দেওয়ান আজরফ : চিন্তক ও দার্শনিক
দেওয়ান আজরফ - ছবি সংগৃহীত
জাতীয় অধ্যাপক, বহু গ্রন্থ প্রণেতা, বিশিষ্টি শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক অধ্যক্ষ দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ দর্শন শাস্ত্রের সাধক ছিলেন। ইসলাম, নন্দনতত্ত্ব, নীতিশাস্ত্র, যুক্তি, অধিবিদ্যা, সামাজিক দর্শন ও রাজনৈতিক দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ের তার বিস্তর পড়াশোনা ছিল। জীবন ও জগৎ নিয়ে মৌল বিধানের আলোচক ছিলেন। মানব সমাজের প্রকৃত শান্তির পথ তিনি বিশ্লেষণ করেছেন। নিপুণ সাহিত্যের ভাষায় সমকাল এবং চারপাশের মানুষ আর প্রকৃতি সম্পর্কেও বলে গেছেন।
দেওয়ান আজরফের সাথে তার জীবন ও দর্শন নিয়ে বহুবার একান্ত আলাপচারিতায় জানা গেছে, তিনি আবুজর গিফারীর রা:-এর চিন্তার উত্তরাধিকারী ছিলেন। আবুজর আল-গিফারী আল-কিনানি, যিনি জুন্দুব ইবনে জুনাদাহ ইবনে সুফিয়ান নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি হলেন নবী মুহাম্মাদ সা:-এর সময়ে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে চতুর্থ বা পঞ্চম ব্যক্তি। তিনি অসীম সাহস, প্রখর বুদ্ধিমত্তা ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ছিলেন।
দার্শনিক আজরফ স্রষ্টা ও সৃষ্টি সম্পর্কে যুক্তিনির্ভর ও কাঠামোগত বক্তব্য দেয়ার চেষ্টা করেছেন। ফিজিকস, মেটাফিজিকস, লজিক, এথিকস, পলিটিকস, পোয়েটিকস, রেটোরিকস প্রভৃতি দিক নিয়ে জীবন জিজ্ঞাসার জবাব দেয়ার বা সমাধানের চেষ্টা করেছেন।
‘স্টাডি অব গড’ বা সৃষ্টিকর্তার অধ্যয়ন ছিল তার গবেষণার মুখ্য বিষয়। এ নিয়ে বিজ্ঞানী ও দার্শনিক আবু ইউসুফ ইয়াকুব ইবনে ইসহাক আল কিন্দির দার্শনিক সৃষ্টিকর্ম ‘অন ফার্স্ট ফিলোসফি’ তার প্রাত্যহিক অধ্যয়নের বিষয় ছিল। সৃষ্টিকর্তাই সব পার্থিব অস্তিত্বের কারণ আর এই ভাবনার মধ্যেই পার্থিব সব দর্শন নিহিত বলেই তিনি বিশ্বাস করতেন।
কিন্দির আত্মাবিষয়ক চিন্তায় প্লেটোর প্রভাবও দেখা যায়। সেটি নিয়ে অবশ্য তার বিশ্লেষণ কিছটা ভিন্ন ছিল। তার মতে, কোনো বিষয়ে সঠিক দার্শনিক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হলে অবশ্যই ধর্ম তথা নির্ভরযোগ্য জ্ঞানের আশ্রয় নিতে হবে।
ইসলামী বিশ্বকোষ ও মুসলিম তর্কশাস্ত্র রচনার জনক আল ফারাবি ছিলেন দেওয়ান আজরফের কাছে বেশ প্রিয় দার্শনিক। ধর্মতত্ত্ব, অধিবিদ্যা, বিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র ও সঙ্গীতে আল ফারাবির ছিল অসামান্য জ্ঞান। সক্রেটিস, প্লেটো আর অ্যারিস্টটলদের দর্শন বিশ্লেষণের মাধ্যমে আল ফারাবি মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক খ্যাতিলাভ করে ছিলেন।
দার্শনিক, পণ্ডিত, ধর্মতত্ত্ববিদ ‘হুজ্জাতুল ইসলাম’ আবু হামিদ আল-গাজ্জালির আদলে দেওয়ান আজরফ সৃষ্টি রহস্যের সন্ধানে ব্রত ছিলেন। দর্শন যাতে স্রষ্টার বিষয়ে সন্দেহের সৃষ্টি করতে রা পারে সে বিষয়ে ছিলেন সদা জাগ্রত ও সচেষ্ট।
আবুজর গিফারী থেকে শুরু করে আবু আল ওয়ালিদ মুহাম্মদ ইবনে আহমাদ ইবনে রুশদ, আবু জায়েদ আবদুর রহমান বিন মুহাম্মদ বিন খালদুন আল হাদরামি, বিশ্বকবি আল্লামা ইকবালসহ মুসলিম দার্শনিকদের সাথে ভাবনা ও চিন্তার সমন্বয় ছিল। ইতিহাসের পথচলায় যে সব দার্শনিক জীবনকে নতুন করে বুঝতে সহায়তা করেছেন।
শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক অধ্যক্ষ দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ মানুষের জ্ঞানের ক্ষমতা ও অক্ষমতা তুলে ধরে স্রষ্টা প্রদত্ব ও রাসূল প্রদর্শিত পথ অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন।
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ১৯০৬ সালের ২৫ অক্টোবর (১৩১৩ সনের ৯ কার্তিক) শুক্রবার সুনামগঞ্জ জেলার তেঘরিয়া গ্রামে নানা মরমি কবি হাসান রাজার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ৯৩ বছর বয়সে ১ নভেম্বর ১৯৯৯ সালে তিনি মহান মাবুদের দরবারে চলে গেছেন।
দেওয়ান আজরফের পিতা দেওয়ান মোহাম্মদ আসফ দুহালিয়ার জমিদার এবং একজন জাতীয়তাবাদী জননেতা ছিলেন। মা রওশন হুসেইন বানু (হাসান রাজার জ্যেষ্ঠাকন্যা) একজন বিদুষী মহিলা ছিলেন।
১৯৫৮ সালে দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, ড. হাসান জামান, ফ্রাঙ্কলিন পাবলিকেশনের পরিচালক (পরবর্তীকালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার) এ টি এম আবদুল মতিন, মাসিক মদিনা সম্পাদক মাওলানা মহিউদ্দীন খান প্রমুখ মিলে দারুল উলুম ইসলামিক একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনার ভার গ্রহণ করে এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান অধ্যাপক আবুল হাশিমকে প্রথম পরিচালক নিয়োগ করেন। ইসলামিক একাডেমি ঢাকা নামে অভিহিত এ প্রতিষ্ঠানটিই স্বাধীনতার পর ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে রূপান্তরিত হয়।
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ১৯৪৯ সালে তমদ্দুন মজলিসের সভাপতি নির্বাচিত হন। তখন থেকে আজীবন মজলিসের সুদিন-দুর্দিনে সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৫৮ সালে বাংলা একাডেমির কাউন্সিলর এবং ১৯৬২ সালে বাঙলা কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে বিজাতীয় সংস্কৃতিবিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ অবদান এবং নজরুল একাডেমি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ সিলেটে ‘কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৩৬ সালে আল ইসলাহ সম্পাদক মুহাম্মদ নূরুল হক ও অন্যান্যদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় তিনি এই সাহিত্য সংসদ গঠন করেন। দেওয়ান একলিমুর রেজা এবং মুহাম্মদ নূরুল হক যথাক্রমে সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হন। দেওয়ান আজরফ ১৯৪০-৪৩ সালে সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
সমাজ চিন্তাবিদ দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ রাজনৈতিক জীবনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সমর্থক ছিলেন। আসামে বহিরাগত মুসলমানদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদ ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার অপরাধে গ্রেফতার হয়ে শিলচরে ১০ মাস কারাভোগ করেন।
ভাষা আন্দোলনের সূচনাকালে দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ছিলেন নওবেলাল পত্রিকার সম্পাদক। বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে জিন্নাহ ও লিয়াকত আলী খানের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ছাপা হয় নওবেলাল পত্রিকায়। ফলে সে সময় তার চলাফেরা করা ভীষণ সঙ্কটজনক ছিল। তা সত্ত্বেও বাংলা ভাষার পক্ষে তিনি আন্দোলন চালিয়ে যান।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মিছিল দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফের বাসা থেকেই বের হতো এবং সমস্ত শহর প্রদক্ষিণ করে আবার তার বাসাতেই ফিরে আসত। ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য ১৯৫৪ সালে দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফকে সুনামগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে অপসারণ করা হয়।
ভাষাসৈনিক ও দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ আমন্ত্রিত হয়ে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন।
শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য ও দর্শনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য। এসব বিষয়ে তিনি লিখেছেন শতাধিক গ্রন্থ। ১৯৪০ সালে তার প্রথম গল্প পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. তমদ্দুনের বিকাশ; ২. সত্যের সৈনিক আবুজর; ৩. ইতিহাসের ধারা; ৪. নতুন সূর্য (গল্প গ্রন্থ); ৫. ব্যাকগ্রাউন্ড অব দ্য কালচার অব বেঙ্গল; ৬. জীবন সমস্যার সমাধানে ইসলাম; ৭. ফিলোসফি অব হিস্টোরি; ৮. সাইন্স অ্যান্ড রেভেলিউশন; ৯. ইসলামী আন্দোলন যুগে যুগে; ১০. আবুজর গিফারী (ইংরেজি); ১১. ইসলাম ও মানবতাবাদ; ১২. সন্ধানী দৃষ্টিতে ইসলাম; ১৩. দর্শনের নানা প্রসঙ্গ; ১৪. আজাদী আন্দোলনের তিন অধ্যায়; ১৫. আমাদের জাতীয়তাবাদ; ১৬. মরমি কবি হাসন রাজা; ১৭. ইতিহাসে উপেক্ষিত একটি চরিত্র; ১৮. ইসলামিক মুভমেন্ট; ১৯. ধর্ম ও দর্শন; ২০. অতীত জীবনের স্মৃতি; ২১. নয়া জিন্দেগি (উপন্যাস); ২২. বিজ্ঞান ও দর্শন (তিন খণ্ডে); ২৩. অতীত দিনের স্মৃতি; ২৪. সিলেটে ইসলাম প্রভৃতি ৪০টিরও বেশি গ্রন্থ এখনো অপ্রকাশিত।
ব্যাপক কর্মযজ্ঞের জন্য দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯৮১ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার; ১৯৮৫ সালে আন্তর্জাতিক মুসলিম সংহতি পুরস্কার; নাসির উদ্দীন স্বর্ণ পদক ১৯৮৪; ড. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ স্বর্ণপদক ১৯৮৯; একুশে পদক ১৯৯২; মাওলানা আকরাম খাঁ স্বর্ণপদক ১৯৯৩; জালালাবাদ স্বর্ণপদক ১৯৯৪; ইসলামিক ফাউন্ডেশন পুরস্কার ১৯৯১; ভাসানী পুরস্কার ১৯৯৫; কবি মোজাম্মেল হক পুরস্কার ১৯৯১; শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর এবং স্বপ্লাবেশ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক মনোনীত করে।
মোহাম্মদ আজরফ প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন দুহালিয়ার মিডিল ইংলিশ স্কুলে। ১৯২৫ সালে তিনি প্রথম বিভাগে ফারসিতে লেটারসহ প্রবেশিকা পরীক্ষা, ১৯২৭ সালে প্রথম বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং ১৯৩০ সালে ডিস্টিংশনসহ বিএ এবং ১৯৩২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রজীবনে বরাবরই কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন।
পেশাগত জীবনে সুনামগঞ্জ কলেজ, আবুজর গিফারী কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। আবুজর গিফারী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। ১৯৪৮ সালের নবেম্বর মাসে দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ সুনামগঞ্জ কলেজের লজিকের প্রভাষক নিযুক্ত হন। ১৯৪৯ সালে ভাইস প্রিন্সিপাল ও ৫৪ সালে প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
দেওয়ান আজরফ ১৯২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হাসান রাজার দ্বিতীয় পুত্র গনিউর রাজার কনিষ্ঠা কন্যা সাজিদুন্নেসা খাতুন চৌধুরীরানীর সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্ত্রী বিগত ১৯৯১ সালের ২১ ডিসেম্বর ছয় পুত্র ও দুই কন্যা রেখে পরলোকগমন করেন। আর ১৯৯৯ সালের ১ নভেম্বর দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ইন্তেকাল করেন। সুনামগঞ্জ জেলার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ক্ষণজন্মা এই দার্শনিকের গবেষণাকর্ম নিয়ে একটি বই প্রকাশের কাজ প্রায় শেষের দিকে। বাংলা একাডেমির আগামী বইমেলায় বাজারে আসবে বলে আশা করি। ধূসর মরুর বুকে শিরোনামে আবর জাহানের ইতিবৃত্ত নিয় ৪০ পর্বের লেখার নবম পর্বে দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ সম্পর্কে আলোচনা আছে। অংশ বিশেষ এখানে উল্লেখ করা যায়।
সেদিন খাইবার মরুভূমি ঘুরে রাতে মদিনায় ফিরলাম। ভাইজান রশীদ আহমদ চৌধুরী বাসায় আরো কিছু মেহমানও দাওয়াত করেছেন। এর মধ্যে সুলেখক হাসান ও সাবিত। গাওয়াহ তথা কফি দিয়ে শুরু হয় রাতের আড্ডা। আরব সংস্কৃতিতে এটি ঐতিহ্যগত পানীয়। সাথে আজুয়া ও সাফাওয়ি খেজুর।
সাবিত সালমান একজন তরুণ কবি। ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্বার্থক উত্তরসূরি। প্রাণের অরুণ রসে সদা ভরপুর। তার গলা সারসের মতো পাতলা নয়, পুরুষের সরল বীর্য-ব্যঞ্জক ইষৎ ভারী, মিষ্টি ও সুরেলা।
হাসান আলী আব্দুল্লাহ আমাদের সাহিত্য সম্পর্কেও খোঁজ খবর রাখেন। জাতীয় অধ্যাপক দেওয়ান আজরফ সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ সম্পর্কে হাসান বললেন, আবুজর গিফারী রা:-এর অর্থনীতির বিশ্লেষক হিসেবে দেওয়ান আজরকে জানি। তিনি একজন ইসলামিক স্কলার। শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নমূলক কাজের পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেছেন। দার্শনিক হিসেবে তিনি অনেক বড় চিন্তক। মুসলমানদের সামাজিক ইতিহাসে এক অনন্য পুরুষ। আমাদের একজন কৃতী ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আরব লেখক হাসানের চমৎকার কথামালায় মনটা খুশিতে ভরে গেল।
লেখক : লন্ডন প্রবাসী, সময় সম্পাদক, কবি ও কথাসাহিত্যিক