বিয়ে পাগল নারী ৫২ বছর বয়সে নতুন পাত্র চান
বিয়ে পাগল নারী ৫২ বছর বয়সে নতুন পাত্র চান - ছবি সংগৃহীত
১১ বার বিয়ে করেছেন, কিন্তু কোনো স্বামী তাকে সংসারের সুখ দিতে পারেনি। তাই তিনি নতুন করে আবার ১২তম বিয়ে করতে চলেছেন। তাই জোরকদমে চলছে এখন পাত্র দেখার কাজ। এই বিশেষ পাত্রীটি হলেন আমেরিকার মনেটে নামক এক নারী। তিনি মনে করেন তার ভাগ্যটাই খারাপ, আজ পর্যন্ত সেইভাবে একটা বিয়েও টিকিয়ে রাখতে পারলে না। তাই ৫২ বছর বয়সেও নতুন করে সাংসারিক সুখ খোঁজার জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চাইছেন।
• ভাইয়ের বন্ধুকে বিয়ে করার জন্য পাগল
তবে পরিবার সূত্রে জানা গেছে ছোট থেকেই তিনি নাকি বিয়ে পাগল ছিলেন। স্কুল থেকে কলেজের গণ্ডিতে প্রবেশ করা মাত্রই প্রথম বিয়ে সেরে ফেলে ছিলেন। যৌবনে পাগল ছিলেন ভাইয়ের বন্ধুর জন্য। এতবার বৈবাহিক জীবনে এসেছে মনেটের সন্তানরা। যদিও তিনি তার সন্তানদের অত্যন্ত ভালোবাসেন।
• কেন টিকল না সংসার ?
মনেটের মতে তিনি সব থেকে বেশি ভালোবাসতেন পঞ্চম স্বামীকে। ষষ্ঠ স্বামীর আচার-ব্যবহার তার পছন্দ হলেও সেই সংসার টেকেনি। অষ্টম স্বামীর সাথে আলাপ অনলাইনে এবং নবম স্বামীর সাথে আলাপ একটি পাবে। প্রাইমারি স্কুলের বন্ধুকে বেছে নিয়েছিলেন দশম স্বামী হিসেবে। তবে ওই নারীর দাবি অনুযায়ী, কোনো স্বামী তাকে সাংসারিক সুখ দিতে পারেননি। তিনি শত চেষ্টা করেও কারো সাথেই সংসার টিকিয়ে রাখতে পারেননি।
• ২৮ জনকে প্রপোজ
৫২ বছর বয়সের মধ্যে তিনি প্রপোজ করেছেন প্রায় ২৮ জনকে। তারমধ্যে ইতিমধ্যে ১১ জনকে বেছে নিয়েছিলেন স্বামী হিসেবে। আপাতত আবার নতুন করে স্বামী খুঁজতে ব্যস্ত মনেটে । মনেটের পাত্র খোঁজার ব্যাপারে নেটিজেনরা অবাক হয়ে গেছেন। এখন দেখার মনেটে তার ১২ নম্বর স্বামীকে খুঁজে পান কিনা!
সূত্র : প্রথম কলকাতা
নারীরা কোনো পণ্য নয়, তাদের সম্মতি ব্যতীত বিয়ে হবে না : তালেবান
আফগানিস্তানের তালেবান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নারীদেরকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। কোনো নারীর সম্মতি ব্যতীত বিয়ে বৈধ হবে না। শুক্রবার নারী অধিকারের বিষয়ে তালেবান কর্তৃপক্ষ এমন আইন জারি করেছে।
তালেবান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত আইনে নারীদের বিয়ে ও সম্পদের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ আইনে প্রত্যেক নারীকে সম্পদের অধিকার দেয়া হয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে যে নারীদের পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না এবং বিয়ের সময় তাদের সম্মতি নেয়া বাধ্যতামূলক।
নারী অধিকারের বিষয়ে তালেবান কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুহাজিদ বলেন, নারীকে পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। মূলত নারীরা হলেন মহান ও স্বাধীন সত্তা। আফগান সমাজে শান্তি রক্ষা এবং শত্রুতা নিরসনে কোনো নারীকে জোর করে বিয়ে দেয়া যাবে না। কোনো নারীর সম্মতি ব্যতীত বিয়ে বৈধ হবে না। নারীরা সম্পদের অধিকার পাবে। এমনকি বিধবারা তাদের মৃত স্বামীর সম্পদে একটি নির্দিষ্ট অংশ পাবে।
তালেবান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত এ আইনে আরো বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের প্রত্যেক আদালতে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় তালেবান কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত এ আইন অনুসরণ করতে হবে। আফগানিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে এ জারিকৃত আইন প্রচার করতে হবে।
সূত্র : রয়টার্স