যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন নিঃশব্দে আসছে ঘাতক কিডনি রোগ

অন্য এক দিগন্ত | Dec 23, 2021 09:42 am
যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন নিঃশব্দে আসছে ঘাতক কিডনি রোগ

যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন নিঃশব্দে আসছে ঘাতক কিডনি রোগ - ছবি : সংগৃহীত

 

মানব দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর অন্যতম কিডনি বা বৃক্ক। বৃক্কের সমস্যা সময় থাকতে না সামলানো গেলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু মুশকিল হলো, অনেক ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যার উপসর্গগুলো এতটাই মৃদু হয় যে অসুখ গভীর না হলে বুঝে ওঠা যায় না। জানুন কী কী লক্ষণ থাকলে আগে ভাগেই হতে হবে সতর্ক।

১। সব সময় ক্লান্ত লাগা
কাজ কর্মের উদ্যম হারিয়ে ফেলা কিডনি বা বৃক্কের সমস্যার অন্যতম প্রধান একটি লক্ষণ। বৃক্কের মূল কাজই হলো রক্তকে পরিশুদ্ধ করা। কাজেই কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্তে বিষাক্ত ও অপ্রয়োজনীয় উপাদান বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে ক্লান্ত লাগে আক্রান্তের। এমনকি, দেখা দিতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যাও। রক্তাল্পতার অন্যতম প্রধান লক্ষণই হলো স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ক্লান্তি।

২। অনিদ্রা
কিডনি ঠিকঠাক না কাজ করলে মূত্রের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থগুলো দেহের বাইরে বেরোতে পারে না। এটি অনিদ্রার অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম না আসার সমস্যা সুস্থ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি।

৩। ত্বকের সমস্যা
মানবদেহে প্রয়োজনীয় লবণ ও খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখাও কিডনির অন্যতম প্রধান কাজ। ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় এই উপাদানগুলোর বড় ভূমিকা থাকে। ফলে শুষ্ক খসখসে ত্বক, ত্বকের ঘা ও হাড়ের সমস্যা কিডনির অসুখের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।

৪। মূত্রের সমস্যা
যদি আপনাকে বারবার মূত্রত্যাগ করতে হয় তবে তা কিডনির অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশিবার মূত্র ত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। মূত্রের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়াও কিডনির সমস্যার লক্ষণ। মূত্রে অ্যালবুমিন বেশি থাকলে অতিরিক্ত ফেনা তৈরি হয়।

৫। পা ফুলে যাওয়া
কিডনির সমস্যায় সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে পা ফুলে যায়। অনেক সময় খনিজ লবণের ভারসাম্যের ফলে শরীরের পেশিতে টান লাগার সমস্যা তৈরি হয়। মূলত ক্যালশিয়াম ও ফসফরসের সমস্যায় এমন ঘটনা ঘটে।

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই কাফ সিরাপ খাওয়াচ্ছেন সন্তানকে? হতে পারে মারাত্মক বিপদ

যেকোনো ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু অধিকাংশ সাধারণ অসুখের ক্ষেত্রেই দেখা যায় নিজেরাই ডাক্তারি করেন মানুষজন। কাশিতে কাফ সিরাপ খাওয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে ভুলভাবে কাফ সিরাপ খেলে অজান্তেই হয়ে যেতে পারে সর্বনাশ। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে ওষুধের পরিমাপ সঠিক না হলে ঘটতে পারে বড় বিপদ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন বয়সি শিশুদের জন্য উপযুক্ত কাশির সিরাপের পরিমাণ নির্দিষ্ট হয়। মূলত শিশুর বয়স ও ওজনের উপর ভিত্তি করেই চিকিৎসকেরা ওষুধের পরিমাণ নিশ্চিত করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একই উপাদানে তৈরি হলেও বিভিন্ন ওষুধে ভিন্ন হয় তীব্রতার মাত্রা। আর এই তীব্রতার মাত্রার সামান্য হেরফেরও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন একই ওষুধের মাত্রা আলাদা হয় ২ বছর বা ৬ বছরের শিশুদের জন্য। অনেক ক্ষেত্রে ১২ বছরের কম শিশুদের কাশি দমানোর ওষুধ দিতে সঙ্কোচ বোধ করেন চিকিৎসকরা।

অধিকাংশ ওষুধের তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকলেও কিছু কিছু কাফ সিরাপ শ্বাসকষ্ট, দৃষ্টিশক্তি লোপ, বমি বা মৃগীর মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। সম্প্রতি দিল্লিতে কাফ সিরাপের সমস্যায় দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলেও খবর। তাই চার বছরের বেশি বয়সি শিশুদের কাফ সিরাপ খাওয়াতে হলে নিজে নিজে ডাক্তারি নৈব নৈব চ।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us