শুভ জন্মদিন লঙ্কা রাজ্যের রাজকুমার

আফফান উসামা | Oct 27, 2021 06:53 am
কুমার সাঙ্গাকারা

কুমার সাঙ্গাকারা - ছবি : সংগৃহীত

 

ছোট্ট বেলায় নানা ভাইয়ের মুখে নানান হাস্য-রস আর মজার সব গল্প শুনতাম। আরেকটু বড় হলে গল্পের আসর বসত ছেলে-বুড়ো সবে মিলে। অতঃপর পড়তে শেখার পর কত যে গল্পের বই পড়েছি তার ইয়ত্তা নেই। তার বেশির ভাগ জুড়েই থাকত রূপকথার গল্প। আর রূপকথার গল্প কি কভুও রাজকুমার ছাড়া পূর্ণতা পায়?

রাজকুমারই তো গল্পের মূল চরিত্র। অসম্ভবকে সম্ভব করে, অসাধ্য সাধন করে যে রাজকুমার তার রাজকুমারীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। কখনো ডাকাত দল, কখনো বা প্রতিপক্ষ সেনাদল আবার কখনো বা বড় বড় দানব-রাক্ষস বা পেত্নী-ভূতের হাত থেকে গল্পের রাজকুমারী চরিত্রকে অপার সাহসিকতা আর বীরত্বে উদ্ধার করা মানুষটিই হলো রাজকুমার।

সেই রূপকথার রাজকুমারের গল্প শুনে কুমার শব্দটায় আকৃষ্টতা তখন হতেই। তাই যখন ক্রিকেট বোঝার আগেই লঙ্কা দেশের কুমারের নাম শুনি, তখন না বুঝেই তার প্রতি সমর্থনটা আটকে যায়। আবদ্ধ হয়ে যাই অজানা এক মায়ায়। তার নামটা শোনা মাত্রই রূপকথার রাজকুমারদের বীরত্বগাঁথা গল্পগুলো চোখে ভাসত। কুমার সাঙ্গাকারাই আমার কাছে রূপকথার সেই সাহসী চরিত্র।

তবে যখন ক্রিকেট বুঝলাম, পূর্ণ হলো বাইশ গজের ষোলকলা, চিনলাম আমার রাজকুমার চরিত্রকে তখন মোটেও অবাক হইনি। মন বলল, আমি ভুল মানুষকে রাজকুমার চরিত্রে রূপান্তরিত করিনি। আমার রাজকুমার হয়তো তরবারি হাতে যুদ্ধে নামে না, কিন্তু ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষকে গুড়িয়ে দেয়। হয়তো ডাকাত দলের সাথে লড়াই করে না, কিন্তু লঙ্কা দেশের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে যায়। হয়তো ভূত প্রেত বা দৈত্য দানব বধ করে রাজকুমারীকে উদ্ধার করে না, কিন্তু ২২ গজের রাঘববোয়ালদের দম্ভ চুর্ণ বিচু্র্ণ করে ঠিকই ট্রফিটা দখলে নেয়।

আমার রাজকুমার হয়তো স্বীয় সৌন্দর্যে রাজকন্যারদের মোহিত করে না, কিন্তু ব্যাট হাতে সব মোনালিসা এঁকে মুগ্ধ করে গোটা বিশ্বকে। হয়তো জাদুকরের অশুভ শক্তি রুখে দিতে পারে না, কিন্তু পারে জাদুকরদের ছোঁড়া মায়াবী ঘূর্ণি বা উল্কা ভেগে ছুটে আসা অগ্নি গোলকের সম্মুখে চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে। হয়তো বাঘের শিরচ্ছেদ করতে পারে না, কিন্তু পারে বাঘা বোলারদের উড়িয়ে সীমানার ওপারে ফেলতে।

আজ আমার ছোট্ট বেলার রাজকুমার চরিত্রে থাকা কুমার সাঙ্গাকারার ৪৪তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন রাজকুমার।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us