মিনিটে ২৪০ লিটার জ্বালানি খরচ করে বোয়িং?
মিনিটে ২৪০ লিটার জ্বালানি খরচ করে বোয়িং? - ছবি : সংগ্রহ
কোনো নতুন ব্র্যান্ডের বাইক বা গাড়ি কিনতে গেলে আমাদের মাথায় এই প্রশ্নটাই ঘোরে, বাইক বা গাড়িটি এক লিটার জ্বালানিতে কতটা মাইলেজ দেয়।
আমাদের গাড়ি বা বাইকের মাইলেজ নিয়ে আমরা যতটা সচেতন, সে ভাবে কখনো কি আমরা ভেবে দেখেছি বিমানের মাইলেজ কত হতে পারে? বোধ হয় না। ভাবার প্রয়োজনও পড়ে না সেই অর্থে। বিমানে যাতায়াত করলেও ভাড়া নিয়েই মাথা ঘামাই আমরা। জ্বালানি কতটা পুড়ল, এক লিটারে প্লেন কতটা গেল তা নিয়ে আমজনতা মাথাব্যথা করেই বা কী করবে! সেটা তো সংশ্লিষ্ট সংস্থার ভেবে দেখার কাজ। নিশ্চিত ভাবে এ প্রশ্ন আসবেই আপনাদের মনে। বাইক বা গাড়ির মাইলেজ নিয়ে যখন ভাবেন, বিমানের মাইলেজ সম্পর্কে না হয় একটু জেনেই নিলেন।
আমরা জানি, বেশির ভাগ বা গাড়ি এক লিটারে ৩০ থেকে ৮০ কিলোমিটার মাইলেজ দেয়। কিন্তু গাড়ি যত বড় হবে তার জ্বালানি খরচও তত বেশি হবে। ফলে মাইলেজও কমবে।
যেমন, বোয়িং ৭৪৭ বিমানে প্রতি সেকেন্ডে ৪ লিটার জ্বালানি খরচ হয়। অর্থাৎ এক মিনিট উড়লে ২৪০ লিটার জ্বালানি খরচ হয় এই বিমানের। বোয়িং-এর ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ৭৪৭ বিমানে প্রতি কিলোমিটারে ১২ লিটার জ্বালানি খরচ হয়। অর্থাৎ ১ লিটার জ্বালানিতে ০.৮ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে এই বিমান। সেই হিসেবে ১২ ঘণ্টার সফরে ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৮০০ লিটার জ্বালানি খরচ হয়। বোয়িং বিমানে অন্ততপক্ষে ৫০০ যাত্রী ধরে। ঘণ্টায় ৯০০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশির ভাগ বিমানে ঘণ্টায় ৩২০০ লিটার জ্বালানি খরচ হয়।
৩১০ কেজি ওজনের নীলকান্তমণি!
মাস তিনেক আগে খনি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিশালাকায় একটি নীলকান্তমণি। ৩১০ কেজি ওজনের সেই মূল্যবান রত্নের সম্প্রতি প্রদর্শনী হলো শ্রীলঙ্কায়।
শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল জেম এবং জুয়েলারি অথরিটি জানিয়েছে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় নীলকান্তমণি। তিন মাস আগে রত্নপুরা খনি থেকে এই রত্ন উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই নীলকান্তমণির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কুইন অব এশিয়া’। রত্ন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রত্নের দাম হতে পারে ১০ কোটি ডলার।
রত্ন বিশেষজ্ঞ চামিলা সুরাঙ্গা জানিয়েছেন, অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড, টাইটানিয়াম, লৌহ এবং নিকেল রয়েছে এই নীলকান্তমণিতে। এই রত্নটি আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রির জন্য আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন চামিলা। আন্তর্জাতিক রত্ন সংগঠন এই রত্নের পরীক্ষার পর মান্যতা দিলে তবেই বিক্রি করতে পারবে শ্রীলঙ্কা সরকার।
গত জুলাই মাসে ৫১০ কেজি ওজনের নীলকান্তমণি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেটি অখণ্ড রত্ন ছিল না। ছোট ছোট নীলার ক্লাস্টার ছিল সেটি। কিন্তু এ বার অখণ্ড নীলা মিলল রত্নপুরা খনিতে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা