বাবর ৫৬, আফ্রিদি ১০ : পাকিস্তানি ক্রিকেটাদের জার্সির পেছনের গল্পটা জানেন?
বাবর ৫৬, আফ্রিদি ১০ : পাকিস্তানি ক্রিকেটাদের জার্সির পেছনের গল্পটা জানেন? - ছবি সংগৃহীত
নম্বর দিয়ে যায় চেনা। হ্যাঁ, খেলার জগতে এই প্রবাদটা সকলেরই জানা। যেমন পেলে, ম্যারাডোনা, মেসি মানেই নম্বর ‘টেন’ (১০), আবার সিআর সেভেন মানেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এমনভাবে সব খেলার খেলোয়াড়দের সাথে নম্বরটা যুক্ত হয়ে গেছে। ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটেও এই ছবিটা দেখা যায়। যেমন ভারতীয় ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকারের জার্সি নম্বর ছিল ১০। আবার রোহিত শর্মা তো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন তার পছন্দের নম্বর ‘৪৫’-এর গল্প। ধোনির জার্সি নম্বর ৭ সম্পর্কে তো প্রায় সকলেই জানেন।
এবার পাকিস্তান দলের ক্রিকেটারদের জার্সির পেছনের গল্পটা তুলে ধরল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অফিসিয়াল পেজে বাবর আজম থেকে শোয়েব মালিক ও রিজওয়ান, আফ্রিদিরা জানালেন তাদের জার্সির নম্বরের পিছনের গল্প। বাবর প্রকাশ করেছেন যে তাকে প্রাথমিকভাবে ৩৩ এবং ৫৬ নম্বর থেকে বেছে নেয়ার বিকল্প দেয়া হয়েছিল। তিনি ৫৬ নম্বর বাছাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। চ্যাম্পিয়ন ওপেনার তার শার্ট নম্বর নিয়ে গর্বিত।
বাবর বলেছেন : ‘সবাই জানে আমার শার্ট নম্বর ৫৬। এর পিছনে কোনো বিশেষ কারণ নেই। প্রাথমিকভাবে, তারা আমাকে ৩৩ এবং ৫৬ থেকে বেছে নেয়ার বিকল্প দিয়েছিল। আমি ৫৬ বেছে নিয়েছিলাম। তারপর থেকে আমি এটি চালিয়ে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে, শার্ট নম্বরটি ছিল না। আমার কাছে কোনো ব্যাপার না কিন্তু এখন এটা আমার যাত্রার একটি অংশ হয়ে গেছে। আমি সংখ্যাটিকে মূল্য দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা করি এবং আমি এতে সত্যিই গর্বিত বোধ করি।’
শাহিন আফ্রিদি জানিয়েছেন তিনি কিভাবে বোর্ডের থেকে তার প্রিয় ১০ নম্বরটা চেয়ে নিয়েছিলেন। আফ্রিদি জানান, ‘আমি ছোট থেকেই শহিদ আফ্রিদির ভক্ত ছিলাম। ছোট থেকেই ভাবতাম আফ্রিদির ১০ নম্বর জার্সিটা গায়ে তুলব। প্রথমে আমায় ৪০ নম্বর জার্সি দেয়া হয়। পরে শহিদ আফ্রিদি খেলা ছাড়ার পরে পিসিবিকে বলেন, তার থেকে পারমিশন নিয়ে আমি ১০ নম্বর জার্সিটা পডরি। এটা পরলে নিজেকে গর্বিত মনে হয়।’
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস