খেলা শুরুর আগেই ভয় পেয়েছিল কোহলিরা!
খেলা শুরুর আগেই ভয় পেয়েছিল কোহলিরা! - ছবি : সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে বড় ধরনের মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক। এই ম্যাচে বিরাট কোহলিদের ১০ উইকেটে হারিয়েছিল বাবর আজমরা। ক্রিকেট বিশ্বকাপের যেকোনো ফর্ম্যাটে পাকিস্তানের কাছে এটাই ছিল ভারতের প্রথম পরাজয়। তিন দশকের মধ্যে ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপের ম্যাচে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান।
ইনিংস শুরু করতে গিয়ে অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করেন বাবর আজম ও মোহম্মদ রিজওয়ানরা। দুই ব্যাটারের ইনিংসের কারণে পাকিস্তান সহজেই কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৫২ রানের লক্ষ্য পৌঁছে গিয়েছিল। প্রায় এক মাস পরে এবার সেই ম্যাচ নিয়ে এক বড় মন্তব্য করে বসলেন ইনজামাম।
ম্যাচ শুরুর আগেই ভয় পেয়ে যায় বিরাটের দল। ২৪ অক্টোবর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ভারত-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটি নিয়ে অনেক কিছু লেখা ও বলা হয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক মনে করেন, বিশ্বকাপের ম্যাচ শুরুর আগেই বিরাট কোহলির টিম ইন্ডিয়াকে ভয় পেয়েছিলেন। এআরওয়াই নিউজের সাথে কথা বলতে গিয়ে ইনজামাম বলেন, ‘আমার মনে হয় ম্যাচ শুরুর আগেই ভারতীয়রা ভয় পেয়ে গিয়েছিল, টসের সময় বিরাট কোহলি ও বাবর আজমের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখলে বুঝতে পারবেন কারা চাপে ছিল। আমাদের দলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ওদের থেকে অনেক ভালো ছিল, রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর ভারত চাপে ছিল না। রোহিত শর্মাও চাপে ছিলেন। এটা স্পষ্ট যে তারা সবাই চাপের মধ্যে ছিল।’
বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে বর্ণহীন দেখাচ্ছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়া যে নিজেদের স্ট্যামিনা দেখাতে পারেনি তা পরিষ্কার। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি ভারত। আট বছরে এই প্রথম টিম ইন্ডিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি। এর পরে, ভারত বিশ্বকাপে আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড এবং নামিবিয়াকে হারিয়েছিল কিন্তু সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি। তবে এখানেই থেমে থাকেননি ইনজামাম।
প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক মনে করেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পরও চাপ কাটিয়ে উঠতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। ইনজামাম বলেন, পাকিস্তানের পরাজয়ের পরে ভারতীয় দল এতটাই চাপের মধ্যে ছিল যে হারের পরে নিজেদের পুনরুদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছিল। যা তাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযানকে প্রভাবিত করেছিল। তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছে ভারতীয় দল সেভাবে খেলে না, ভারত একটি ভালো টি-টোয়েন্টি দল, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
খাজার আত্মত্যাগ!
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার একদিকে যখন যৌন কেলেঙ্কারির বিতর্ক সঙ্গে অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগের মতো ঘটনা ঘটছে, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে তখন স্বার্থত্যাগের ছবি দেখছে বিশ্ব ক্রিকেট। বড় মনের পরিচয় দিলেন উসমান খোয়াজা। যার ফলে তিনি ক্রিকেট বিশ্বের মন জয় করলেন। আসন্ন অ্যাশেজের জন্য দলে কে জায়গা পাবেন? দলে ঢোকার জন্য খাজার সাথে লড়াই চলছে ট্রাভিস হেডের।
অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট শেফিল্ড শিল্ডে খোয়াজার কুইন্সল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলা ছিল সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেডের। প্রথম ইনিংসে ১৯৭ রানে পিছিয়ে ছিল সাউথ অস্ট্রেলিয়া। এমন সময় কুইন্সল্যান্ডের অধিনায়ক উসমান খাজার সামনে সাউথ অস্ট্রেলিয়াকে ফলো-অন না করানোর মুহূর্ত আসে। যদি খাজা ফলো অন না করিয়ে নিজে ব্যাট করতেন তাহলে নির্বাচকরা তাকেই দেখতেন এবং ট্রাভিস হেডের দলে ঢোকার জায়গা থাকত না। কারণ হেডের নির্বাচকদের নজরে আসার সুযোগ থাকত না। কিন্তু সেটা করেননি খাজা। অ্যাশেজের দল নির্বাচনের আগে রান করে নির্বাচকদের নজরে পড়ার সুযোগ পেয়েও হেডকে ব্যাট করানোর জন্য তিনি সাউথ অস্ট্রেলিয়াকে ফলো-অন করতে পাঠান।
খাজাকে টপকে জাতীয় দলে ঢোকার ক্ষেত্রে বিপক্ষ অধিনায়ক হেডকে সুযোগ করে দেন। সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজ লাগিয়ে দুর্দান্ত শতরান করেন হেড।
ম্যাচের পরিস্থিতির নিরিখে খোয়াজার সিদ্ধান্তই হয়ত সঠিক ছিল। খোয়াজাদের জিততে অবশ্য অসুবিধে হয়নি। কুইন্সল্যান্ড ৮ উইকেটে হারিয়ে দেয় সাউথ অস্ট্রেলিয়াকে। গুরিন্দার সান্ধু ৬ উইকেট নেন।
কিন্তু জাতীয় দলে ঢোকার ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা খেলেন খোয়াজা। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন-আপে পাঁচ নম্বর জায়গার জন্য এখন হেডের দিকেই পাল্লা ভারী।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস