মালালার ভাবনা
স্বামীর সাথে মালালা - ছবি সংগৃহীত
চব্বিশ বছর বয়সীরা নিজেদের জীবনসঙ্গী নিজেই বেছে নেবে এটা পাকিস্তানি সমাজ তেমন উৎসাহিত করে না। তবে নোবেল বিজয়ী মালালার নিকাহ ঘোষণার বিষয়টি ভিন্ন মাত্রার। বিশেষ করে ব্রিটিশ ভোগ পত্রিকায় বিতর্কিত সাক্ষাৎকারের পর তার ভবিষ্যৎ জীবন ও বিয়ে নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। মাত্র চার মাসের ব্যবধানে কেন তার ধারণা উল্টে গেল সেটি নিয়েও অনেকেই চিন্তাভাবনা করেছেন। কেউ বলেছেন, ‘তালেবানের ভয় ও মৃত্যুভীতি’, কেউ বলেছেন ‘মায়ের ইচ্ছা’, অন্যরা বলছেন, ‘গোপন প্রেম ও আসার মালিকের সাথে ঝগড়া করে খোদ বিয়ে করা অস্বীকার করা’ এসব নানা কিছু।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজার আসার মালিকের সাথে বিয়ের খবর নিজেই প্রকাশ করে মালালা সবাইকে অবাক করে দেন। গোলাপি পোশাকে ছবিসহ টুইটারে মালিকের সাথে বিয়ের কথা ঘোষণা দিয়ে মালালা লিখেছেন, ‘আজ আমার জীবনের একটি মূল্যবান দিন। আসার এবং আমি জীবনের অংশীদার হওয়ার জন্য বিয়ের গাঁটছড়া বেঁধেছি। আমরা আমাদের পরিবারের সাথে বার্মিংহামের বাড়িতে একটি ছোট নিকাহ অনুষ্ঠান উদযাপন করেছি’।
মালালাকে আমরা অভিনন্দন জানাই। মালালা আগে যা বলেছেন সে বিষয়ে বিয়ের ঘোষণাই একমাত্র উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া। তবে কিছু নারীবাদী সংস্থা এ ঘোষণায় আহত হয়েছেন। বাংলাদেশী-সুইডিশ-ভারতীয় লেখিকা তসলিমা নাসরিনও মর্মাহত। তিনি বলেছেন ও আশা প্রকাশ করেছেন, মালালা ‘অক্সফোর্ডের একজন সুদর্শন প্রগতিশীল ইংরেজের প্রেমে পড়বেন’ এবং ‘৩০ বছর বয়সে বিয়ে করবেন’, যার ফলে বর্ণবাদ এবং শ্রেণীবাদের সহজাত যৌনতাবাদী বিতর্কে সুস্থভাবে যুক্ত হবেন। তসলিমা নাসরিন জীবনে দুজন ইসরাইলিসহ অসংখ্য জ্ঞানী গুণীর প্রেমে পড়েছেন। তাদের পরিচয় তিনি নিজেই বিভিন্ন লেখায় দিয়েছেন। নাসরিন বলতেন, ‘কেন আমার মা গভীর রাতে উঠে নামাজ পড়তেন, বুঝি না।’ তিনি অনেক নারীবাদীর মতো ‘যৌনাঙ্গের স্বাধীনতার’ প্রবক্তাও।
১৯৯২ সালে ভারতে ষোড়শ শতাব্দীর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় তার বই লেখার কারণে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটে। মুসলিম অনেক গোষ্ঠী তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার পর তসলিমা প্রায় ২৭ বছর ধরে নির্বাসনে। সাম্প্রতিক অতীতে, নাসরিন হিন্দু জাতীয়তাবাদ সমর্থন করেছেন এবং মুসলিম নাগরিকত্ববিরোধী আইন ও বিজেপির নীতিকে সমর্থন করে ‘সুবিধাবাদী’ হিসাবেও সমালোচিত হয়েছেন।
