হারার পর শাস্তিও পেল রুটরা
হারার পর শাস্তিও পেল রুটরা - ছবি সংগৃহীত
একে তো অ্যাসেজ সিরিজের শুরুতেই দুরমুশ হতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে। তার উপর ব্রিসবেন টেস্টে হারের ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ইংল্যান্ড শিবিরে আরও বড়সড় আঘাত নেমে এলো আইসিসির তরফে। গাব্বায় স্লো ওভার-রেটের জন্য বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হলো ব্রিটিশ ক্রিকেটারদের। তার উপর কাটা গেল দলের মূল্যবান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট।
আসলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত ব্রিসবেন টেস্টে নির্ধারিত সময়ে বোলিং কোটা শেষ করতে পারেনি ইংল্যান্ড। সব দিক বিবেচনার পরেও তারা ৫ ওভার পিছিয়ে থাকে। ফলে আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্ট অনুযায়ী ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের জরিমানা করেন ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন। অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী স্লো ওভার-রেটের জন্য পয়েন্ট কাটা যায় ইংল্যান্ডের।
নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য ম্যাচ ফি'র ২০ শতাংশ হারে জরিমানা করা হয় ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের। এছাড়া প্রতি ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য ১ পয়েন্ট করে কেটে নেয়া হয়। সেই মতো ইংল্যান্ড ৫ ওভার পিছিয়ে থাকার জন্য জো রুটদের ম্যাচ ফি-র ১০০ শতাংশ জরিমানা ধার্য করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিল থেকে ৫ পয়েন্ট কাটা যায়।
জরিমানা নিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরের তেমন কোনো মাথাব্যথা না থাকলেও ৫ পয়েন্ট কাটা যাওয়া বড় ধাক্কা হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে রুটদের কাছে। কেননা এর আগে ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের সময়েও ২ পয়েন্ট কাটা গিয়েছিল ইংল্যান্ডের। সুতরাং সব মিলিয়ে তাদের সংগৃহীত পয়েন্ট থেকে মোট ৭ পয়েন্ট বাদ যায়। একটি টেস্ট জয়ের জন্য কোনো দল ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। সেই নিরিখে ৭ পয়েন্ট কাটা গেলে তা বড়সড় ক্ষতি বলে মনে হওয়াই স্বাভাবিক।
প্রাথমিকভাবে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে হারলেও ইংল্যান্ড ৫ ম্যাচে ২৩.৩৩ শতাংশ হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে অবস্থান করছিল। তবে ৫ পয়েন্ট কাটা যাওয়ায় তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫ শতাংশ হারে ৯ পয়েন্ট। ফলে তারা নেমে যায় সাতে। ইংল্যান্ডকে টপকে নিউজিল্যান্ড ছয়ে উঠে আসে।
গাব্বা টেস্টের মাঝেই পাওয়ার ফল্টের জেরে বন্ধ সম্প্রচার
এবার কারেন্টের জেরেই মুখ পুড়ল গাব্বায় ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যেকার প্রথম অ্যাসেজ টেস্ট আয়োজনকারীদের।
চতুর্থ দিন প্রথম সেশন চলাকালীনই হঠাৎ করে অ্যাসেজ টেস্টের সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। ভারতে অ্যাসেজ সম্প্রচারকারী সংস্থা সোনি স্পোটর্স নেটওয়ার্ক তৎকালীন জানায়, কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার জেরেই সম্প্রচার বিঘ্নিত হয়েছে। তারা টুইট করে লেখেন, ‘মাঠে পাওয়ার আউটরেজের জেরে আমদের টেকনিক্যাল সমস্যা হচ্ছে, যার কারণে অ্যাসেজ টেস্টের সরাসরি সম্প্রচার বিঘ্নিত হয়েছে। এই সমস্যার জন্য আমরা দুঃখিত।’
আদপে শুধু সোনি নয়, মাঠে ওয়ার্ল্ড ফিড- যার মাধ্যমে গোটা বিশ্বে খেলাটি সম্প্রচারিত হচ্ছিল, সেখানেই কারেন্টজনিত সমস্যার জোরে গোটা বিশ্বের জনগণই কিছু মুহূর্তের ম্যাচ দেখতে পারেননি। এমনকি চ্যানেল সেভেন, যারা অস্ট্রেলিয়ায় ফক্স স্পোটর্সের সঙ্গে যুগ্মভাবে সম্প্রচারের দায়িত্বে রয়েছে, তারা নিজেদের ক্যামেরার মাধ্যমে কিছুক্ষণ সম্প্রচার চালিয়ে গেলেও, তাও অবশেষে বিঘ্নিত হয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও কিছুক্ষণ পরে ঘটনাটিক সত্যতা স্বীকার করে নেয়।
ইংল্যান্ড দিনের শুরুতেই তিন উইকেট হারানোর পরেই এই ঘটনাটি ঘটে। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য আবার সবকিছু ঠিকঠাক হয়। চতুর্থ দিনের শুরুতে সেট ডেভিড মালান (৮২) ও জো রুট (৮৯), দুইজনেই নিজের শতরান হাতছাড়া করার পর তাসের ঘরের মতো ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ে। ২৯৭ রানেই রুটবাহিনী গুটিয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়া সহজেই ম্যাচটি নয় উইকেটে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস