আলজেইমারে সাথে টাইপ থ্রি ডায়াবেটিসের সম্পর্ক আছে?
আলজেইমারে সাথে টাইপ থ্রি ডায়াবেটিসের সম্পর্ক আছে? - ছবি সংগৃহীত
আলজেইমার আর ডায়াবেটিস- দুটিই খুবই খারাপ রোগ। কিন্তু বর্তমান জীবনযাত্রায় অনেককেই উভয়টিতে কিংবা একটিতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
শরীরের বিভিন্ন অর্গান এবং রোগ একটি অন্যটির সাথে ব্যাপকভাবে জড়িত! ঠিক কেমন? এই যেমন প্রেসার, ব্লাড সুগার থেকে নানা অন্ত্র গোলমাল শুরু করে দেয় ঠিক তেমনই কিন্তু আলজেইমার একটি সাংঘাতিক সমস্যা ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে। অনেকেই মনে করেন এই রোগের পেছনেই রয়েছে ডায়াবেটিসের লক্ষণ! বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
অন্তত পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মার্ক হেইমান তাই মনে করেন। তিনি এই প্রসঙ্গেই বলছেন, যে নতুন গবেষণা থেকেই জানা গেছে, অতিরিক্ত মিষ্টি এবং কার্ব যুক্ত খাবার খেলেই ডায়াবেটিসের যেমন লক্ষণ মেলে এবং সেই থেকেই প্রধান কতগুলো শারীরিক গোলমাল যেমন স্মৃতি হ্রাস পাওয়া অথবা ভুলে যাওয়া এগুলো হতে থাকে, বিশেষ করে ৭০ থেকে ৮০ বছরের মানুষদের। এবং এর পরবর্তী লক্ষণ কিন্তু আলজেইমার।
বেশ কতগুলো বিষয়কেই তিনি দায়ী করেছেন, জানান এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতেই হবে নয়তো মুশকিল! যেমন :
* চিনি খাওয়া অবশ্যই কম করতে হবে! কারণ, চিনি অত্যধিক মাত্রায় খেলে অথবা অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করলেই ডিমেনশিয়া অবধারিত হতে পারে। তাই নিজের শরীরের দিকে নজর দিতেই, সঠিক পরিমাণে ফ্যাট অবশ্যই খেতে হবে – কারণ ফ্যাট না খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যাবে না। ডিমেনশিয়ার মতোই ডায়াবেটিস দ্বারাও আপনি এই একই কারণে ভুগতে পারেন। সেই থেকেও স্মৃতি হ্রাস হতেই পারে।
* স্ট্রেস কম করতেই হবে। কারণ স্ট্রেস কম না করলে মানসিক শান্তি নষ্ট হবে ফলেই সেই থেকেও ভুলে যাওয়ার রোগ আপনাকে ধরতে পারে। মানসিক ভাবে শান্ত থাকা অথবা রিলাক্স থাকা কিন্তু খুব জরুরি – তার জন্য যদি প্রাণায়াম অথবা যোগা কিংবা মেডিটেশন প্রয়োজন হয় সেটিও করতে পারেন।
* সঠিক পরিমাণে ঘুমের অভাব। ঘুম ঠিকমত না হলে মন মেজাজ কিছুই ভাল থাকে না এবং সেই সাপেক্ষেই বলা যায়, অনেক সময় ঘুমের কারণেই মানুষ অনেক কিছু ভুলে যান। সেই থেকেই এটি মারাত্মক আকার নিতে পারে। ধীরে ধীরে ইনসোমনিয়া এমনকি ডিমেনশিয়ার মতো রোগ খুব স্বাভাবিক বিষয়।
* সারা দিনে সময় করে ব্যায়াম করাও কিন্তু আপনার পক্ষে ভালো প্রমাণিত হতে পারে। এতে শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মগজাস্ত্রও সক্রিয় থাকে, ফলেই ভুলে যাওয়া থেকে আপনি বিরত থাকেন। অন্তত ৩০ মিনিট মত সময় করে হাঁটা উচিত। বিশেষ করে যাদের পড়াশোনার কাজ, তাদের আরো বেশি সতর্ক হতে হবে।
রোগের জন্য শুধু ওষুধ নয়, নানাভাবে অভ্যাস বদল করেও নিজেকে ভালো রাখা যায়। সেদিকেই বেশি বেশি নজর দেয়া উচিত।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস