লেখালেখির আধ্যাত্মিকতা

লেখালেখির আধ্যাত্মিকতা - ছবি সংগৃহীত
কবিতা যেখানটায় জন্মায়.. পৌঁছে দেখি সেটা একটা জ্বালামুখ। বেরিয়ে আসার জন্য টগবগ করে শব্দগুলো ফুটছে।
অমাবস্যার গাঢ় রাত্রে বহু দূর দ্বীপের অগ্ন্যুৎপাত দেখতে পাওয়া যেমন বিস্ময়কর সুন্দর.. পাঠকের কাছে এসে পৌঁছানোর পথে কবিতার ব্যাপারটা অনেকটাই যেন সেই রকম। আহা, কি মহান এইসব ভয়াবহতা!
দর্শকের খবরই থাকে না সেই দ্বীপ-দেশের মাটি, পাহাড়-- কী ভয়ানক যন্ত্রণা সহ্য করে নিজে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে তারপর না সৃষ্টি করছে এসব নয়ন নন্দন উদগীরণ, অন্ধকারে আকাশমুখী কমলা-লাল আগুনের স্রোত। তারা খেয়াল করতে পারেন না, কত কত গুল্মের সবুজ, কত কত বৃক্ষের আহুতি, কত কত পতঙ্গের... আহা কি অকারণ খেয়ানত! ক্রমবর্ধিষ্ণু উত্তাপে কত শত পক্ষী শাবকের এখনো উড়তে না শেখার আক্ষেপ- সেই আগুনকে লাল আভা দান করেছে। কবি আর পাঠকের ব্যাপারটা অনেকটাই যেন তাই।
আঁদ্রে এদাই লিখেছিলেন, ‘আমাকে ছেঁড়া-খোড়া বন্ধ কর হে শয়তান...’
ছিঁড়ে যাওয়ার এসব মুহূর্তে- বিস্ফোরিত হয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে, কবিচিত্তের অভ্যন্তরে যে নৈর্ব্যক্তিক আক্ষেপ, যে প্রতিরোধ- সেটাই হয়তো কবিতার মর্মার্থ। যে মৃত্যুপথযাত্রী কবির হাতে আর বাঁচবার অবসর নেই- শুধুমাত্র একটা কবিতার জন্য অপেক্ষাই তার বেঁচে থাকবার সীমা- তখনই, প্রয়োজন নেই- তবু কবি বুঝে ফেলেন- এই অপেক্ষাটুকুই ঠেকিয়ে রেখেছে তার মৃত্যু। তখন অন্তর্গত শব্দসমূহ লাভাস্র্রোতের মতো গলে গলে বেরিয়ে এসে চারিদিকে লাগিয়ে দেয় কবিতার আগুন। ভূমি থেকে ভূমিতে, অন্তর থেকে অন্তরে। তখনই শব্দ বা ভাষার ঘেরাটোপ ভেঙেচুরে- সাহিত্য হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক, সব মানুষের।
কেন যেন বলতে মন চায়, কবিতামাত্রই, সাহিত্যমাত্রই- ব্যর্থদের রচনা। সফলদের কাছে কবিতা আর কতটুকুই বা প্রয়োজনের! যে জীবন সাফল্য-শোভিত... হয়তো কবিতা সেখানে অহেতুক আগাছা বৈ নয়। তখন ইতিহাস!... ইতিহাসই হয়ে ওঠে- তাদের ব্যবহারযোগ্য জামা, আয়ত্তযোগ্য ভূমি। সফলেরা সাহিত্যে নয়- বাস করতে চান ইতিহাসে। একদল অবাঞ্ছিত, অবহেলিত আর ভিন্নবিধ দরিদ্র মানুষের দল- বেঁচে থাকতে চেষ্টা করে তাদের রচনার ভেতর... তাদের কবিতার ভেতর।
অনাস্বাদিত সব সৌন্দর্যের জন্য তাদের হা-হুতাশ, তাদের তড়পানি- আর তাদের কল্পনার লীলাভূমিতে মানুষের জন্য একটা লালিত্যময় ভবিষ্যৎ- এই সবই বাতাসের ভেতর গেঁথে তোলা তাদের তাজমহল। শব্দের পাথর কুঁদে বানানো মানুষের জন্য আগুন চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়া- প্রমিথিউসের নিখুঁত প্রতিকৃতি। এই-ই হয়তো সাহিত্য।
সবাই জানেন, তবুও বলব- খেয়াল করে দেখুন- পৃথিবীর তাবৎ শ্রেষ্ঠতম প্রেমের কবিতাগুলো না পাওয়ার। পেয়ে গেলেই সে সব ইতিহাস। যেমন- এত সালের এত তারিখে তিনি অমুকের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন- এসব আর কি!
ভাষার সীমা ছাড়িয়ে- চলেন এবার একটু বোধের দিকে যাই। বোধ হচ্ছে সাহিত্যের মামা বাড়ি। খানিক জলা, একটু প্রান্তর, একটি নদী, কিছু বাধা পেরিয়ে সেই মামাদের দেশ। একটা দূরের গ্রাম- যেখানে ভাগ্নের জন্য স্কুল নেই, পড়ার চাপ নেই, সেখানে বৈঁচি পেকে থাকে ঝোপে, শালিক ছানারা অপেক্ষা করে থাকে পোষ মানার। আর ভাষা হচ্ছে সেই গ্রামে পৌঁছানোর পথ। জলায় হাঁটু ভেজাতে রাজি না হলে লেখক বা কবি কখনো একটু ঘুরপথ- একটু ‘টিলা-ট্যাড়া কিন্তু শুকনো’ পছন্দ করে নেন নিজের জন্য। কেউ মালকোছা এঁটে নিয়ে সরাসরি পেরিয়ে যেতে চান সেই লোকজ জলের জলাভূমি। যার যেমন পছন্দ- সামর্থ্য-- ভাষা ধরা দেয় তার কাছে সেই রকম করে... পথই তো! হতে পারে পাথুরে, হতে পারে জংলাÑ কিন্তু শেষ কালে যেন সেটা ঠিকঠাক মামা বাড়িতে পৌঁছায়, এই-ই হলো সারকথা!
ব্যক্তিগতভাবে আমার বহুদিনের খায়েশ আমি যেন সেই ভাষাটা ধরতে পারি বন্ধুদের সাথে আড্ডার গোফতানিতে বউয়ের সাথে মশকারিতে.. যেটা আমি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু লিখতে বসলেই চলে আসে সেই ভঙ্গিটা, যেট -- পড়াতে বসে ছেলের সাথে আমি অনেকদিন ধরে আচরণ করে আসছি, ব্যবহার করে আসছি। যেটা একটু পণ্ডিত-পণ্ডিত.. একটু ঝুলে গেল কিনা সেই ভয়ে যেটা সদা কম্পমান! তবু- দূর গ্রামের একটা চিহ্নময় তালগাছ লক্ষ্য করে হাঁটতেই থাকি... এদিকে বেলা পড়ে যায়। কিন্তু আমি জানি ওখানেই একটা পদ্মদীঘি আছে... তারপরেই মামাবাড়ি।
এখানে যে ভাষাটা আমি ব্যবহার করছি সেই ভাষাটাও কিন্তু আমাকে ব্যবহার করছে। প্রকাশিত হওয়ার.. শীলিত হয়ে উঠবার মাধ্যম হিসেবে। আমার মাধ্যমেই কিন্তু ভাষাও সবিশেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে সে সর্বজনবোধগম্য একটা অবয়ব পেয়ে যেতে পারে। তার জানা কুস্তির প্যাঁচগুলো প্রদর্শন করবার মতো একটা উপযুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী... ভাষাও সবসময় সেই তল্লাশে থাকে। মানিক, ইলিয়াস, অতীন, শওকত আলী.. এঁদেরকে খুঁজে পেতে ভাষাকেও কম হ্যাপা পোহাতে হয়নি। অনুভব তো দেশে দেশে ঘুরে বেড়ায়Ñ বোধ তো যুগ থেকে যুগান্তরে উড়ে উড়ে ঘোরে ...
প্রিয়তমার জন্য প্রতীক্ষার যন্ত্রণা সেই নলখাগড়ার যুগ থেকে এই ইকোনো বল পয়েন্টের কালে... সেই কালিদাস থেকে এই সৈয়দ হকের রিডিং রুমের দোরগোড়ায় একইরকম করে তড়পায়।
কেউ মন্দাক্রান্তায় কেউ প্রবহমান মহা পয়ারে.. কেউ মেঘ, কেউ বা একটা ফুলতোলা রুমালকে কেন্দ্রে রেখে সেই একই বেদনার বাখান করে। বোধ তো সেই একই, অনুভব তো সেই আদি বিচ্ছেদ... কিন্তু ভাষা! বুল্লে শাহ্ আর লালন সাঁই...কত নিকট তাদের বোধ তবু কি বিস্তর পার্থক্য তাদের শব্দে.. ভাষায়!
এসব আলোচনা কিন্তু সর্বশেষমেশ একটা হতাশাজনক পরিণতির দিকে এগিয়ে যেতে বাধ্য হয়... সেটা হচ্ছে অনুভবসমূহ প্রকাশ করবার ক্ষেত্রে ভাষার সীমাবদ্ধতা।
যারা প্রচুর লেখেন, আগে লিখতেন- ভবিষ্যতে লিখবেন, এখনো লিখছেন- একসময় কিন্তু তারা ঠিকই বুঝে ফেলেন যে, তারা কত কিছু লিখতে পারেননি। কত কিছু লেখা যায় না। বোধ করলেই লিখে প্রকাশ করা যাবে- এটা যে কতবড় একটা ডাহা মিথ্যে কথা, অধিকাংশ মহান লেখকের কাছেই সেই সত্যিটা প্রকটভাবে প্রকাশিত হয়ে পড়ে।
বড় লেখাগুলোতে তাই হয়ত এত এত অপ্রকাশ্য সুন্দরের সম্ভাবনা যখন তখন উঁকি দিয়ে ওঠে। লেখার প্রকার থেকে প্রকরণে তাই বুঝি তাদের এত ছোটাছুটি।
শুধু লেখক বা কবি কেন, মানুষমাত্রই তো জন্মসূত্রেই সময় এবং নিয়তির আয়ত্তাধীন। কিন্তু লেখক বা কবিমাত্রই নিয়তি এবং সময়ের এই শৃঙ্খল মনস্তাত্ত্বিকভাবে ভেঙে ফেলতে চেয়েছেন।
শারীরবৃত্তীয় শর্তে যদিও তাদেরকে কারারুদ্ধ অথবা নির্বাসন কিম্বা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে হয়েছে, তবু স্বয়ংক্রিয়-সহজাত একটি মৃত্যুকে অতিক্রম করবার প্ররোচনা তারা কি করে যেন গর্ভস্থ সন্তানের মতো বড় করে তুলতেন। সে এক অতিবড় আশ্চর্যের বিষয়। জেলখানায় বসেই ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ রচনা করতে তাই তাদের কোনো অসুবিধা হয়নি। লৌহ কপাট শব্দবন্ধটিকে আলিপুর সংশ্লিষ্টতা থেকে মুক্তি দিয়ে নজরুল নিয়ে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছিলেন স্তালিন কিংবা পিনোশে অথবা পেরণ এর সমসাময়িক পিটার্সবুর্গে অথবা বুয়েন্স আয়ার্সে। যদিও তিনি নিজে বসে ছিলেন আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের একটা প্রকোষ্ঠে- তবু তাঁর বাণী পৌঁচেছিল স্তালিন যুগের কবি সাহিত্যিকদের কাছে দোজখের নদী হিসেবে পরিচিত ‘কামা’ পেরিয়ে ইয়েলাবুগায়। যেখানে পৌঁছে কবিদের গলায় দড়ি দিতে হয়। ঝুলে পড়তে হয়..
(মারিনা সাতায়েভাকে যেমন হয়েছিল- মিখাইল জসেচেঙ্কোকে আমরা যেমন করে ভুলেছি।) আজকালকার মতো করে গল্প সাজিয়ে সেদিন নজরুলকেও যদি দুষ্কৃতকারীদের সাথে গুলিবিনিময় এর মাঝখানে পড়ে নিহত হতে হতো- তবু এখনো পৃথিবীর কোণায় কোণায় স্বাধীনতাকামী নিপীড়িত মানুষদের ভিন্ন ভিন্ন ভাষায়.. মনে মনে হলেও নজরুলের কপাট ভাঙার গানটাই গাইতে হতো এবং তারা গাইছেনও। কেননা শিল্প চিরকালের...। সব দেখেশুনে মনে হয়- সব সাহিত্যই যেন কোথায় কারা আগে থেকেই রচনা করে রেখেছে... এসব কপাট ভাঙার গান আগেই যেন কেউ লিখে কোথাও ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। সেগুলো পেড়ে আনাই যেন নজরুলদের কাজ!
মনে হয় শিল্প হচ্ছে- যা কিছু সত্য কিন্তু সচরাচর নয় তার ওপরে একজন চক্ষুষ্মানের দৃষ্টিপাতেরই বিক্রিয়া।
যদিও পরিস্থিতি এবং দৃষ্টিশক্তি... কোনোটাই দর্শকের নিজের সৃষ্টি করা নয়। বিশ্বাসীরা খেয়াল করলেই দেখতে পারেন- কোনো বই বা খাতা হাতে না দিয়েই কিন্তু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামকে বলা হয়েছিল ..‘পড়’। কি দেখে পড়বার এই আহ্বান? তাকে কেন বলা হলো না যে, ‘বল’ বা ‘কুল’। যেটা আগেপরে বহুবার বলা হয়েছে মহাগ্রন্থে। কেন বলা হলো ‘পড়ো’ বা ‘ইকরা’!
কোনো বই তো হাতে নেই... না কোনো পৃষ্ঠা ...! তবে কি হৃদয়ের দিকে দৃকপাত করে সেখানে যা লেখা আছে তাই পড়তে বলা হলো! চিরকালের মনুষ্য হৃদয়ে লেখা চিরকালের কুরআন..
চিরকালের সাহিত্য!
খেয়াল করুন- এখনই যে কবিতাটা আপনি লিখলেন- সেটা কেমন করে যেন বহুকাল ধরে আপনার হৃদয়ে লেখা ছিল। আরো আছে... যেগুলো আপনি এখনো লেখেননি। এটাই মনে হয় সত্যি। চলুন লিখতে যাই, - তার আগে মনে করে নিই কাহলিল জিবরানের সেই অমর কথাগুলো... শতবর্ষের বেদনা যখন অব্যক্ততার ভারে পাষাণ হয়ে ওঠে পৃথিবীতে একজন কবিকে অবতরণ করানোর আদেশ হয় মহাকাশে।
বুঝে নিন কবির দায়িত্ব কতখানি এবং কবিতা কি।
গদ্যপ্রসঙ্গে লেখকের যেটা করবার থাকে সেটা হলো- প্রকৃত অনুভবকে প্রকাশে অক্ষম ভাষাকে ব্যবহার করেই মূল অনুভূতির নিকটবর্তী হওয়ার চেষ্টা করা। যাদের জন্য তিনি লিখছেন তাদের জন্য সহজপাচ্য হয় এমন একটা শৈলীকে উন্নত এবং সুচারু করে তোলা। নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে সচেতন থাকা, ভাষার যে ধরনটার ওপর ভর করে বহুদূর যেতে পারা সম্ভব সেই ধরনটা নির্ধারণ করা একজন লেখকের সামনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। দেখুন, নৌকা ডুবে যাবার একটা ঘটনা একজন লেখক বহুভাবে বয়ান করতে সক্ষম। মনে করুন ধরনগুলো এমন ..
এক. তরণীটি দুলিতে দুলিতে চলিতে চলিতে নিতান্ত হঠাৎই অস্তমিত সূর্যের ন্যায় জলমধ্যে অন্তর্হিত হইল।
দুই. নৌকাখানা বালিকাদের কিত্ কিত্ খেলার ছন্দে-বন্দে চলতে চলতে হঠাৎই কিসের ধাক্কায় তা কে জানে! ডুবে গেল।
তিন. নাওখান দুইলে দুইলে চলতি চলতি বলা কওয়া নেই ... ফুচ্চুৎ করে তলায়ে গেল।
এই তিন ধরনের বয়ান বা বাক্যগঠনই আলাদারকম করে তিন ধরনের পাঠককে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম। তিনটি ধরনই ভালো লেগেছে এটা বলতে না দিয়ে যেকোনো একটা নির্দিষ্ট ধরনকে বেছে নিতে বাধ্য করা হলে- খুব সহজেই পাঠককে তিন ভাগে ভাগ করে ফেলা যাবে। তার মানে, আপনি যেভাবেই লেখেন না কেন তার জন্য একটা পাঠক শ্রেণী তৈরি হয়েই আছে। এখানে এখন লেখকের সেই উপযুক্ততার প্রশ্নটাই প্রধান হয়ে ওঠে.. যে তিনি তার জন্য লাগসই ধরনটা বিবেচনা করে নিতে পারেন কিনা। আমি নিজে জানি- এক নম্বর ধরনটা বেছে নিলে আমি একটা গল্পের শেষ মাথায় পৌঁছুতে পারব না। যেটা শওকত আলী স্যার পারবেন।
লেখক যখন হবেনই ঘাবড়ে গিয়ে কি লাভ। আসল সত্যি কথাটা তো মার্কেজ বলেই গিয়েছেন- ‘পৃথিবীতে লেখালেখিই একমাত্র কাজ- যেটা আপনি যত করবেন সেটা আপনার জন্য তত কঠিন হয়ে উঠবে।’
আমরা তো অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে লিখছি, কই! এমন একটা লাইন তো মার্কেজ বাদে আর কারো কলম থেকে বেরোলো না- মার্কেজের থেকে বেশি পড়েছেন দুনিয়ায় এমন বহু লোক রয়েছেন, তবে তারা কেউই মার্কেজ নন। গদ্য লেখকরা এমন এক ধরনের স্মার্ট হয়ে থাকেন যেটা চেষ্টা করে হওয়া যায় না। আর মহান কবিরা তো- উড়ে বেড়ানো বোধের সংকলক।
এখন ভাবা দরকার- প্রকৃত বিষয়টা কী এমন, যে- অন্য কেউ একজন তার বক্তব্য সমূহকে আমাদেরকে দিয়ে বলিয়ে নিতে চাচ্ছেন... আর আমরা লিখছি- হায়রে বুড়ি হইলাম তোর কারণে! হোক না... কাটা পড়া জটায়ু পাখার একটা পালক আমাদের কলম হয়ে যাক। আমরা যেন আনন্দ অন্বেষণরত বেদনাগুলো লিখে ফেলতে পারি।