৩১০ কেজি ওজনের নীলকান্তমণি!
৩১০ কেজি ওজনের নীলকান্তমণি! - ছবি : সংগ্রহ
মাস তিনেক আগে খনি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিশালাকায় একটি নীলকান্তমণি। ৩১০ কেজি ওজনের সেই মূল্যবান রত্নের সম্প্রতি প্রদর্শনী হলো শ্রীলঙ্কায়।
শ্রীলঙ্কার ন্যাশনাল জেম এবং জুয়েলারি অথরিটি জানিয়েছে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় নীলকান্তমণি। তিন মাস আগে রত্নপুরা খনি থেকে এই রত্ন উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই নীলকান্তমণির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কুইন অব এশিয়া’। রত্ন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রত্নের দাম হতে পারে ১০ কোটি ডলার।
রত্ন বিশেষজ্ঞ চামিলা সুরাঙ্গা জানিয়েছেন, অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড, টাইটানিয়াম, লৌহ এবং নিকেল রয়েছে এই নীলকান্তমণিতে। এই রত্নটি আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রির জন্য আলোচনা চলছে বলেও জানিয়েছেন চামিলা। আন্তর্জাতিক রত্ন সংগঠন এই রত্নের পরীক্ষার পর মান্যতা দিলে তবেই বিক্রি করতে পারবে শ্রীলঙ্কা সরকার।
গত জুলাই মাসে ৫১০ কেজি ওজনের নীলকান্তমণি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেটি অখণ্ড রত্ন ছিল না। ছোট ছোট নীলার ক্লাস্টার ছিল সেটি। কিন্তু এ বার অখণ্ড নীলা মিলল রত্নপুরা খনিতে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
ভারতে বন্ধ হচ্ছে ক্রিপ্টোকারেন্সি
ক্রিপ্টোকারেন্সি পুরোপুরি বন্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক। ভারতের আর্থিক স্থিতাবস্থা আনার জন্যই তাদের এই প্রস্তাব বলে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফে জানানো হয়েছে। দিনকয়েক আগেই দেশের অর্থনীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের আইএমএফের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গীতা গোপীনাথ বলেছিলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা বন্ধ করা কার্যত অসম্ভব। তাই এটি ভারতে বন্ধ করার বদলে নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত সরকারের। কিন্তু তার দু’দিন পরেই ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তরফে সুপারিশ করা হলো সারা দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করার পক্ষে।
কেন্দ্রীয় বোর্ডের কাছে দেশের শীর্ষ ব্যাংকের তরফে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে আর্থিক স্থিতাবস্থার জন্যই দেশে এই ডিজিটাল মুদ্রা বন্ধ হওয়া দরকার। এ বিষয়ে আরবিআইয়ের আধিকারিকদের একটি সূত্র জানিয়েছে, বোর্ডেরও এই বন্ধের প্রস্তাব পছন্দ হয়েছে। আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ আগেই বলেছিলেন, গত কয়েক বছরে সারা বিশ্বে বিপুল চাহিদা তৈরি হওয়া ক্রিপ্টোকারেন্সি দেশের জন্য অন্যতম মাথাব্যথার বিষয়। কারণ, এর জন্য ম্যাক্রোইকনমি ভালো রকম প্রভাবিত হতে পারে।
আরবিআইয়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন এক সূত্রের দাবি, বোর্ডের বেশ কিছু সদস্য ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল সম্পদ নিয়ে একটি ভারসাম্য রক্ষা করে চলারই পক্ষে। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্র ও অর্থনীতি আরও ব্যাপ্ত করা প্রয়োজন। তবে যা নিয়ে আরবিআইয়ের মাথাব্যথা তা হল, যেহেতু ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিময়ের মাধ্যম বিদেশি মুদ্রা এবং নিজের পরিচয় প্রকাশ না করেও এতে লেনদেন করা সম্ভব তাই এর উপর সম্পূর্ণ নজরদারি চালানো বর্তমান পরিকাঠামোয় অসম্ভব। ২০১৮ সালেও একবার ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করার পথে হেঁটেছিল আরবিআই। কিন্তু সুপ্রিম নির্দেশে তা কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান বোর্ডে দেওয়া রিপোর্ট থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, নিজেদের অবস্থান থেকে গত তিন বছরে সরে আসেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাংকের বৈঠকে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। যার মধ্যে রিজার্ভ ব্যাংকের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা ও বেসরকারি ডিজিটাল মুদ্রার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনাও হয়। সংসদে সম্ভবত শীতকালীন অধিবেশনেই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়ক নীতি নির্ধারণে বিশেষ বিল আসতে চলেছে। তার আগে আরবিআইয়ের এই মত নিশ্চিতভাবেই আলাদা মাত্রা যোগ করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে মোদি কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন বলে খবর। তবে শেষ পর্যন্ত ডিজিটাল মুদ্রা ভারতে সবুজ সংকেত পাবে কি না তা বিশ বাঁও পানিতেই।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন