শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায় কেন?

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Dec 12, 2021 03:52 pm
শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায় কেন?

শীতকালে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায় কেন? - ছবি সংগৃহীত

 

সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে অনেক কমবয়সীর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে হৃদ্‌রোগ বা হার্ট অ্যাটাক। যাদের বয়স চল্লিশের ঘরে, তাদের তো বটেই, এমনকি, যাদের বয়স কুড়ি কিংবা তিরিশের ঘরে, তারাও হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া বা হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ গুরুত্ব না দেয়া বা জীবনযাপে অনিয়ম যেমন কারণ হতে পারে, তেমনই আবহাওয়ার বদলও হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হতে পারে।

শীতকাল এমনিতে অনেকেরই প্রিয় মরসুম। বিশেষ করে বাঙালি সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে কয়েক দিনের শীতের জন্য। কিন্তু এই সময়ে নানা রকম রোগ-ব্যাধি বেড়ে যায়। জ্বর-সর্দি-কাশি যেমন বাড়ে, তেমনই বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও। সারা বছরই হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু শীত কালে বেড়ে যায় বলেই মনে হয়।

কেন এমন হয়?

যদিও খুব নির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই, তা-ও অনেকেই মনে করেন, হঠাৎ তাপমাত্রায় হেরফের হলে, তা প্রভাব ফেলে হৃদ্‌যন্ত্রের ওপরেও। বহু সমীক্ষায় দেখা গেছে শীতের মরসুমে হার্ট অ্যাটাক ছাড়াও হার্টের অন্যান্য সমস্যা এবং স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। শীতে আমাদের শরীরে স্নায়ুব্যবস্থার ‘সিমপ্যাথেটিক অ্যাক্টিভেশন’ বেড়ে যায়। তাই রক্তনালী সঙ্কুচিত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। একে বলে ‘ভ্যাসোকনস্ট্রিকশন’। এমন হলে শরীরে রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই সারা শরীরে রক্ত সরবারহ করতে আমাদের হৃদ্‌যন্ত্র দ্বিগুণ জোরে কাজ করা শুরু করে। বাইরের তাপমাত্রা অনেকটা কমলে, শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে অসুবিধা হয়। তাতে হাইপোথার্মিয়া হতে পারে যাকে হৃদ্‌যন্ত্রের রক্তনালীর ক্ষতি হয়। যাদের এমনিতেই কোনো রকম হৃদ্‌রোগ রয়েছে, তাদের শরীর এই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে হিমশিম খায়।

তার ওপর শীতে শরীরের অক্সিজেনের প্রয়োজন বেড়়ে যায়। ভ্যাসোকনস্ট্রিকশনের জন্য এমনিতেই রক্তনালী সরু হয়ে যায়। তাই হৃদ্‌যন্ত্রে কম পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায়। এতেই হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

শীতের আরো কিছু কারণে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে। ঠান্ডা পড়লে সকলেই একটু বেশি ঘরকুণো হয়ে যান। হাঁটাচলা বা শরীরচর্চা করার ইচ্ছা কমে যায়। তার ওপর খাদ্যাভ্যাসেও বদল আসে। এমন খাবার খাওয়া বেশি হয়ে যায় যা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাস্থ্যের ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি হয় নানা দিক থেকেই।

কী করণীয়

১। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র পরুন। শরীরে গরম থাকে যাতে সে দিকে খেয়াল রাখুন।

২। কোনো কোমর্বিডিটি থাকলে, সেই দিকে বিশেষ নজর দিন।

৩। খাওয়াদাওয়া বিশেষ নজর দিন।

৪। শারীরিক পরিশ্রম কমাবেন না।

৫। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে আপনার কী কী ধরনের ঝুঁকি হতে পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকুন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us