ইরান কেন আজারবাইজানের বিপক্ষে?
ইরান কেন আজারবাইজানের বিপক্ষে? - ছবি : সংগৃহীত
গত বছর নাগোর্নো-কারাবাখের দখল নিয়ে আবারো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। বিবদমান দুই রাষ্ট্রের বাইরে এই যুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে ছিল রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান। তুরস্ক আগে থেকেই আজারবাইজানের পক্ষে ছিল এবং যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তারা বাকুকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছে। মূলত তুরস্কের ড্রোনই যুদ্ধের হিসাবনিকেশ বদলে দিয়েছে। তুর্কি অস্ত্রের সহায়তায় আর্মেনিয়াকে পরাজিত করে আজারবাইজান।
এই যুদ্ধে আর্মেনিয়ার পক্ষে ছিল রাশিয়া ও ইরান। যদিও আজারবাইজান একটি শিয়া অধ্যুষিত রাষ্ট্র। সম্প্রতি ইরান ও আজারবাইজানের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সীমান্তে সেনা সমাবেশ বৃদ্ধি করেছে ইরান।
আজারবাইজান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিয়া প্রধান রাষ্ট্র। ইরানের পর সর্বোচ্চ সংখ্যক শিয়া বসবাস করে আজারবাইজানে। তাদের শুধু শিয়া বললে ভুল হবে। ইরানের মতোই বারো ইমাম মতবাদে বিশ্বাসী ইসনা আশারিয়া শিয়া। কিন্তু এরপরও আজারবাইজানের সাথে ইরানের তেমন সদ্ভাব নেই।
কিন্তু কেন শিয়া প্রধান আজারবাইজানের সাথে ইরানের বৈরিতা? যেখানে তেহরান বিশ্বের নানা প্রান্তের শিয়াদের রক্ষার জন্য ত্রাতা হিসেবে কাজ করছে। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। একদিকে ইরানের যেমন রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, সেই সাথে আর্মেনিয়ার সাথেও তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রয়েছে। তবে এই দুটি কারণকে গৌণ বলা যায়। মুখ্য কারণের মধ্যে রয়েছে ইরানে ক্রমবর্ধমান তুর্কি জাতীয়বাদের উন্মেষ এবং ইজরাইলের সাথে আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক৷
আজারবাইজান যেভাবে বিভক্ত হয়েছিল
বর্তমান সমস্যা নিয়ে আলোচনার আগে ইরান ও আজারবাইজানের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জেনে নেয়া দরকার। আজারবাইজান মূলত দুটি অংশে বিভক্ত হয়েছে। একটি অংশ হচ্ছে উত্তর আজারবাইজান যেটি বর্তমানে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। আর দক্ষিণ আজারবাইজান হচ্ছে ইরানের অংশ।
সাসানীয় সাম্রাজ্য (৩য়-৬ষ্ঠ শতক) এবং ইসলামী খেলাফতের (৬ষ্ঠ-৯ম শতক) শাসনকাল থেকে আজারবাইজান একত্রিত ছিল। এমনকি সাফাভিদের শাসনকাল এবং এরপর নাদির শাহের আমলেও আজারবাইজান একত্রিত ছিল। কিন্তু নাদির শাহের মৃত্যুর পর প্রায় ২০টি পূর্ণ স্বাধীন ও আধা-স্বাধীন রাজ্যে বিভক্ত হয়ে পড়ে। যেগুলো মূলত খানা হিসেবে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে অষ্টাদশ শতকের শেষের দিক এবং ঊনবিংশ শতকের শুরুর দিকে দক্ষিণ ককেশাসে রাশিয়া আক্রমণ চালায়। পারস্যে তখন কাজারদের শাসন।
আজারবাইজানকে বিভক্ত করে যেসব রাজ্য সৃষ্টি হয়েছে সেসবের দখল নেওয়ার জন্য ১৮০৪-১৮১৩ সাল এবং ১৮২৬-১৮২৮ সালে দুবার যুদ্ধ হয়। দুটি যুদ্ধেই রুশরা বিজয়ী হয়। যার ফলে কাজাররা তাদের সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হয়।
গুলুস্তান চুক্তি অনুসারে গঞ্জা, কারাবাখ, শেকি, শিরবান, দারবেন্দ, কুবা, বাকু ও তালিশ খানা রাশিয়ার অধীনে চলে যায়। পাশাপাশি এসব অঞ্চলকে রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি বাধ্য হয় কাজাররা। বিভক্তির ফলে আজারবাইজান উত্তর ও দক্ষিণ দুটি অংশে ভেঙে যায়। উত্তর আজারবাইজান রাশিয়ার অধীন থেকে মুক্ত হওয়ার পথ খুঁজলেও দক্ষিণ আজারবাইজান থেকে যায় বর্তমান ইরানের সাথে।
১৯১৭ সালে রাশিয়ার জারদের পতনের পর ১৯১৮ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র আজারবাইজান ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকের আত্মপ্রকাশ হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদিও ওই রাষ্ট্রকে ডি-ফ্যাক্টো হিসেবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু আজারবাইজানের স্বাধীনতা মাত্র দুই বছর স্থায়ী হয়। ১৯২০ সালের জানুয়ারিতে সেখানে সোভিয়েত শাসন শুরু হয়। সর্বশেষ সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯১ সালের ১৮ অক্টোবর স্বাধীনতা পায় উত্তর আজারবাইজান তথা বর্তমান আজারবাইজান।
অপরদিকে দক্ষিণ আজারবাইজানও স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা চালাতে থাকে। ১৯০৫-১১ সাল পর্যন্ত ইরানের বিপ্লবের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই অঞ্চল। এই সময়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবি তোলে দক্ষিণ আজারবাইজানের সাধারণ জনগণ। ১৯২০ সালের ৭ এপ্রিল এক বিদ্রোহের মাধ্যমে সেখানে ক্ষমতায় বসেন শেখ মোহাম্মদ খিয়াবানি। এরপর ২৩ জুন নতুন জাতীয় দরকার গঠন করা হয়।
কিন্তু ইরানের কেন্দ্রে যারা ছিলেন তারা একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় সরকারকে উৎখাত করে এবং খিয়াবানিকে হত্যা করা হয়। এরপর পাহলভিরা ক্ষমতায় বসলে দক্ষিণ আজারবাইজানের আজারিরা বৈষম্যের শিকার হতে থাকেন। ১৯৭৯ সালে শাহদের পতন ঘটলেও আজারিরা তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা আর পায়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে আবার তাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
ইরানের তুর্কি জাতীয়তাবাদের সমস্যা
আজারবাইজানের সাথে ইরানের যে রাজনৈতিক সমস্যা এর পেছনের বড় কারণ দেশটিতে ক্রমবর্ধমান তুর্কি জাতীয়তাবাদ। ইরানে বসবাসরত তুর্কি বংশোদ্ভূত আজারিদের মধ্যে তুর্কি জাতীয়তাবাদের উত্থান আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এই বিষয়টিকে মারাত্মক রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখছে ইরান।
দক্ষিণ ও উত্তর আজারবাইজানের সাধারণ মানুষের মধ্যে ভাষা ও সংস্কৃতিগত যে মেলবন্ধন ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে তা তেহরানের জন্য বড় এক সমস্যা। মূলত ওই কারণেই বাকুর সাথে তারা সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারছে না।
ইরানের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ তুর্কি আজারি। কিছু রিপোর্ট অনুসারে ইরানের দক্ষিণ আজারবাইজানে প্রায় ২০ মিলিয়ন আজারি বসবাস করেন, যা ইরানের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ। এদের অনেকেই ইরানের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামরিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে উচ্চ পদে আসীন।
ইরানের মূল আদর্শ হচ্ছে পারসিক জাতীয়তাবাদ। এর মাধ্যমে তারা দেশটির অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকার খর্ব করে থাকে। যার মধ্যে ইরানের আজারিরাও রয়েছেন। ২০০৬ সালে ইরানের একটি রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত পত্রিকায় আজারিদের তেলাপোকার সাথে তুলনা করে একটি কার্টুন প্রকাশ করা হয়। তখন দেশটির আজারিরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং সরকারকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায়। ইরানের সরকার তখন ক্ষমা না চেয়ে উল্টা বিদ্রোহীদের শক্ত হাতে দমন করতে গিয়ে ১০ জন আজারিকে হত্যা করে।
এদিকে হাজার হাজার ইরানি আজারি খুব সহজেই কাজ ও বিনোদনের জন্য তুরস্ক যেতে পারেন। এর মাধ্যমে আজারি ও অন্যান্য তুর্কি জনগোষ্ঠীর মধ্যে তুর্কি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটছে। ইরানি আজারিদের চোখে ইরানের চেয়ে তুরস্ক অনেক বেশি আধুনিক, মুক্ত ও উন্নত। ইরানের দক্ষিণ আজারবাইজানে তুরস্কের বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেলের প্রচারিত অনুষ্ঠান খুবই জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে সেখানকার সাধারণ মানুষ ক্রমেই তুরস্কের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছে। ফলে ইরানকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে।
সোভিয়েত আমল থেকে উত্তর আজারবাইজান সেক্যুলার। সোভিয়েত-পরবর্তী স্বাধীন আজারবাইজানে নিজেদের মতাদর্শ রফতানির চেষ্টা চালায় ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান। তারা আজারবাইজানের ইসলামিক দলগুলোকে প্রচুর অর্থায়ন করতে থাকে এবং ইরান সমর্থিত ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে বিভিন্ন মসজিদ পরিচালনা করতে শুরু করে। কিন্তু ইরানের এই পদক্ষেপগুলো আজারবাইজানের সেক্যুলার সমাজ ও সরকার আটকে দেয়। ফলে বাকুর ওপর ইরানের প্রভাব বিস্তার করা এবং দেশটিকে ইসলামীকরণের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ইরানের ঐতিহাসিকভাবে একটি রাজনৈতিক ভীতি হচ্ছে তুর্কি বংশোদ্ভূত আজারিরা দুই আজারবাইজানকে একত্রিত করে 'গ্রেটার আজারবাইজান' গঠন করতে পারে। তাদের এই ভয় অমূলক নয়। আজারবাইজানের জাতীয়তাবাদ ও পররাষ্ট্র নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে 'গ্রেটার আজারবাইজান'। এ কারণেই ইরান আর্মেনিয়াকে সমর্থন করে আজারবাইজানকে দমিয়ে রাখতে চায়।
ইরানি আজারিদের মধ্যে তুর্কি জাতীয়তাবাদের উত্থানের আরেকটি কারণ হচ্ছে তাদের মধ্যে প্রচলিত আজারি ভাষা। এই ভাষাটি তুরস্কের তুর্কি ভাষার কাছাকাছি। এই কারণেও সেখানে তুরস্কের প্রতি দুর্বলতা বাড়ছে। এছাড়া ইরানের তুর্কিরা বিশ্বের অন্যান্য দেশে থাকা জাতি ভাইদের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করছে। যা স্বাভাবিকভাবেই ইরানকে বিচলিত করছে।
ইসরাইলের সাথে আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
ইসরাইলের সাথে আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্বাধীনতার পর থেকেই। ১৯৯২ সালের এপ্রিলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এর এক বছর পরই বাকুতে ইসরাইলের দূতাবাস চালু হয়। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যকার আরও সম্পর্ক গভীর হয়েছে। বাকুর সাথে তেল আবিবের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার পেছনে উভয়ের স্বার্থ জড়িত। আজারবাইজানের দিক থেকে যদি দেখা যায় তাহলে আর্মেনিয়ার সাথে এর আগে যুদ্ধের ফলে তারা নাগোর্নো-কারাবাখের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল। পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল সামরিক শক্তি। এক্ষেত্রে ইসরাইল তাদের জন্য ভালো যোগানদাতা।
ইসরাইলের অস্ত্রের অন্যতম বড় ক্রেতা আজারবাইজান। অস্ত্রের পাশাপাশি ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির ডিফেন্স কোম্পানিগুলো আজারবাইজানের স্পেশাল ফোর্স ও দেহরক্ষীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে, বাকু বিমানবন্দরের সিকিউরিটি সিস্টেম তৈরি করেছে এবং দেশটির সোভিয়েত আমলের অস্ত্রের উন্নতি ঘটিয়েছে।
ইসরাইল থেকে বড় অঙ্কের অস্ত্র কিনে থাকে আজারবাইজান। ২০১২ সালে ইসরাইল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে থেকে প্রায় ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র কিনেছে। ২০১৬ সালে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দেয়া তথ্য অনুসারে যা দাঁড়ায় ৫ বিলিয়ন ডলারে। এই সময় ইসরাইল থেকে কেনা অস্ত্রের মধ্যে ছিল আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যালস ও স্যাটেলাইট সিস্টেম। আর ২০১৭ সালের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট অনুসারে ইসরাইলের কাছে থেকে ১২৭ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনেছে আজারবাইজান।
ইসরাইলের জন্য আজারবাইজানও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ইরানের সাথে দেশটির সম্পর্ক রয়েছে। বাকুর সাথে সুসম্পর্ক থাকায় ইসরাইল খুব সহজেই সেখানে তাদের এজেন্টদের শক্ত ঘাঁটি তৈরি করেছে। ২০১২ সালে ফরেন পলিসির এক রিপোর্ট অনুসারে ইরানে হামলা চালানোর জন্য ইসরাইলকে নিজেদের একাধিক ঘাঁটি ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে আজারবাইজান। যদিও বাকু সেই রিপোর্ট প্রত্যাখান করেছে।
মূলত ইসরাইলের সাথে আজারবাইজানের সম্পর্ক তৈরির পেছনের তুরস্কের হাত রয়েছে। নব্বইয়ের দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় তুরস্ক-ইসরাইল-আজারবাইজান-জর্জিয়া অক্ষ গড়ে তোলা হয়৷ এই জোটের উদ্দেশ্য ছিল সিরিয়া-ইরান-আর্মেনিয়া-রাশিয়া জোটকে প্রতিহত করা। গত এক দশকে ইসরাইল ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হওয়ায় এবং ২০০৮ সালের জর্জিয়া যুদ্ধের পর এই জোট ভেঙে যায়৷ কিন্তু আজারবাইজান ও ইসরাইলের সম্পর্ক তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
আজারবাইজানের সাথে ইসরাইলের সুসম্পর্কের আরেকটি কারণ হচ্ছে তেল ও গ্যাস। আজারবাইজান থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ তেল আমদানি করে ইসরাইল। দুই দেশের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি এর আগে যৌথভাবে তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধান চালিয়েছে। যদিও সেই অনুসন্ধান ব্যর্থ হয়। পরে কাস্পিয়ান সাগরে আজারবাইজান গ্যাসের অনুসন্ধান পাওয়ার পর সেখানে বিনিয়োগ করার ঘোষণা দেয় ইসরাইল।
সবমিলিয়ে ইরানের সাথে আজারবাইজানের বৈরি সম্পর্কের পেছনে অনেক গুরুতর কারণ রয়েছে। প্রথমত, ইরানের বড় একটি ভূখণ্ড হারানোর ভীতি। দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে ইসরাইলের সাথে বাকুর গভীর সম্পর্ক। যা ইরানের সীমান্তকে ঝুকিপূর্ণ করে তুলেছে৷ এছাড়া নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ আজারবাইজানে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।
ফলে বাধ্য হয়েই তাদের শিয়া প্রধান আজারবাইজানকে সমর্থন করে না ইরান। এর পরিবর্তে তারা শত্রুর শত্রুকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছে। এ কারণে তারা খ্রিস্টান-প্রধান আর্মেনিয়াকে সমর্থন করে থাকে।