ওজন কমাতেও অব্যর্থ ইসবগুল
ওজন কমাতেও অব্যর্থ ইসবগুল - ছবি সংগৃহীত
কোষ্ঠকাঠিন্যসহ পেটের যেকোনো সমস্যায় ইসবগুলের কার্যকারিতা আমরা জানি৷ কিন্তু আমরা কত জন জানি যে ওজন কমানোর জন্যেও এই ইসবগুল বেশ ফলপ্রসূ৷ বিশেষ করে যাদের মধুমেহ বা ডায়াবেটিস আছে, তাদের নিয়মিত ইসবগুল খাওয়া প্রয়োজন৷ এতে কোষ্ঠ পরিষ্কার থাকে৷ আবার ওজনও নিয়ন্ত্রিত হয়৷ কারণ ডায়াবেটিস রোগের সমস্যায় ওজন ঠিক রাখা একান্ত দরকার৷ হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে ইসবগুল আবশ্যক৷
যে গাছের বীজ থেকে ইসবগুল তৈরি হয় তার পোশাকি নাম ‘প্ল্যান্টাগো ওভাটা’৷ এই গাছের যে বীজ তার ফাইবার সমৃদ্ধ অংশ থেকেই তৈরি হয় সাইলিয়াম, যা আমরা ইসবগুল হিসেবে খাই৷ হৃদযন্ত্র ছাড়াও অগ্ন্যাশয় এবং ক্ষুদ্রান্তের জন্য এই উপাদান স্বাস্থ্যকর৷ দানা, গুঁড়ো বা ক্যাপসুল-যে কোনও আকারেই ইসবগুল খাওয়া যায়৷ সারা বিশ্বে পুষ্টি যোগানকারী সাপ্লেমেন্ট হিসেবে ইসবগুল অনন্য৷ পানি মেশালে একটি থিকথিকে পানীয় বা মিশ্রণ তৈরি হয়৷ ইসবগুলের এই মিশ্রণ পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে৷ ফলে নিয়ন্ত্রিত থাকে রক্তের শর্করা মাত্রা, কোলেস্টেরল এবং ট্রাই গ্লিসারাইড৷
ইসবগুল খেলে পেট অনেকক্ষণ পূর্ণ থাকে৷ ফলে খিদের অনুভূতি কম হয়৷ খিদের নামে উল্টোপাল্টা খাওয়াও বন্ধ করা যায়৷
হজমশক্তি উন্নত করার পাশাপাশি ইসবগুল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে৷ তাছাড়া কোলন ক্লেঞ্জিংয়ের ক্ষেত্রে ইসবগুল সহায়ক বলে মেদ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়৷ বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ওজন হ্রাসের পর্ব ত্বরান্বিত করে ইসবগুল৷ কর্মশক্তি বাড়িয়ে তোলা ইসবগুলে ক্যালরি নামমাত্র৷ তাই ক্যালরির ঘাটতি না করেই ওজন কমায় যে খাবারগুলো, তাদের মধ্যে ইসবগুল প্রথম সারিতে৷
সূত্র : নিউজ ১৮
আলজেইমারে সাথে টাইপ থ্রি ডায়াবেটিসের সম্পর্ক আছে?
আলজেইমার আর ডায়াবেটিস- দুটিই খুবই খারাপ রোগ। কিন্তু বর্তমান জীবনযাত্রায় অনেককেই উভয়টিতে কিংবা একটিতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
শরীরের বিভিন্ন অর্গান এবং রোগ একটি অন্যটির সাথে ব্যাপকভাবে জড়িত! ঠিক কেমন? এই যেমন প্রেসার, ব্লাড সুগার থেকে নানা অন্ত্র গোলমাল শুরু করে দেয় ঠিক তেমনই কিন্তু আলজেইমার একটি সাংঘাতিক সমস্যা ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে। অনেকেই মনে করেন এই রোগের পেছনেই রয়েছে ডায়াবেটিসের লক্ষণ! বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
অন্তত পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মার্ক হেইমান তাই মনে করেন। তিনি এই প্রসঙ্গেই বলছেন, যে নতুন গবেষণা থেকেই জানা গেছে, অতিরিক্ত মিষ্টি এবং কার্ব যুক্ত খাবার খেলেই ডায়াবেটিসের যেমন লক্ষণ মেলে এবং সেই থেকেই প্রধান কতগুলো শারীরিক গোলমাল যেমন স্মৃতি হ্রাস পাওয়া অথবা ভুলে যাওয়া এগুলো হতে থাকে, বিশেষ করে ৭০ থেকে ৮০ বছরের মানুষদের। এবং এর পরবর্তী লক্ষণ কিন্তু আলজেইমার।
বেশ কতগুলো বিষয়কেই তিনি দায়ী করেছেন, জানান এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতেই হবে নয়তো মুশকিল! যেমন :
* চিনি খাওয়া অবশ্যই কম করতে হবে! কারণ, চিনি অত্যধিক মাত্রায় খেলে অথবা অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করলেই ডিমেনশিয়া অবধারিত হতে পারে। তাই নিজের শরীরের দিকে নজর দিতেই, সঠিক পরিমাণে ফ্যাট অবশ্যই খেতে হবে – কারণ ফ্যাট না খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যাবে না। ডিমেনশিয়ার মতোই ডায়াবেটিস দ্বারাও আপনি এই একই কারণে ভুগতে পারেন। সেই থেকেও স্মৃতি হ্রাস হতেই পারে।
* স্ট্রেস কম করতেই হবে। কারণ স্ট্রেস কম না করলে মানসিক শান্তি নষ্ট হবে ফলেই সেই থেকেও ভুলে যাওয়ার রোগ আপনাকে ধরতে পারে। মানসিক ভাবে শান্ত থাকা অথবা রিলাক্স থাকা কিন্তু খুব জরুরি – তার জন্য যদি প্রাণায়াম অথবা যোগা কিংবা মেডিটেশন প্রয়োজন হয় সেটিও করতে পারেন।
* সঠিক পরিমাণে ঘুমের অভাব। ঘুম ঠিকমত না হলে মন মেজাজ কিছুই ভাল থাকে না এবং সেই সাপেক্ষেই বলা যায়, অনেক সময় ঘুমের কারণেই মানুষ অনেক কিছু ভুলে যান। সেই থেকেই এটি মারাত্মক আকার নিতে পারে। ধীরে ধীরে ইনসোমনিয়া এমনকি ডিমেনশিয়ার মতো রোগ খুব স্বাভাবিক বিষয়।
* সারা দিনে সময় করে ব্যায়াম করাও কিন্তু আপনার পক্ষে ভালো প্রমাণিত হতে পারে। এতে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মগজাস্ত্রও সক্রিয় থাকে, ফলেই ভুলে যাওয়া থেকে আপনি বিরত থাকেন। অন্তত ৩০ মিনিট মত সময় করে হাঁটা উচিত। বিশেষ করে যাদের পড়াশোনার কাজ, তাদের আরো বেশি সতর্ক হতে হবে।
রোগের জন্য শুধু ওষুধ নয়, নানাভাবে অভ্যাস বদল করেও নিজেকে ভালো রাখা যায়। সেদিকেই বেশি বেশি নজর দেয়া উচিত।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস