আফ্রিকায় ইসরাইলের প্রক্সি ওয়ার

জাহিদ জাওয়াদ | Oct 08, 2021 08:17 am
আফ্রিকায় ইসরাইলের প্রক্সি ওয়ার

আফ্রিকায় ইসরাইলের প্রক্সি ওয়ার - ছবি : সংগৃহীত

 

হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, গণহত্যা, জনবসতি পোড়ানো- ক্যামেরুনে এসব কিছুর সাথে জড়িত পৃথিবীর অন্যতম ভয়ঙ্কর কমান্ডো সেনা ইউনিট 'বিআইআর'। এরা দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট বোলবিয়ার সরাসরি নির্দেশে পরিচালিত হয়।

অভিযোগ রয়েছে, নব্বই দশকের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট এই বাহিনী গঠনের নির্দেশ দেন। তবে এদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে না দিয়ে সাবেক ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তাদের দেয়া হয়।

বলা হয়ে থাকে যে তারা হুবহু ইসরাইলি সামরিক একাডেমির সিলেবাস অনুসরণ করে এই বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহসহ পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে এবং এটাকে বিশ্বের ভয়ংকরতম নৃশংস বাহিনীতে পরিণত করে।

অভিযোগ রয়েছে, ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তাদের মার্সেনারীদের তৎপরতা শুধু ক্যামেরুনেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং অন্ধকার আফ্রিকা মহাদেশের বেশির ভাগ দেশেই তাদের তৎপরতা বিস্তৃত। সেখানে ইসরাইলিরা ধারাবাহিক প্রোগ্রাম করে থাকে। এই মার্সেনারি প্রোগ্রাম আফ্রিকায় তাদের স্পর্শকাতর প্রকল্পের অংশ।

আফ্রিকা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

ইসরাইল একটি বিরল কাঠামো। এরা পৃথিবীর সংঘাতপূর্ণ এলাকার একটি অংশ অবৈধভাবে দখল করেছে যেটি তাদের শত্রুতে ভরা। অনেকটা মাইনফিল্ডের থাকার মতো ব্যাপার, মানুষ যেখান থেকে প্রতি মুহূর্তে যেকোনো মূল্যে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে থাকে।

চল্লিশের দশকের শেষে তথাকথিত 'ইসরাইল রাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়ার পরপরই এর বিরুদ্ধে প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের সূচনা হয়।

রাষ্ট্রের বৈধতালাভ ও প্রতিবেশী আরবদের সাথে সম্ভাব্য যুদ্ধ থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইসরাইল আফ্রিকার দিকে মনোযোগ দিয়েছে। কারণ তারা ছিল আদর্শ বিকল্প, ও সম্পদের কাঙ্গাল।

পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা ও কৃষি প্রযুক্তির খুবই প্রয়োজন আর এ সকল ক্ষেত্রে ইসরাইলের দক্ষতার কোনো তুলনা নেই।

ঘানা : ইসরাইলের প্রথম শিকার

ইসরাইলের সাথে আফ্রিকার সম্পর্কের সূচনা হয় ঘানার সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে। দেশটির সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেয় অবসরপ্রাপ্ত ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তারা। সেনা ও বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য তারা সেখানে দুটি মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে। এটা ছিল তাদের প্রথম ধাপ।
ওই সময় আফ্রিকা মহাদেশ দুটি উপনিবেশিক শক্তির মোকাবেলা করছিল একটি হলো গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স।

আফ্রিকায় প্রত্যক্ষ উপনিবেশবাদের শেষ বছরগুলোতে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর উইংগুলো শূন্যস্থান পূরণের লক্ষ্যে সেখানে তৎপরতা শুরু করল।

এর মাধ্যমে তারা এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করতে লাগলো। মার্সেনারি গঠন, সম্পদ লুণ্ঠনের পাশাপাশি এই দেশগুলো স্বাধীনতা অর্জনের পর যেন আরব বিশ্বের-বিশেষত মিসরের-সাথে গভীর-শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারে তার নিশ্চয়তা।

আফ্রিকায় ইসরাইলি তৎপরতা দু'ভাগে ভাগ করা যায়। ১. আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক। এর এর উদ্দেশ্য হলো জাতিসঙ্ঘে যেকোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ইসরাইলের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা।

২.পর্দার আড়ালে থেকে গোপন গোয়েন্দা তৎপরতা। কালোবাজারে অস্ত্র বিক্রি, মিলিশিয়া গঠন ও তাবেদার একনায়ক বসানো ও তাকে রক্ষা করা।

এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তাৎক্ষণিকভাবে দক্ষিণ সুদানকে সাহায্য করার জন্য একটি দল রওনা হয়। উদ্দেশ্য ছিল সুদান ও মিসরের স্থিতিশীলতা নষ্ট করা।আরো ভয়াবহ পদক্ষেপ হল সম্প্রতি ইথিওপিয়াকে সহায়তা করা।যাতে নীলনদের পানিইস্যুতে মিসরের উপর চাপ প্রয়োগ করা যায়।

কিন্তু আরবদের সাথে শান্তিচুক্তির পর ইসরাইল এখন ধীরে ধীরে আফ্রিকা থেকে সৈন্য অপসারণ করছে।তবে এরপরও সেখানে গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক সক্রিয় আছে যেটা সাবেক ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করছে।

তো এ সকল দুর্বল দেশ- যেগুলো নিজ ইচ্ছায় স্বাধীনতা লাভ করেছে সেগুলো প্রাকৃতিক সম্পদ ও সম্ভাবনায় ভরপুর।

এই প্রেক্ষাপটে অনেকেই প্রাইভেট নিরাপত্তা বাহিনী ও বিশেষ ফোর্স গঠনের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন। আর এই সকল প্রাইভেট বাহিনীই হলো ইসরাইলের গোপন হাতিয়ার যার মাধ্যমে আফ্রিকার সাথে পুরোনো সম্পর্কটি পুনরায় জোরদার করছে।

সাবেক ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরাইল আফ্রিকায় প্রত্যাবর্তন করছে এবং আফ্রিকাও ইসরাইলের দিকে প্রত্যাবর্তন করছে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত এই সম্পর্কের খেসারত দিতে হচ্ছে পুরো আফ্রিকা মহাদেশকে, রক্তপাত ও লাগাতার গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়ে।

আশির দশকের শুরুতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্রাহাম আভি শিভান আফ্রিকায় আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি আইডিএফ তথা ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সের কমান্ডো ইউনিটের অধিনায়ক ছিলেন বেশ কয়েক বছর। তিনি ক্যামেরুনে মিলিটারি অ্যাটাশে হিসেবে যোগদান করেন।

নব্বইয়ের দশকের শেষে অবসরে যাওয়ার পর ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের প্রশিক্ষণ ও কমান্ডো ইউনিট গঠন, প্রশিক্ষণ ও তাদের অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্ব পান। এই বাহিনীর কার্যক্রম এর কিছুটা বিবরণ আমরা শুরুতেই পড়েছি।

এরা ইসরাইলি মিলিটারি একাডেমির সিলেবাস অনুসারে প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকে। এদের বিরুদ্ধে পশ্চিম ও দক্ষিণ ক্যামেরুনে পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী সহিংসতা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। যেগুলো নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার ভুরি ভুরি রিপোর্ট রয়েছে। নির্মম নির্যাতন, হত্যা, বসতিতে অগ্নিসংযোগ, শহরের অধিবাসীদের উৎখাত, বিচ্ছিন্নতাবাদী ক্যামেরুনীয়দের এলাকা আ্যঙলোতে নির্মম গণহত্যা।

তবে আফ্রিকায় গৃহযুদ্ধের ময়দানে তারাই একমাত্র খেলোয়াড় নয়। বরং সেনা প্রশিক্ষণের নামে ইসরাইল যে সকল দেশের সাথেই আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক জোরদার করেছে সে সকল দেশে 'বিআইআর-এর মতো আরো একাধিক দৃষ্টান্ত লক্ষ্য করা যায়।

১৯৮৭ সালে টোগোর প্রেসিডেন্ট তুমুল জনরোষের মুখে পড়েন। তিনি ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন।

সব স্বৈরশাসকরা যেহেতু একই পলিসি অনুসরণ করে তাই কেনিয়া, সেন্ট্রাল রিপাবলিক আফ্রিকা, গণতান্ত্রিক কঙ্গো, ইথিওপিয়া সবাই এই দরবারে ভিড় করতে থাকে। এভাবেই নব্বই দশকের শুরুতে ৪২টি আফ্রিকান দেশের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।

একুশ শতকের শুরুতে আফ্রিকায় অবৈধ হীরা ও অস্ত্র ব্যবসা থেকে বানের পানির মতো কাঁচা টাকা তেলআবিবকে আফ্রিকায় পুনরায় হস্তক্ষেপ করতে আগ্রহী করে তোলে।

এর পাশাপাশি একের পর এক কেলেংকারি ফাঁস হওয়া শুরু হয়। এর মধ্যে ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্সের সাবেক জেনারেল ইসরাইল জেফের কেলেংকারিটি ছিল সবচেয়ে প্রসিদ্ধ।

তিনি ২০০৬ সালে সেনাবাহিনী ছাড়ার পর একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন, যেটা একের পর এক নিরাপত্তা চুক্তি করে বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

এই কেলেংকারর ঘটনাটি ছিল সুদানে,জেফ দক্ষিণ সুদানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর সাথে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরবরাহের চুক্তি করে।

ঠিক একই সময়ে জেফ ইসরাইল আফ্রিকায় তার ভাড়াটে সৈন্যদের মাধ্যমে সুদানের তেলকূপগুলোতে সিরিজ হামলা করার পরিকল্পনা করে। তার লক্ষ্য ছিল সেখানে কৃত্রিম নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টি করা, যার সমাধান কেবল তার বিশেষ বাহিনীর মাধ্যমেই করা সম্ভব।

ইয়ায়ির ক্লাইন নামক আরেক ইসরাইলি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে সিয়েরালিওনে। ইসরাইলি ডিফেন্স ফোর্স থেকে অবসর গ্রহণের পর একটি প্রাইভেট মার্সেনারি ফোর্স গঠন করেন।

সিয়েরালিওন সরকার খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের অনুমতির বিনিময়ে সেনাবাহিনীর কমান্ডো ইউনিটের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের জন্য তাদের চুক্তি করে। এটি ছিল তাদের পক্ষে খুবই লাভবান চুক্তি। কিন্তু ইয়ায়ির এতেও সন্তুষ্ট হলেন না।

সরকারের সাথে কাজ করা সত্ত্বেও তিনি গোপনে সরকারবিরোধী বিদ্রোহী মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ করতে লাগলেন।

ফলে তাকে সিয়েরালিওনের কারাগারে ১৬ মাস জেল খাটতে হয়। যদিও সরকার দেশের বাইরে তাদের অপারেটিভদের কার্যক্রমের দায়ভার নেয় না, তবুও ইসরাইলি সরকার তার কারামুক্তির জন্য অনেক তদবির করে।

এখানে আছে আরেক কাহিনী।মোসাদের সাবেক কর্মকর্তা, ডেভিড কামহি বলেন,
'লেবাননের এক নেতা জামিল বীর আমাকে বলল, কেউ কেউ বলে থাকে ইসরাইল তো আমেরিকার কলোনি বা উপনিবেশ। এটা খুবই হালকা কথা। বরং আসলে আমেরিকা-ইসরাইলের উপনিবেশ।'

কথাগুলো ঠাট্টাচ্ছলে বলা হলেও আফ্রিকার তৎকালীন কিছু শাসক এটিকে সিরিয়াসভাবে গ্রহণ করে।যেমনিভাবে সম্প্রতি কিছু আরব শাসকও বিষয়টি উপলব্ধি করে আমেরিকাকে সন্তুষ্ট করতে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী হয়েছে।

ঠিক এই কাজটিই করেছিলেন জায়ারের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাপুতো সিসিকো। তিনি কঠোর হস্তে দমন পীড়ন চালিয়ে দেশ শাসন শুরু করলেন। বিদেশী ব্যাংকে গচ্ছিত ছিল তার কোটি কোটি ডলার। অথচ তার জনগণ অন্তহীন দারিদ্রে জর্জরিত ছিল।

এর ফলে একপর্যায়ে আমেরিকা তার উপর চাপ প্রয়োগ করে এবং সাহায্য বন্ধের হুমকি দেয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট মাপুতো যিনি গত সত্তরের দশকে ইসরাইলি মার্সেনারিদের নিয়োগ দিয়েছিলেন তার বিশেষ নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের জন্য তিনি তাকে সহায়তার জন্য ইসরাইলের হস্তক্ষেপ কামনা করলেন।

এটা ছিল ইসরাইলের 'সাধারণ কূটনৈতিক সম্পর্ক' প্রকল্পের একটি এসাইনমেন্ট।এর আওতায় আফ্রিকায় স্বৈরশাসকদের সাহায্য করা হতো। সেমতে জেনারেল মাপুতোর আহ্বানে সাড়া দেয়া হলো।

আফ্রিকায় ইসরাইলি তৎপরতা এখানেই সীমাবদ্ধ নয় বরং অভিযোগ রয়েছে যে ষাটের দশকে সিআই-এর অর্থায়নে ইসরাইল আফ্রিকায় বহু গোপন অপারেশন চালিয়েছে, যার বার্ষিক বাজেট ছিল ২০ মিলিয়ন ডলার।

আর এই অপারেশনের একটি অংশ ছিল 'অন্ধকার মহাদেশের তারকা' নামক মিলিশিয়া গঠন, যার প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের তত্ত্বাবধানে ছিল ইসরাইলি মার্সেনারিরা।

পাশাপাশি তারা যেন দেশটির ক্ষমতা দখল করতে পারে সে পথও সুগম করে দিয়েছে ইসরাইল।

পূর্বে যা উল্লেখ করা হলো ইসরাইল এগুলো বেমালুম অস্বীকার করে। ইসরাইলি নেতৃবৃন্দের দাবি, কোনো ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তার আফ্রিকান বাহিনীতে কাজ করতে সাংবিধানিক কোনো বাধা নেই, যদি সে ইসরাইলের গোপন সামরিক তথ্য ফাঁস না করে।

সাধারণত ইসরাইলের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র উভয় মন্ত্রণালয় মার্সেনারিদের 'লোন উলফ' বা একক যোদ্ধা আখ্যা দিয়ে থাকে। কিন্তু আফ্রিকায় তাদের এই সকল সাবেক সেনা কর্মকর্তার পরামর্শক ও প্রশিক্ষক হিসেবে গণ্য করে থাকে। যাদের দক্ষতা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সহায়তায় তাদের বাহিনী প্রশিক্ষণের জন্য কাজে লাগানো হয়।

পক্ষান্তরে ইসরাইলি মানবাধিকার কর্মী ইতালি মাক বলেন, ইসরাইলি সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো ইসরাইলির পক্ষেই ভিনদেশী কোনো বাহিনী গঠন বা প্রশিক্ষণ দেয়ার মতো দুঃসাহস করার ক্ষমতা নেই।

ইসরাইলি সরকার তার সামরিক চুক্তিগুলো কখনো প্রকাশ করে না। এগুলো সাবেক সেনা বা দক্ষ বেসামরিক কর্মকর্তাদের ছদ্মপরিচয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যার ফলে বিশ্বব্যাপী স্বৈরশাসক ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সহায়তার অভিযোগ থেকে সহজেই রেহাই পেয়ে ইসরাইলি সরকার।

পাশাপাশি পৃথিবীর স্বৈরশাসিত অঞ্চলগুলো, যেখানে মানবাধিকার নির্মমভাবে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে সেখানে ইসরাইলের আগ্রহ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রশিক্ষণদান, ভাড়াটে যোদ্ধা বা অস্ত্র সরবরাহ ইত্যাদি নানাভাবে ইসরাইল তার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

যদিও ইসরাইলের অভ্যন্তর থেকে সৃষ্ট এই কর্মকাণ্ড কেবল আফ্রিকা মহাদেশেরই লক্ষ লক্ষ বনি আদমের মৃত্যু, দেশান্তর, অনাহার ও সার্বিক দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে। আর যতক্ষণ পর্যন্ত এর উৎপত্তিস্থল সক্রিয় থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই দুর্ভোগের সমাপ্তি ঘটবে না।

এখন পর্যন্ত ইসরাইলের এই অপতৎপরতা রুখে দেবার অথবা দুর্দশাগ্রস্ত জনতার জন্য শান্তির বার্তা আনয়নের কোনো ক্ষমতা কারো আছে বলে দেখা যায়নি।

সূত্র : মাদাইন, আলজাজিরা

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us