যুক্তরাষ্ট্রকে ছেড়ে দেবে ভারত : নেপথ্যে এস ৪০০
এস ৪০০ -
ভারতের পররাষ্টনীতি সম্পর্কে নানা বাঁক পরিবর্তনের জল্পনা চলে আসছিল বেশ কিছু দিন ধরে। আফগানিস্তান থেকে ভারতের স্বার্থের কথা না ভেবে যুক্তরাষ্ট্রের নাটকীয় প্রস্থান আর বিপরীতে এম ৪০০-সহ একের পর এক রাশিয়ার সাথে ভারতের উচ্চ প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা চুক্তিতে নানা ধরনের টানাপড়েনের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। ট্রাম্পের পর জো বাইডেনের মতো উদারপন্থী ডেমোক্রেটের আমেরিকার প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণে এমনিতে নরেন্দ্র মোদির কিছুটা অস্বস্তি ছিল। তার উপর রাশিয়ার সাথে শিথিল প্রতিরক্ষা সম্পর্কের পরিণতি নিয়েও ভাবনায় পড়ে যান মোদি। ফলে দুই বৃহৎ শক্তির সাথে কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে নানা সমীকরণ সামনে চলে আসে। এ ধরনের এক জটিল সময় সন্ধিক্ষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভারত ও রাশিয়ার নেতাদের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ৬ ডিসেম্বর ভারতে আসছেন। কোভিড মহামারীর কারণে গত বছর স্থগিত করা হয়েছিল সফরটি।
আবার অতিঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্ক?
পুতিনের সফরের আগে, রাশিয়ান বিদেশ বিষয়কমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ৫ ডিসেম্বর দুই দিনের সফরে ভারতে আসছেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে অংশ নেবেন। দুই দেশের মধ্যে দুই প্লাস টু ফরম্যাটের সংলাপের অ্যাজেন্ডায় ‘পারস্পরিক স্বার্থের রাজনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা বিষয়গুলো’ থাকবে। ৬ ডিসেম্বরের টু প্লাস টু মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে রাশিয়া এবং ভারত আধাগোপনীয় এলাকাসহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ১০টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সংলাপে ভারতের পক্ষ থেকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন। সংলাপে অংশ নেয়া রাশিয়ার প্রতিনিধি থাকছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। এমনটিই জানানো হয়েছে। সঙ্গত কারণেই এ সময় সংবেদনশীল কিছু প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আগেই হুঁশিয়ার করে দেয়া হয়েছে রাশিয়ার তৈরি অস্ত্র কিনলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে নয়াদিল্লিকে। মিত্র দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া হুঁশিয়ারিতে মস্কো থেকে সমরাস্ত্র আমদানি করলে মার্কিন কাটসা আইনে (কাউন্টারিং আমেরিকাস অ্যাডভারসারিস থ্রু স্যাংশনস অ্যাক্ট) ভারতকেও যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে পরোক্ষে সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে ওয়াশিংটন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেছেন, ‘রাশিয়ার সাথে অস্ত্রচুক্তি নিয়ে ভারতকে ছাড় দেয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি। কাটসা আইনে কোনো এক বিশেষ দেশকে ছাড় দেয়ার কোনো বিধান নেই।’
এ নিয়ে খুব বেশি একটা তোয়াক্কা ভারত এ সময়ে করছে না বলে মনে হয় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাটের কথায়। তিনি লোকসভায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, রুশ এস-৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কেনার বিষয়টি একটি সার্বভৌম দেশের সিদ্ধান্ত। নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও ফৌজের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকার সমরাস্ত্র ক্রয় করে। নির্দিষ্ট সময়েই এস-৪০০ ভারতের হাতে আসবে।
রাশিয়া সম্প্রতি ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ ভারতে পাঠানো শুরু করলে এ নিয়ে তুঙ্গে পৌঁছেছে ভারত-আমেরিকার টানাপড়েন। ভারত প্রথম দেশ নয়; যার বিরুদ্ধে এস-৪০০ কেনার জন্য নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের আগে রাশিয়ার কাছ থেকে এ অস্ত্র কেনে তুরস্ক। ফলে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে ন্যাটো সদস্য দেশটিকে।
নয়াদিল্লি থেকে পাওয়া আভাস অনুসারে রাশিয়ার সাথে সামরিক চুক্তি বাতিল করবে না ভারত। মস্কোর সাথে বন্ধুত্ব বজায় রেখেই আমেরিকার সাথে সম্পর্ক মজবুত করতে চায় নয়াদিল্লি। বাইডেন প্রশাসনকেও সেই কথা মাথায় রাখতে হবে বলে বার্তা দিতে চায় দিল্লি। তাদের ধারণা কৌশলগত কারণে এশিয়া মহাদেশে চীনকে রুখতে ভারতের ওপরই ভরসা রাখতে হবে ওয়াশিংটনকে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে ব্রাসিলিয়ায় ব্রিকসের সাইডলাইনে বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পুতিনের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলনটি হবে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। পুতিন ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে তার সফর ভারতের সাথে ‘বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ বজায় রাখার জন্য নয় বরং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো গভীর করা। ওয়াশিংটনের সাথে নয়াদিল্লির ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও এর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
স্নায়ুযুদ্ধের সময় ভারত এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে একটি শক্তিশালী কৌশলগত, সামরিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর, রাশিয়া উত্তরাধিকার সূত্রে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পেয়েছে। উভয়ই এই সম্পর্ককে ‘বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ হিসাবে অভিহিত করে।
ঐতিহ্যগতভাবে ইন্দো-রাশিয়ান কৌশলগত অংশীদারিত্ব পাঁচটি প্রধান উপাদানের উপর নির্মিত: রাজনীতি, প্রতিরক্ষা, বেসামরিক পারমাণবিক শক্তি, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং আকাশ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি ষষ্ঠ, অর্থনৈতিক উপাদান গুরুত্বের সাথে যুক্ত হচ্ছে। উভয় দেশ ২০২৫ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যা ২০১৭ সালে প্রায় ৯.৪ বিলিয়ন ডলার ছিল। এ লক্ষ্য পূরণ করতে উভয় দেশ একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে।
ভারত-রাশিয়া আন্তঃসরকারি কমিশন উভয় দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ে বিষয়গুলো পরিচালনা করে। উভয় দেশই জাতিসঙ্ঘ, ব্রিকস, জি২০ এবং এসসিও অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য যেখানে যৌথ জাতীয় স্বার্থের বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করে। আর রাশিয়া প্রকাশ্যে বলেছে, ভারতকে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসন পেতে সমর্থন করে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। ২০১৭ সালে, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর হার্ডওয়্যার আমদানির প্রায় ৬৮ শতাংশ রাশিয়া থেকে এসেছিল, যা রাশিয়াকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের প্রধান সরবরাহকারী করে তোলে। ২০১৪ সালের বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস পোল অনুসারে, ৮৫ শতাংশ রাশিয়ান ভারতকে ইতিবাচকভাবে দেখে, মাত্র ৯ শতাংশ নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে। একইভাবে, মস্কোভিত্তিক বেসরকারি থিংকট্যাংক লেভাদা-সেন্টারের ২০১৭ সালের জনমত জরিপে বলা হয়েছে, রাশিয়ানরা ভারতকে তাদের শীর্ষ পাঁচটি ‘বন্ধু’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে, অন্যরা হলো বেলারুশ, চীন, কাজাখস্তান এবং সিরিয়া।
২০২০ সালে হিমালয়ে চীনের সাথে সীমান্ত উত্তেজনার সময় ভারতে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্তের সাথে সাথে ভারতে অস্ত্র ত্বরান্বিত করার সিদ্ধান্তের পরে জাতিসঙ্ঘে নয়াদিল্লিকে সমর্থন করতে মস্কো ভারত ও চীনের মধ্যে তার ‘নিরপেক্ষতা’ও ত্যাগ করে। ভারত জাতিসঙ্ঘে এর প্রতিদান দিয়েছে, অতি সম্প্রতি, রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলকে সমর্থন করে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও, রাশিয়া থেকে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনতে ভারতের সঙ্কল্প বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। গত দুই বছরে রাশিয়া ভারতের অস্ত্র সরবরাহকারী হিসাবে শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে, সক্রিয়ভাবে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের সাথে জড়িত থাকার চেষ্টা করার সময়, জ্বালানি সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিক, রাসায়নিক, উচ্চ প্রযুক্তির শিল্পের নতুন ক্ষেত্র, সাইবার, ডিজিটাল ফাইন্যান্স, অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্য ক্ষেত্র অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
ভারসাম্য কিভাবে করবে দিল্লি?
রাশিয়া এবং ভারত উভয়ই যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার সাথে জড়িত বিভিন্ন অংশীদারের সাথে মিলিত হওয়ার কারণে পার্থক্যের কিছু ক্ষেত্র উপেক্ষা করা কঠিন হবে। যুক্তরাষ্ট্র হলো রাশিয়ার প্রাথমিক প্রতিপক্ষ আর চীন ভারতের প্রধান প্রতিপক্ষ। এ দুই সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য কিভাবে রাখা যাবে সেটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমত, ইন্দো-প্যাসিফিক ধারণার একটি ভিন্নতর বোঝাপড়া এবং অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত সমন্বিত কোয়াডের পুনঃউত্থান এখানে বড় কোনো বাধা হয়ে উঠতে পারে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইন্দো-প্যাসিফিকের ধারণা সম্পর্কে খোলাখুলিভাবে সন্দিহান এবং কঠোর ছিলেন, যেটিকে তিনি চীন, এমনকি রাশিয়াকে ঠেকাতে মার্কিন কৌশল হিসাবে দেখেন। পুতিন নিজে অবশ্য ইন্দো-প্যাসিফিক এবং কোয়াডের বিষয়ে তার বক্তব্যে অধিকতর মধ্যপন্থী ছিলেন। তবে, ইন্দো-প্যাসিফিক ধারণা সম্পর্কে রাশিয়ার অভিজাতদের মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান বিতর্ক এবং উপলব্ধি রয়েছে যে ধারণাটির বিভিন্ন সংস্করণ রয়েছে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক সম্পর্কে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা থেকে ভিন্ন।
লাভরভের গত এপ্রিলে দিল্লি থেকে ইসলামাবাদে যাওয়ার সংবেদনশীল সিদ্ধান্ত অবশ্য ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের হতাশা বাড়িয়েছে। এটাকে মস্কোর বিচ্যুতি হিসাবে চিহ্নিত করতে চান তারা। সেই সাথে তারা বিচ্যুতির দ্বিতীয় ক্ষেত্র হিসাবে চিহ্নিত করতে চান আফগানিস্তানকে। সেখানকার অগোছালো মার্কিন প্রত্যাহার এবং কাবুলে তালেবানের ক্ষমতায় আসা ভারত ও রাশিয়াকে কাছাকাছি নিয়ে এসেছে বলে মনে করা হয়। পাকিস্তানের সাথে ক্রমবর্ধমান রাশিয়ান সম্পৃক্ততার ভারতের নীতিপ্রণেতাদের স্বপ্নকল্পনাকে বিভ্রান্ত করে। সম্ভাব্য দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনার তৃতীয় ক্ষেত্র হলো এ আস্থার অভাব যে দু’পক্ষ নিজেদের নতুন কৌশলগত অংশীদারদের সাথে কতদূর পর্যন্ত যেতে প্রস্তুত। এ অংশীদারিত্ব ভারতের যুক্তরাষ্ট্রের সাথে এবং রাশিয়ার চীনের সাথে। নয়াদিল্লির ধারণা, পুতিনের এ সফর ভারত ও রাশিয়াকে আস্থার সব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
নয়াদিল্লি এবং মস্কো এশিয়া বা ইউরোপে আধিপত্য বা প্রভাবশালী শক্তির উত্থানের ধারণাকে ঘৃণা করে। এই সাধারণ উপলব্ধিই একটি বহুমুখী এশিয়া এবং ইউরোপ নিশ্চিত করতে এক প্রাণবন্ত ভারত-রাশিয়া অংশীদারিত্বকে অনুপ্রাণিত করবে বলে দিল্লির কৌশলবিদরা উল্লেখ করছেন। এবার চতুর্থ ক্ষেত্র হিসাবে যেটির জন্য টেকসই মনোযোগ প্রয়োজন মনে করা হচ্ছে; তা হলো অর্থনৈতিক সম্পর্ক। প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের বাণিজ্য বা চীনের সাথে রাশিয়ার বাণিজ্যের তুলনায় অনেক কম। রাশিয়ার অর্থনীতির সাথে ভারত সম্পৃক্ততা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
এটি মেক ইন ইন্ডিয়া প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য রাশিয়ার আগ্রহ প্রতিফলিত হয়েছে। ভিলাই থেকে ব্রাহ্মোস পর্যন্ত সফল যৌথ উদ্যোগের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে দু’দেশের মধ্যে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক প্রাথমিকভাবে সরকার থেকে সরকার হলেও বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা ছাড়া, ভারত-রাশিয়ান অর্থনৈতিক সম্পর্ক সামনে আগানো কঠিন হবে বলে মনে করা হয়।
পরিশেষে, বিশ্ব ভূরাজনীতি এবং ভূ-অর্থনীতির পরিবর্তিত হাওয়ায় ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যকার একটি উষ্ণ এবং দীর্ঘ বন্ধুত্বের গ্যারান্টি খুব সহজ কোনো বিষয় হবে না। এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে ওয়াশিংটন চীনকে মোকাবেলা করতে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার ধারণা নিয়ে উৎসাহী। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে বন্ধন নানা কারণে ততটা দৃঢ় হয়ে উঠতে পারছে না।