রামুর এক কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে ভোট পড়ল ৫টি
রামুর এক কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে ভোট পড়ল ৫টি - ছবি : সংগৃহীত
নৌকার প্রার্থী মোয়াজ্জেম ৯ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছেন মাত্র ০৫ ভোট। এ কেন্দ্রে তার এজেন্টই আসেননি। তাছাড়া ১ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছে ৪৬ ভোট, ২ নম্বর কেন্দ্রে ২৪৬, ৩ নম্বর কেন্দ্রে ২০ ভোট, নিজ কেন্দ্র ৪ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছে ৩৬৪ ভোট। অন্য দুই প্রার্থী এমডি শাহ আলম পেয়েছেন ২৩২, হান্নান ছিদ্দিকী পেয়েছেন ২৫২ ভোট। ৫ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছেন ১১৯ ভোট, ৬ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছে ১৫ ভোট, ৭ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছে ১৪ ভোট, ৮ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছে মাত্র ৮ ভোট।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউপি নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে ভোট পড়েছে মাত্র ৫টি ৷ গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।
রশিদ নগর ইউনিয়নে সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোয়াজ্জম মোর্শেদ একটি কেন্দ্র ছাড়া কোনো কেন্দ্রেই পাস করেননি। তিনি হেরেছেন ৯ কেন্দ্রের মধ্যে ৮টিতেই। কয়েকটি কেন্দ্রে মোয়াজ্জেমের কোনো এজেন্টই আসেননি। ঘোষিত ফলাফলে তিনি হয়েছেন তৃতীয়।
এই পরাজয়ের জন্য দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও তিনি নিজেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে দায়ী করছেন।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হওয়া দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়ন থেকে ৩ হাজার ৯৯৯ নিরানব্বই ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এমডি শাহ আলম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হান্নান ছিদ্দিকী (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৯২৪ ভোট। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোয়াজ্জম মোরশেদ পেয়েছে ৮৫৪ ভোট।
নৌকার প্রার্থী মোয়াজ্জেম ৯ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছেন মাত্র ০৫ ভোট। এ কেন্দ্রে তার এজেন্টই আসেননি। তাছাড়া ১ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছে ৪৬ ভোট, ২ নম্বর কেন্দ্রে ২৪৬, ৩ নম্বর কেন্দ্রে ২০ ভোট, নিজ কেন্দ্র ৪ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছে ৩৬৪ ভোট। অন্য দুই প্রার্থী এমডি শাহ আলম পেয়েছেন ২৩২, হান্নান ছিদ্দিকী পেয়েছেন ২৫২ ভোট। ৫ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছেন ১১৯ ভোট, ৬ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছে ১৫ ভোট, ৭ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছে ১৪ ভোট, ৮ নম্বর কেন্দ্রে পেয়েছে মাত্র ৮ ভোট।
সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে ৯ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রে (৫ ভোট)। কেন্দ্রভিত্তিক ৯টি ওয়ার্ডের নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায় এই চিত্র।
আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কারণেই আমি হেরে গেছি। তারা ষড়যন্ত্র করে নৌকাকে ডুবিয়ে দিয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীকে সরিয়ে দিতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।’
পোস্টটি পরে সরিয়ে ফেলেন তিনি।
নৌকা প্রতীকের এমন পরাজয়ের পরপর দলীয় নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বজল আহমেদ বাবুল বলেন, ‘নৌকার বিজয়ের লক্ষ্যে আমরা
কাজ করেছি; কোনো ত্রুটি ছিল না। স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী বিদ্রোহীর পক্ষে যাওয়াতে ক্ষতি হয়েছে।
১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে রামু উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ৪টিতে নৌকা ও ৭টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়।