শিগগিরই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়বেন কোহলি!
কোহলি - ছবি : সংগৃহীত
রোববার সেঞ্চুরিয়নে যখন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামবেন, তখন স্রেফ টিম ইন্ডিয়ার ইতিহাস গড়াই লক্ষ্য থাকবে না কোহলির, নিজের দু বছরের সেঞ্চুরি খরা কাটাতেও বাইশ গজে নামবেন মহাতারকা। ২০১৯-এ ভারতের প্ৰথম পিঙ্ক বলের টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইডেনে শেষবার সেঞ্চুরি করেছিলেন। তারপরে শুধু টেস্টেই নয়, কোনো ফরম্যাটেই শতরান করতে পারেননি তিনি।
এমন আবহে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন স্পিনার মন্টি পানেসর বড়সড় ভবিষ্যৎবাণীতে জানালেন, টিম ইন্ডিয়ায় কোহলির জায়গা নড়বড়ে হয়ে গেছে। জায়গা হারাতেও পারেন তিনি অদূর ভবিষ্যতে।
সংবাদসংস্থা-কে মন্টি জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কোহলি প্রচন্ড চার্জড আপ হয়ে মাঠে নামবে। কারণ ও ভালমতই জানে, প্রোটিয়াজ সফরে রান না করতে পারলে, দ্রুতই জায়গা হারাতে হতে পারে ও। তাই ও পারফর্ম করার জন্য বেশ চাপে থাকবে। তবে ও রান না পেলেও যদি দল জয় পায়, সেটাও তার কাছে স্বস্তির হবে। কারণ ও জানে, কিভাবে সকলের কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনতে হয়।
এমন অবস্থায় পানেসরের পরামর্শ, মাঠের বাইরে কথাবার্তা বিতর্ক সরিয়ে রেখে কোহলি যেন নিজের খেলায় ফোকাস করেন। বাইরের সমস্ত কিছু সরিয়ে তাকে আপাতত ভাবতে হবে কিভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দল জিতবে। এটাই এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বিসিসিআই-ও এটা চায়। টেস্ট সিরিজ জেতার জন্য তাকে দলের এগারোজনের কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনতে হবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের জেতার ভাল সম্ভবনা রয়েছে। ভারতের বাইরে কিভাবে টেস্ট জিততে হয়, সেটা তারা ভালোই জানে। সেটাই রবি শাস্ত্রীর কোচিং দর্শন। দলের সকলের মধ্যে এই বিশ্বাস উনি দিয়ে গিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে দল লড়াই চালাতে পারে। আর দল ভালো পজিশনে থাকলে প্রতিপক্ষের গলায় আরো সাঁড়াশি চাপ বজায় রাখা হবে।
তিন টেস্টের সিরিজে ভারতের প্ৰথম ম্যাচ রোববার সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্টস পার্কে। জানুয়ারিতে বাকি দুই টেস্ট খেলা হবে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
‘কোহলির বিতর্কিত মন্তব্যে জোর করে টানা হয়েছে সৌরভকে!’
দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে সাংবাদিক বৈঠকে বোমা ফাটিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। তার মন্তব্যে প্রকাশ্যে চলে আসে বোর্ডের সাথে ক্যাপ্টেনের সংঘাত। সেই বিতর্ক অনেকখানি গড়িয়েছে। তবে ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়কের দাবি নিয়ে আলাদা করে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি সৌরভ।
এবার তারই এককালের সতীর্থ মহম্মদ কাইফ গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন। তার দাবি, সাংবাদিক বৈঠকে করা কোহলির মন্তব্যের মধ্যে জোর করে সৌরভকে টেনে আনা হয়েছে।
২৬ ডিসেম্বর থেকে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ টিম ইন্ডিয়ার। সে দেশে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কোহলি জানিয়েছিলেন, টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব না ছাড়তে তাকে কেউ অনুরোধ করেননি। পাশাপাশি এও দাবি করেন যে দল ঘোষণার মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে জানতে পেরেছিলেন তিনি আর ওয়ানডে অধিনায়ক থাকছেন না। যদিও কোহলির দুই অভিযোগই খারিজ করে দেয় বোর্ড।
এ প্রসঙ্গে সৌরভ শুধু জানিয়েছিলেন, তিনি আলাদা করে কোনো মন্তব্য করতে চান না। এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেয়ার বিসিসিআই নেবে। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মনে করছেন, এই ঘটনায় জোর করে সৌরভের নাম জড়িয়েছে।
তার কথায়, সম্প্রতি নেতিবাচক কারণে শিরোনামে উঠে এসেছে ভারতীয় ক্রিকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা পাড়ি দেয়ার আগে বিরাট কোহলির সংবাদ সম্মেলন নিয়ে ঝড় ওঠে। যেখানে সৌরভেরও নামও ঢুকে যায়।
কাইফ মনে করছেন, এ নিয়ে দোষারোপ, পালটা দোষারোপের পালায় কে ঠিক কে ভুল, তা গৌণ। এখন প্রয়োজন গোটা বিষয়টা ঠাণ্ডা মাথায় সামলানো। আর তার জন্য তিনি ভরসা রাখছেন টিম ইন্ডিয়ার নয়া কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের উপরই।
কাইফের বিশ্বাস, যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি শক্ত হাতেই সামলে নিতে পারবেন দ্রাবিড়। মাঠের বাইরের কোনো বিষয় যাতে ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমে প্রবেশ করতে না পারে, তার দেখভাল করবেন মিস্টার ডিপেন্ডেবলই।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন