ইঞ্জিনিয়ারের ছোট্ট ভুলে ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপে বিরাট বিভ্রাট!
ইঞ্জিনিয়ারের ছোট্ট ভুলে ফেসবুক হোয়াটস অ্যাপে বিরাট বিভ্রাট! - ছবি সংগৃহীত
এক কথায় বলে গোটা বিশ্ব হাঁ হয়ে গিয়েছে। অতীতে বেশ কয়েকবার সমস্যা হয়েছে। কিন্তু প্রায় ছয় ঘন্টা বন্ধ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম- এমনটা কেউই মনে করতে পারছেন না। কেন ঘটল এত বড় বিপর্যয় নিছক ইঞ্জিনিয়ারের ভুল? নাকি প্রযুক্তিগত বিভ্রাট?
ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ফেসবুকের মুখ্য টেকনোলজি অফিসার জন গ্রাহাম কামিং বলছেন, ইন্টারনেট থেকেই ফেসবুকসহ অন্যান্য হ্যান্ডেলগুলো ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিল বিজিপি আপডেটের ঝড়ে।
সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠছে বিজিপি আপডেট কী? বিজিপি সম্পর্কে জানতে গেলে প্রথমে জানতে হবে ডিএনএস কী। খুব সহজে বললে, ডিএনএস হলো ইন্টারনেটের ফোন বুক। ইন্টারনেটে যেকোনো ওয়েব ডোমেইনকে একটি সঠিক আইপি অ্যাড্রেস দিতে কাজে লাগে এই কনভার্টার। সোমবার প্রথমে ডিএনএস এরর দেখা দেয় ফেসবুকে। অর্থাৎ facebook.com প্রোফাইলটি দেখা যাচ্ছিল না। বাইরে থেকে সমস্যাটি আমি খুব বড় মনে হয়নি। কেউ বুঝতে পারেনি, মুহূর্তের মধ্যে ধসে যাবে ফেসবুক বাস্তুতন্ত্র।
ক্রমে দেখা যায় ফেসবুকের ইন্টারনাল অ্যাপ্লিকেশনগুলো এমনকি সংস্থার ইমেইল সিস্টেমও পুরোপুরি ধসে যায়। তখনই বোঝা যায় সমস্যাটি আরো জটিল। সংস্থার ক্যালিফোর্নিয়ার অফিসে কনফারেন্স রুমে ঢুকতে হয় একটি সিকিওরিটি ব্যাজ ব্যাবহার করে। এমনকি এই অফিসে ঢোকা বেরোনোও বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্কিত হতে থাকেন ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ কর্মীরাই।
ক্রমে বিশেষজ্ঞরা চিহ্নিত করেন, সমস্যাটি রয়েছে বর্ডার গেটওয়ে প্রটোকল বা বিজিপিতে। ডিএনএস যদি ইন্টারনেটের ফোনবুক হয়, তবে বুঝতে হবে বিজিপি ইন্টারনেটের ডাক ব্যবস্থা। অর্থাৎ ফেসবুকের ভিতরে যে অজস্র তথ্য চোখের নিমেষে এখান থেকে ওখানে চালান হচ্ছে, এই তথ্য চালানের পথটা তৈরি করে দেয় বিজিপি।
সমস্যাটি চিহ্নিত করার পর, ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টা করে সমস্যার সমাধান করে সংস্থা। তথ্য বলছে, সোমবার সংস্থার তরফে বিজিপি রুটে কিছু বদল আনা হয়েছিল। অর্থাৎ এই বদলেই ধসে যায় ফেসবুকের পরিষেবা। কিন্তু সকালেই কেন রুট বদল করেছিল ফেসবুক? এই নিয়ে সংস্থা এখনো মুখ খোলেননি।
সূত্র : নিউজ ১৮