কী করবেন রশিদ খান?

রশিদ খান - ছবি : সংগৃহীত
বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মাদের মতো বড় ব্যাটসম্যানদের বোকা বানিয়েছেন কয়েকবার। তাছাড়া টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে রশিদ খান একটা বড় ফ্যাক্টর। বেশি উইকেট না পেলেও তার চার ওভার টার্গেট করতে ভয় পান ব্যাটসম্যানরা। তাই তিনি যে দলে থাকবেন, সেই দল কিছুটা সুবিধা পাবে আশ্চর্যের কিছু নেই।
এখন কী করবেন হায়দরাবাদের আফগান ক্রিকেটার রশিদ খান? হাতে রয়েছে আর মাত্র দু'দিন সময়। তার মধ্যেই একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে আইপিএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। বেশি ভাবার সময় নেই। যা করতে হবে দ্রুত। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ তথা আইপিএলের পরবর্তী আসরের জন্য রিটেনশনের ডেডলাইন যত এগিয়ে আসছে, ততই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ব্যস্ততা বাড়ছে। নিলামের আগে যদি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি সবচেয়ে খুশি থাকে, সেটা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। বিতর্কে জর্জরিত দলটি নতুন করে গুছিয়ে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
কিন্তু রিটেনশন নিয়মের কারণে তৈরি হয়েছে ঝামেলার। ৪ জন ক্রিকেটার ধরে রাখার সুযোগ থাকলেও সানরাইজার্স ২ জন ধরে রাখবে। এই দুই ক্রিকেটার হলেন- রশিদ খান এবং কেন উইলিয়ামসন। ক্রিকবাজ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই দুজনের থেকে কোন ক্রিকেটারকে তারা প্রথম রিটেনশন বানানো হবে- সেটা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এক নম্বর রিটেনশন হিসাবে ধরে রাখতে চাইছে কেন উইলিয়ামসনকে। দ্বিতীয় বাছাই রশিদ খান। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম রিটেনশনের ক্ষেত্রে বেতন বেশি দিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। দ্বিতীয় রিটেনশন আবার প্রথমের থেকে বেতন অনেকটাই কমে পাবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় রিটেনশনের ক্ষেত্রে বেতনের ফারাক হবে প্রায় ৪ কোটি রুপি। এই কারণেই রশিদ খান দলের একনম্বর রিটেনশন হতে চান, যাতে কেন উইলিয়ামসনের চেয়ে তার বেতন বেশি হয়।
এমনিতে রশিদ খান সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এক নম্বর বোলিং অস্ত্র। অন্যদিকে দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে বিশ্বের যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই পেতে চাইবে। এমন অবস্থায় কোন তারকাকে প্রথম রিটেনশন করা হবে, সেটা ঠিক করতে ঝামেলায় পড়েছে সানরাইজার্স। ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই রিটেনশনের তালিকা জমা দিতে হবে। রশিদের দাবি পূরণ না হলে তিনি হয়তো বেশি টাকার জন্য নিজেকে নিলামে তুলবেন।
তবে দলের প্রধান বোলারকে হারাতে চাইবে না সানরাইজার্স। অন্যদিকে নতুন দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি লখনউ এবং আহমেদাবাদ বেশি টাকা দিয়ে টার্গেট করতে পারে রশিদ খানকে। আফগান স্পিনারকে নিয়ে টানাটানি হবে নিলামে, সেটা স্পষ্ট। বল করার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। ভারতের সব পিচে সফল।
বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মাদের মতো বড় ব্যাটসম্যানদের বোকা বানিয়েছেন কয়েকবার। তাছাড়া টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে রশিদ খান একটা বড় ফ্যাক্টর। বেশি উইকেট না পেলেও তার চার ওভার টার্গেট করতে ভয় পান ব্যাটসম্যানরা। তাই তিনি যে দলে থাকবেন, সেই দল কিছুটা সুবিধা পাবে আশ্চর্যের কিছু নেই।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস