দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখছেন? হতে পারে যেসব ক্ষতি
দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখছেন? হতে পারে যেসব ক্ষতি - ছবি সংগৃহীত
ঘটনাটি সবসময় থাকে। তবে শীতকালেই তুলনামূলক বেশি দেখা যায়। শীতকালে এমনিতেই পানি কম খাওয়া হয়। কিন্তু শুষ্ক আবহাওয়াতেই শরীরে পানির প্রয়োজনীয়তা বেশি। তার চেয়েও বেশি সমস্যার হলো, অনেকেই প্রস্রাব দীর্ঘ সময় চেপে রাখেন। আবার বাইরে গেলে প্রস্রাবের ভয়ে পানিই কম খান। এই অভ্যেস কিন্তু নারীদের সবচেয়ে বেশি। আর এর ফলেই শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। হতে পারে মূত্রনালীতে ভয়ংকর সংক্রমণ।
পানি কম খাওয়া যেমন ক্ষতিকর, প্রস্রাব দীর্ঘক্ষণ শরীরের ভিতরে রাখাটাও ক্ষতিকর। এর ফলে মূত্রথলিতে চাপ পড়ে এবং শরীরে নানাবিধ ক্ষতি হয়। মানুষের মূত্রথলিতে সর্বাধিক ১৬ আউন্স বা দু'কাপের মতো মূত্র জমা হতে পারে। কত তাড়াতাড়ি মূত্রথলি পূর্ণ হবে তা বিভিন্ন ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভর করে। প্রতি মানুষের ক্ষেত্রেই তা ভিন্ন।
দীর্ক্ষক্ষণ প্রস্রাব না করলে মূত্রনালিতে সংক্রমণ হতে পারে। কারণ মূত্রথলিতে জমে থাকা প্রস্রাব ব্যাকটিরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়। এর ফলে বড়সড় ক্ষতি হতে পারে কিডনিরও। মূত্রথলির সঙ্গে কিডনি যুক্ত থাকে। কিডনিতে এক দিকে যেমন সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে, অন্য দিকে, এর ফলে কিডনির উপরও প্রবল চাপ পড়ে। তাতে কিডনি বিকল হওয়ারও আশঙ্কা থেকে যায়।
প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীরের টক্সিন দূর হয়। প্রস্রাব দেহ থেকে না বেরলে শরীরে টক্সিন জমতে শুরু করে। যা খুবই ক্ষতিকর। ফলে কোনোভাবেই পানি কম খাওয়ার অভ্যেস করা যাবে না। বাইরে গেলে টয়লেটে যেতেই হবে, সেক্ষেত্রে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া দূর করার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
কিছু উপসর্গ দেখলেই তাই সতর্ক থাকতে হবে। সাধারণত এই অসুখে প্রস্রাবে জ্বালা, বার বার মূত্রের বেগ আসা অথচ পরিমাণে ততটা মূত্র না হওয়া, কোমরে ও পেটে ব্যথা এ সব থাকেই। সাথে কারো কারো ক্ষেত্রে এই ইনফেকশনের কারণে তীব্র জ্বর আসতে পারে, সাথে মাথা ঘোরাও থাকে। অনেকের বেলায় আবার প্রস্রাবের সময় রক্তপাতও হতে পারে।
নিয়ম মেনে শরীরে যতটা পানির প্রয়োজন, ততটাই পানি খেতে হবে। যত বেশি বার মূত্র নির্গত হবে, ততই শরীর থেকে টক্সিন বের হবে। এতে মূত্রথলিতে জীবাণুর বাসা বাঁধার শঙ্কাও কমে। যেকোনো সুলভ শৌচালয় বা অপরিষ্কার টয়লেট ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন। চেষ্টা করুন বাড়ির বাইরে ইউনিরাল ব্যবহার না করতে, একান্তই করতে হলে খুব পরিষ্কার টয়লেট ব্যবহার করুন।
সুলভ অনেকেই ব্যবহার করেন, তাই জীবাণু বা রোগ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা বেশি। একান্তই পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে গেলে টয়লেট সিট ক্লেনজার রাখুন সাথে। প্রতি দিন দু'বেলা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বিশেষ কোনো জেল বা সাবান দিয়ে গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করুন। প্রতি বার মূত্র ত্যাগের পর মূত্রের জায়গাটি খুব ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে।
সূত্র : নিউজ ১৮