নারী অধিকার সংগঠন ‘আওরত ফাউন্ডেশন’-এর আবাসিক পরিচালক মাহনাজ রহমান, মালালা পাকিস্তানিকে বিয়ে করায় তসলিমা যে সমালোচনা করেছেন তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু তসলিমা জোর দিয়ে বলেন, তার প্রধান উদ্বেগ হচ্ছে, মালালা বিশ্বের অনেক যুবতীর জন্য যিনি একটি আইকন, ২৪ বছর বয়সে বিয়ে করে একটি ভুল বার্তা পাঠালেন। তসলিমা ‘দিস উইক ইন এশিয়া’য় মন্তব্য করেন, ‘মহিলারা, যারা সব সময় মালালার দিকে তাকিয়ে ছিলেন এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন, তারা এখন ধরে নেবেন যে আর্থিকভাবে স্বাধীন না হয়ে ২০ এর দশকের শুরুতে বিয়ে করতে কোনো ভুল নেই। এটি অবশ্যই পিতৃতান্ত্রিক উপমহাদেশে নারী অধিকার আন্দোলনের জন্য একটি ধাক্কা।’
বেশিরভাগ গর্জন-শোরগোল এসেছে উদারপন্থীদের কাছ থেকে যারা দীর্ঘদিন ধরে মালালাকে ‘চ্যাম্পিয়ন’ করার জন্য শ্রম দিয়েছেন। তারা মালালার বিয়ে করার সিদ্ধান্তকে নারীবাদের প্রতি অপমান এবং তার মিশনের ‘বিরোধিতা’ বলে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছেন। অবস্থাটা এমন যেন ‘সার্বজনীন মেয়েদের শিক্ষা’ ‘নারী উন্নয়ন ও অধিকার আন্দোলন’ এসব বিয়ের সাথে সহাবস্থান করতে পারে না।
মালালার ‘পুরুষ-মহিলার মিলন’ কতটুকু সম্মতিসূচক সেটি এখনও নির্ধারিত হয়নি। উপমহাদেশে প্রায় সকল সমাজে বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাস সত্ত্বেও রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি হলো, একটি মেয়ে লেখাপড়া শেষ করবে, বাবা-মার পছন্দমতো একজনকে বিয়ে করবে, সন্তান উৎপাদন করবে এবং বাড়ির কাজ করবে। কিন্তু মালালার এই খুশির সংবাদের প্রতিক্রিয়া একই রকম উদার দৃষ্টিভঙ্গির রূপরেখা তৈরি করে বলে কি মনে হয়? সামাজিক ওই প্রত্যাশাগুলোর প্রেক্ষিতে মালালার এই আচরণ কতটুকু গ্রহণযোগ্য তা মালালার চিন্তাধারার আলোকে নতুনভাবে বিশ্লেষিত হতে পারে।
মালালার নিন্দুকদের মতে, একটি সমস্যা হলো তিনি ফ্লিপ-ফ্লপ করেছেন। ভোগ ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকারে তিনি বিবাহ প্রতিষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং অংশীদারিত্ব বা সহ-অবস্থানকে সমর্থন করেছিলেন। আর চার মাস পরে, তিনি বিয়ে করেন ও প্রথম দিন থেকেই স্বামীর প্রশংসায় টুইটের বান বইয়ে দিতে থাকেন। ভারতীয় উপমহাদেশের একজন নববধূ যা সচরাচর করে না। যিনি বিয়েকে অর্থহীন বলেছেন এখন যৌথ-জীবনের প্রশংসা করছেন, এই মনপরিবর্তন কি তার নারীবাদী এবং ক্ষমতায়নের সমস্যার সৃষ্টি করবে? তার প্রত্যাশার কি মৃত্যু হবে? বিশ্বের মহিয়সী নারীরা কি ‘বিয়ের বিরোধিতা’ করেছেন? তাদের সন্তান সন্ততিরা কি বরণ্যে হননি? মালালা এখন এইসব প্রশ্নের- বিয়ে, নারী জাগরণ, নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের দোলনায় দুলছেন। মালালা কি এখন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন না? আসরার মালিক কি পথে অন্তরায় সৃষ্টি করবেন?
মালালার হৃদয় পরিবর্তনের সাথে অন্তর্দৃষ্টিও গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের সাধারণ লোকজন প্রায়ই পাবলিক ফিগারের কাছে ধরনা দিতে পছন্দ করে বা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এমন মনে করে। মালালা এটি সঠিকভাবে অনুভব করেছেন। মহিলারা এখন বিবর্তন, ঘৃণা বা বৈপরীত্য থেকে মুক্ত হতে চায় অ্যানিমেটেড প্রতীক হিসেবে বাস করতে চায় না। এটি সমাজের এক জাগরণ যা এক দিনে আসেনি। মালালা নারী মুক্তির প্রতীক, বিয়ের ধারণার বিষয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষে বিপক্ষে প্রচুর মত পাওয়া যায়, যা ধারণ করা কষ্টকর ও সমাজ বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয়। বিবাহ সম্পর্কে তার মতামত কতটা অদ্ভুত এবং তির্যক হয়ে উঠেছে, সেটি কেবল একটি নারীবিদ্বেষী লেন্স দিয়ে উপলব্ধি করা যেতে পারে।
মালালা এক পাশতুন। পাশতুনদের গ্রামীণ ও উপজাতি এলাকায় অনেক সময় বিবাহকে ঋণ, বিরোধ নিষ্পত্তি, সম্পত্তির বিরোধ সমাধান এবং রক্তের অর্থ পরিশোধ করার সর্বোচ্চ উপকরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রখ্যাত মহিলা মুখতারান মাই বলেছেন, ‘মেয়েদের পশুর মতো ব্যবহার করা হয়।’ প্রসঙ্গত মুখতার বিবি ২০০২ সালে গণধর্ষণের শিকার হন। আত্মহত্যা বা লজ্জায় বেঁচে থাকার পরিবর্তে মুখতার আদালতে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করেন যা বিশ্বের মিডিয়ার শিরোনাম হয়। তিনি মনে করেন, সামাজিক প্রথা ভাঙার জন্য কেবল মানসিকতার পরিবর্তনই মূল জিনিস। মুখতার কোরআনের বাণী বুকে ধারণ করতেন। তিনি ‘সম্মানের নামে’ স্মৃতি কথা প্রকাশ করেন যা বিশ্বজুড়ে নারীদের অনুপ্রাণিত করছে। নিকোলাস ডি ক্রিস্টফ এবং শেরিল উডান মুখতারের বিষয়ে বেস্টসেলার ‘হাফ দ্য স্কাই’ প্রকাশ করেন।
শহুরে এলাকায় মনে করা হয় বিয়ে, প্রেম ও সঙ্গদানের উপকরণ। বিয়ের মাধ্যমে দুটি পরিবার বা সমাজ আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অনেক ঝুট ঝামেলা দূরীভূত করে। ভারতীয় ও প্রাচীন রাজারা দেশের নিরাপত্তা ও অখণ্ডতা রক্ষার জন্য বেশি বিয়ে করার কৌশল কাজে লাগিয়েছেন। সঠিক পরিবারে বিয়ে করা সামাজিক মূলধন বৃদ্ধি বা সম্পদ অর্জিত করার একটি স্পষ্ট পথ। তবে অর্থ পরিমাপ করে অর্জিত সম্পদের মূলধন নির্ণয় করা যায় না। বিত্ত ও চিত্তের মধ্যে যে পার্থক্য এখানে সম্পদ ও সমাজ সে রকম একটি বিষয়।
মালালা নিজেই এমন আখ্যানে আকৃষ্ট হয়েছিলেন যার মাধ্যমে বিবাহকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি লিখেছেন: ‘আমি প্রতিষ্ঠানের পিতৃতান্ত্রিক শিকড় নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। আমি মানবতা, স্বাধীনতা এবং আমার নারীত্ব হারানোর আশঙ্কা করেছিলাম।’ কিন্তু পিতৃতান্ত্রিক অনুশীলনের আচারকে প্রতিশ্রুতি থেকে পৃথক করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি তার পিতার দিকে চেয়ে অনুধাবন করেছেন, পুরুষরা নির্মম নয়। তিনি চেয়েছিলেন পরিবারেই থেকে যাবেন, খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পেরেছেন একজন পুরুষ সঙ্গী পথের বাধা হয় না যদি কারো উদ্দেশ্য সৎ ও সঠিক থাকে। মালালা বলছেন, ‘সংস্কৃতি মানুষ তৈরি করে এবং মানুষ এটি পরিবর্তনও করতে পারে।’
এখন মালালার বৈবাহিক অবস্থা নিয়ে ভাবনার আর প্রয়োজন নেই। তার মিশন এবং অলাভজনক মালালা তহবিল নিয়ে সামনে তিনি কি ক্রিয়াকলাপের দিকে মনোনিবেশ করেন এবং বিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করল কি না সেগুলো আগামীর জন্য থাকল। আমরা দেখব, বিশ্বব্যাপী ১৩০ মিলিয়ন মেয়ে যারা স্কুলের লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত সেখানে মালালার সাহসী উচ্চারণ- অভিযাত্রা কতটুকু সফলতা বয়ে আনল।
