ক্ষয় রোধ করে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু তার পরেও কলা খাওয়ার কিছু বিপদ আছে।
কলাকে হাই ক্যালোরি-যুক্ত খাবারের তালিকায় ফেলা হয়। প্রতিটা কলার মধ্যে প্রায় ১০৫ ক্যালোরি করে থাকে। এটি ওজন বাড়িয়ে দেয়।
তবে সমস্যার এখানেই শেষ নয়। বেশি পেকে যাওয়া কলার মধ্যে থাকা স্টার্চ ভেঙে চিনিতে পরিণত হয়। ফলে যাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা আছে, তারা কলা খেলে বিপদে পড়তে পারেন। তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। যাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা নেই, তারাও এর ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাদের ক্ষেত্রেও ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলা।
তাহলে প্রশ্ন হলো কলা কি সত্যিই উপকারী একটি ফল, নাকি এটি সমস্যা সৃষ্টি করে? চিকিৎসকরা বলছেন, পরিমিত কলা খেলে তা সমস্যার সৃষ্টি করে না। এ জন্য প্রথমেই জেনে নিতে হবে রোজ সর্বাধিক ক’টা কলা খাওয়া যেতে পারে?
এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করছে অনেকগুলো বিষয়ের ওপর। বয়স, ওজন, কতটা খাটাখাটনি করতে হয়— এগুলো মাথায় রেখেই উত্তরটা দেয়া সম্ভব। চিকিৎসকদের মতে, রোজ দুটি কলা যে কেউ খেতেই পারেন। যদি না তার ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা থাকে। তেমন সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে হবে আদৌ কলা খেতে পারবেন কি না।
আর যারা একটু বেশি কায়িক পরিশ্রম বা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, শরীরেও বিশেষ মেদ নেই, তারা রোজ তিনটি পর্যন্ত কলা খেতে পারেন। তার বেশি নয় মোটেই।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস