বিরক্তিকর ফাংগাল ইনফেকশন, ৮টি টিপস
বিরক্তিকর ফাংগাল ইনফেকশন, ৮টি টিপস - ছবি সংগৃহীত
মুখ ও সারা শরীরে ত্বকের যত্ন নিতে গিয়ে অনেকেই ভুলে যান পদযুগলের কথা। বিশেষ করে শীতে এর বিশেষ যত্ন না নিলে প্রথমেই পা ফাটতে শুরু করে। এছাড়াও পায়ের নখে ফাংগাল ইনফেকশনও দেখা যায়। ফলে পা থেকে সহজেই দুর্গন্ধ বেরোনোর প্রবণতা থাকে। জেনে নেয়া যাক শীতে পায়ের যত্ন নিতে এবং ফাংগাল ইনফেকশন এড়িয়ে চলতে কী কী করবেন।
* সঠিক মোজা পরতে হবে। অবশ্যই দেখবেন আপনি পরিষ্কার মোজা পরছেন কিনা। শীতকালে পা গরম রাখতে মোটা কাপড়ের মোজা পরতে পারেন।
* পায়ের ত্বক মসৃণ রাখতে অবশ্যই নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে পা ফাটা এড়াতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
* সঠিক জুতা পরতে হবে। পায়ে কষ্ট দেয় বা খুব জোরে চেপে রাখে এমন জুতো পরা এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়া জুতার ভিতর পরিষ্কার আছে কি না দেখে নিতে হবে।
* রাস্তায় বা কোনো পাবলিক প্লেসে খালি পায়ে হাঁটবেন না। খালি পায়ে হাঁটলেও তারপরে পা ভালো করে পরিষ্কার করে তার পরে জুতা পরুন।
* পায়ে যদি ফাংগাল ইনফেকশন হয়ে থাকে তবে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করুন। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নখে টি ট্রি অয়েল লাগান তুলা দিয়ে।
* একই পদ্ধতিতে ওরিগ্যানো অয়েল তুলা দিয়ে পায়ে লাগাতে পারেন। যেই নখে ফাংগাল ইনফেকশন হয়েছে সেখানেই লাগান।
* একটি বালতিতে পানির সাথে ভিনিগার মিশিয়ে তার মধ্যে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। উপকার পাবেন তাড়াতাড়ি।
ত্বক রাখতে যা করতে হবে
শীত এসে গেছে। শীতে আরামের জন্য, শরীর গরম রাখার জন্য আমরা গরম পোশাক পরে থাকি বা স্যুপ ইত্যাদি খেয়ে থাকি। শরীর (ঠিক রাখতে এই সময় যেমন শরীরের বাড়তি যত্ন নিয়ে থাকি, তেমনই বাড়তি যত্ন নিতে হয় ত্বকেরও। আর যত্ন নিতে মেনে চলা যেতে পারে এই নিয়মগুলো-
লেয়ার আপ : শুধু পোশাকের ক্ষেত্রেই নয়, লেয়ারিং আপ দরকার ত্বকের যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রেও। কারণ এই সময় ত্বকের সমস্ত স্তরের ময়েশ্চারাইজারের দরকার পড়ে ফলে সমস্ত স্তরে তা পৌঁছানো প্রয়োজন। আর এই রুক্ষ, শুষ্ক ওয়েদারে ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রাখতে ময়েশ্চারাইজারের জুরি মেলা ভার। ময়েশ্চারাইজার ছাড়াও শীতে ত্বকের সমস্ত স্তরকে ভালো রাখতে সেরামের ব্যবহারও করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পূর্বে সেরাম লাগালে ভালো।
ত্বকের ক্ষত সারানো : বাড়ির ভেতর গরম এবং বাইরে ঠাণ্ডা, সাথে প্রবল ঠাণ্ডা হাওয়া ত্বকে একাধিক ক্ষতি করে। এই সময় ঠোঁট ফাটে, রুক্ষ হয়ে যায়। তাই ত্বকের গভীরভাবে ময়েশ্চারাইজিংয়ের দরকার পড়ে, যাতে সমস্ত টিস্যু ভালো থাকে। এর জন্য হাইলুরনিক অ্যাসিড, সেরামাইডস, কপার পেপটাইডস, স্কোয়ালেন ইত্যাদি আছে এমন কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।
হাইড্রেটেড রাখতে হবে ত্বককে : গোসলে পর বা শেভিংয়ের পর হালকা কোনো লোশন লাগানো যেতে পারে। ত্বক শুকনো লাগলেই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। বাইরে বের হলে এক্ষেত্রে সাথে ছোট কোনো জার বা কৌটোয় ক্রিম নিয়ে বেরোতে হবে।
বেশ কিছু জিনিসে পরিবর্তন আনতে হবে : শীতে খাদ্যাভাসের সাথেই পরিবর্তন আনতে হয় বেশ কিছু বিষয়ে। তার মধ্যে অন্যতম ত্বকের যত্ন ও দেখভাল। এই সময় ত্বক যা চাইবে সেটাই শোনা ভালো। এবং ত্বক কিসে ভালো থাকছে সে বিষয়ে নজর দেয়া প্রয়োজন।
অনেকের ত্বকই সেনসিটিভ। কিছু ব্যবহার করলেই সমস্যা হতে শুরু করে। এই সময় এই ধরনের মানুষজনকে নিজের ত্বকের প্রতি অনেক বেশি যত্নশীল হতে হয়। কারণ ত্বক শীতে খারাপ হতে শুরু করে। তাই এক্সফোলিয়েশন থেকে দূরে থাকতে হয়। স্ক্রাবিং না করাই ভালো। এর সাথে ঠোঁট, হাত, পায়ের পাতারও যত্ন নিতে হবে।
ত্বকে যেকোনো জিনিস লাগালেই হয় না, তা ভালো করে লাগাতে হয়, যাতে ত্বকের ভিতর পর্যন্ত পৌঁছায়। ফলে ত্বকে ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে যাতে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে।
সূত্র : নিউজ ১৮