চলতি বছরের জুন মাসে ভোগ পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে মালালা বলেছিলেন ‘আমি এখনো বুঝতে পারছি না কেন মানুষকে বিয়ে করতে হবে। কেউ যদি জীবনে একজন ব্যক্তিকে পেতে চান, তাহলে তাকে কেন বিয়ের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে, কেন এটি কেবল একটি অংশীদারিত্ব হতে পারে না?’ সাক্ষাৎকারে ২৩ বছর বয়সী মালালা ইউসুফজাই আরো বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই, কখনো বিয়ে করব কি না।’
বিয়ের প্রথা স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে তিনি সহ-অবস্থানের প্রশংসা করেছিলেন। এতে মালালাকে যারা পছন্দ করেন তারাও গভীরভাবে বিরক্ত হন। আবার বিয়ের পর তারাই এখন অভিনন্দন বাণীতে টুইটার অ্যাকাউন্ট ভাসিয়ে দিচ্ছেন। বিয়ে অস্বীকার করায় এক অ্যাক্টিভিস্ট মালালাকে মৃত্যুহুমকি দিয়েছিলেন। এবার সে সব বিষয়ের ইতি হলো খুব তাড়াতাড়ি। পাকিস্তানের স্কুল পাঠ্যবইতে মালালাকে নিয়ে যে ছবি ও কন্টেন্ট ছিল সেগুলো তুলে নেয়ার জন্য রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ কর্মসূচি বিয়ের পর পরই হঠাৎ থেমে যায়। তার বিরুদ্ধে তরুণদের মন কলুষিত করার অভিযোগও আর ধোপে টিকবে না।
মালালা এবং তার সঙ্গীর জন্য শুভেচ্ছা এসেছে প্রচুর। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, আমিরাতের রাজকুমারী শেখা হেন্ড বিনতে ফয়সাল, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, জেমিমা গোল্ডস্মিথ, ব্রিটিশ এমপি সাজিদ জাভিদ এবং অ্যাপলের সিইও টিম কুকের মতো বিশিষ্টরা তরুণ দম্পতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্টসের আইন উপদেষ্টা রিমা ওমার একমত হয়েছেন যে, বিবাহ প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করার জায়গা থাকা উচিত, কারণ এর ফলে নারীরা প্রায়শই পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি স্বাধীনতা হারায় এবং নারীর উপর বিয়ে করার চাপ অনেক বেশি থাকে। একাডেমিক কিরমানি যুক্তি দেখিয়েছিলেন যে, দক্ষিণ এশিয়ার তরুণদের জন্য প্রায়শই ‘বিয়ে ছাড়া রোমান্টিক প্রেম প্রকাশের আর কোন উপায় নেই’। কিন্তু কিছু নারীবাদী মালালার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা সত্ত্বেও পাকিস্তানের অতি ধর্মীয় এবং রক্ষণশীল দলের সদস্যরা, যারা এই কর্মীকে পশ্চিমের ‘এজেন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তারাও তার বিয়ের প্রতি তীব্র তাচ্ছিল্য প্রকাশ করেছে!
বিবিসি লিখেছে, “আসার মালিক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হাই পারফরমেন্স জেনারেল ম্যানেজার। যদিও এই দম্পতি কতদিন ধরে একে অপরকে চেনেন তা পরিষ্কার নয়, তবে ২০১৯ সালের জুন মাসে মি. মালিকের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে তাদের পাকিস্তানের পক্ষে উল্লাস করার ছবি রয়েছে।’
২০১৮ সালের গ্রীষ্মে যখন মালালা অক্সফোর্ডে বন্ধুদের সাথে দেখা করছিলেন তখন দুজনের দেখা হয়েছিল। বোঝা যায়, তিন বছরে আগেই প্রেমের সূত্রপাত হয়! মালালা জানান, ‘নারীদের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার সব উত্তর আমার কাছে এখনো নেই, তবে আমি বিশ্বাস করি যে আমি বিয়েতে বন্ধুত্ব, ভালোবাসা এবং সমতা উপভোগ করতে পারি।’ তিনি বুঝতে পেরেছেন যে শিক্ষা, সচেতনতা এবং ক্ষমতায়নের সাথে বিয়ের ধারণাটি পুনরায় সংজ্ঞা করা যায়। সদ্যবিবাহিত স্বামী সম্পর্কে বলেন, ‘আমার বন্ধু, পরামর্শদাতা এবং এখনকার সঙ্গী আসারের সাথে আমার কথোপকথন আমাকে বিবেচনা করতে সাহায্য করেছিল যে কীভাবে আমি একটি সম্পর্ক রাখতে পারি –বিয়ে- সমতা, ন্যায্যতা, সততা ও আমার মূল্যবোধের প্রতি সৎ থাকতে পারি, আমার স্বামী, সেরা বন্ধু এবং সঙ্গীকে নিয়ে।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার