মুরগি আগে না ডিম? অবশেষে পাওয়া গেল জবাব

অন্য এক দিগন্ত | Dec 25, 2021 03:28 pm
মুরগি আগে না ডিম? অবশেষে পাওয়া গেল জবাব

মুরগি আগে না ডিম? অবশেষে পাওয়া গেল জবাব - ছবি : সংগ্রহ

 

মুরগি আগে, না ডিম আগে? যুগ যুগ ধরে এই তর্ক চলেছে। কিন্তু কোনটি আগে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই গেছে। একটা অংশের দাবি মুরগি আগে এসেছে। আবার একটা অংশ বলেন না, মুরগি নয়, ডিমই আগে।

কোনটি আগে তা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে গবেষণা চলেছে। সম্প্রতি সেই রহস্যের সমাধান করেছেন এক দল গবেষক। তাদের দাবি, ডিম নয়, মুরগিই আগে। এবং সেটা প্রমাণ-সহ প্রকাশ্যে এনেছেন তারা।

ব্রিটেনের শেফিল্ড এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা চালানোর পর সেই ধাঁধার উত্তর খুঁজে পেয়েছেন তারা। গবেষকদের দাবি, ডিমের মধ্যে যে সাদা অংশটি থাকে তাতে ওভোক্লিডিন (ওসি-১৭) নামে প্রোটিন থাকে। ডিমের সৃষ্টিতে এই প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর এই ওভোক্লিডিন প্রোটিন মুরগির গর্ভাশয়ে পাওয়া যায়। গবেষকদের দাবি, এর থেকে প্রমাণিত যে, প্রথমে মুরগি এসেছে। তার পর তার গর্ভাশয়ে ওভোক্লিডিন প্রোটিন তৈরি হয়েছে। সেই প্রোটিন থেকেই ডিমের সৃষ্টি।

তবে এ তো না হয় জানা গেল যে মুরগি আগে এসেছে। কিন্তু সেই মুরগি পৃথিবীতে প্রথম কিভাবে এলো তা নিয়ে কোনো জবাব দিতে পারেননি গবেষকরা।

সুনামিরও পূর্বাভাস দেয়া যাবে! বলা যাবে কতটা উঁচু হবে ঢেউ, কতটা দূরে আছড়ে পড়বে
ঘূর্ণিঝড়-টাইফুন-টর্নেডোর মতো এবার সুনামিরও পূর্বাভাস দেয়া যাবে। আগেভাগে জানিয়ে দেয়া যাবে কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে চলেছে সুনামি। সমুদ্রের ঢেউগুলোর সর্বাধিক উচ্চতা কতটা হতে পারে। তা উপকূলের কত দূর পর্যন্ত সব কি‌ছুকে তলিয়ে দিতে পারে সমুদ্রের গ্রাসে। সেই পূর্বাভাস দেওয়া যাবে সমুদ্র ফুঁসে ওঠার আগেই। সমুদ্রের ঢেউ যে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে তার চেহারা, চরিত্র আগেভাগে জেনে নিয়েই সেই পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে।

সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই আশার খবর দিয়েছে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘জার্নাল অব জিওফিজিক্যাল রিসার্চ : সলিড আর্থ’-এ। গবেষণাটি চালিয়েছেন জাপানের কিয়েতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূপদার্থবিজ্ঞানীরা।

তারা ২০০৯ সালে হওয়া সামোয়ার সুনামি ও ২০১০-এ চিলেতে হওয়া সুনামির যাবতীয় তথ্য পরীক্ষা করে দেখেছেন। খতিয়ে দেখেছেন ওই দু’টি সুনামিতে সমুদ্রের জলস্তর কতটা উপরে উঠেছিল। পাশাপাশি, কম্পিউটারে সিমুলেশন করে দেখেছেন, সমুদ্রের ওই গভীরতায় ঢেউ সর্বাধিক কতটা উঁচুতে উঠতে পারে। কম্পিউটারে সিমুলেশনের তথ্যাদির সাথে দু’টি সুনামির তথ্যাদি পুরোপুরি মিলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মূল গবেষক কিয়েতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূপদার্থবিজ্ঞানী ঝিহেঙ লিন।

গবেষকরা দেখেছেন, কত আগে সমুদ্রের জলতরঙ্গের ফলে তৈরি হওয়া চৌম্বক ক্ষেত্রগুলির পরিবর্তন বোঝা যাবে তা নির্ভর করে সমুদ্রের গভীরতার উপর। বা ঢেউগুলো যে গভীরতায় তৈরি হচ্ছে তার উপর। সেই হিসাবে গবেষকরা জানিয়েছেন, তিন মাইল বা চার হাজার ৮০০ মিটার গভীর কোনও সমুদ্রে সুনামিতে সমুদ্র ফুঁসে ওঠার মিনিটখানেক আগেই সেখানকার চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনগুলি ধরা যাবে। গভীরতা কম হলে মিনিট দু’য়েক আগে তা ধরা পড়ব‌ে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us