ধারেকাছে নেই বিরাট, রোহিত, অনন্য নজির রিজওয়ানের
নজির রিজওয়ান - ছবি : সংগ্রহ
বর্তমান ক্রিকেট দুনিয়ায় ভারতের বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা মেগা স্টার হিসেবে পরিচিত। প্রায় সব রেকর্ড তারা দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের রেকর্ডকেও ছাপিয়ে যাচ্ছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। বরং রিজওয়ান এমন কিছু রেকর্ডের অধিকারী হচ্ছেন, তা কোহিল বা শর্মার নেই। ফলে বিশেষ করে টি ২০ ক্রিকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ানই নতুন সেনসেশন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
অতি সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি ওপেনার ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ৮৭ রানের ওপেনিং ইনিংস খেললেন এবং হাতে বেশ কিছু ওভার বাকি থাকতেই পাকিস্তানকে ২০৮ রানের টার্গেট পাড় করতে সাহায্য করলেন। বাবর আজমের সাথে তিনি অসাধারণ ১৫৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। টি টোয়েন্টিতে মোহাম্মদ রিজওয়ান প্রথম খেলোয়াড় যিনি এক বছরে ২০০০ রানের গণ্ডি টপকালেন। এই ফরম্যাটে ২০২১ সালে পাকিস্তানি এই উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যান একটা সেঞ্চুরি আর ১৮টা অর্ধ শতরান করেছেন।
এর মধ্যে পাকিস্তানের হয়ে এসেছে ১,৩২৬ রান এবং বজায় রেখেছেন ম্যাচ প্রতি ৭৩ রানের গড়। তার এই বছরের একমাত্র সেঞ্চুরিটাও এসেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই। এই বছরে টি টোয়েন্টিতে তিনি সর্বোচ্চ রান করেছেন, দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাবর আজম করেছেন মাত্র ৯৩৯ রান। বৃহস্পতিবার করাচিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ২০ ওভারে ২০৭ রান তোলে।
এত বড় টার্গেট থাকা সত্ত্বেও টপকাতে বেশি অসুবিধা হয়নি পাকিস্তানের। তাদের ১৫০ রানের জুটি ম্যাচ জিততে সাহায্য করে। এটি বাবর এবং রিজওয়ানের ষষ্ট শতরানের পার্টনারশিপ। কে এল রাহুল এবং রোহিত শর্মার জুটিকে টপকে এই রেকর্ডের মালিক হলেন তারা। বাবর কাল ৭৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন যেটি তার ২০তম টি টোয়েন্টি অর্ধ শতরান, এই বছরে বিশ্বের মধ্যে যেটা সর্বাধিক।
এই বছরটা পাকিস্তানের দুই ওপেনারের জন্য অসাধারণ ছিল, ছয়টি শতরানের পার্টনারশিপের চারটিই আসে ২০২১ এ। এই বছরের শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তারা একটি অসাধারণ ১৯৭ রানের ইনিংস খেলেছিল। এটি তাদের সর্বোচ্চ রানের যুগলবন্দি। এর আগে মহম্মদ রিজওয়ান টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অসুস্থতা নিয়ে একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।
সেমি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৬৭ রানের ইনিংস খেলার পর সমালোচকদের যথেষ্ট প্রশংসা পান তিনি। তারপরেই একটি ছবি প্রকাশ হয়, যেখানে তাকে দেখা যায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে। তিনি জানান, ম্যাচের আগের দিন পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বুকে একটি ইনফেকশনের জন্য তাকে আইসি ইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই জায়গা থেকে উঠে বাইশ গজে দুরন্ত লড়াই, ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে জায়গা করে নেন পাকিস্তানি উইকেট রক্ষক। তার ধারেকাছে নেই ভারতের দুই সুপারস্টার বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মা।
সূত্র : নিউজ ১৮