তুর্কি সামরিক বাহিনীর মানববিহীন স্থলযান ব্যবহার শুরু
মানববিহীন স্থলযান - ছবি সংগৃহীত
তুর্কি সশস্ত্র বাহিনী (টিএসকে) মানববিহীন স্থলযান (ইউজিভি) ব্যবহার শুরু করেছে। বুধবার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্ত্রণালয় বলেছে, 'সব ধরনের অভিযানে এমন সব জায়গা আসে যেখানে সশরীরে পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রবেশ করা করা সম্ভব নয়, সেখানে মানববিহীন স্থলযান ব্যবহার করে কাজ করা সম্ভব। এখন এই সমরযান যুদ্ধে ব্যবহার করা শুরু হলো।
বিবৃতির সাথে সাথে মন্ত্রণালয় তুর্কি প্রস্তুতকারক ‘ইলেক্ট্রোল্যান্ড ডিফেন্স’-এর তৈরি ইউজিভি অ্যাক্রোবের জন্য একটি তথ্যচিত্রলেখও সংযুক্ত করেছে।
তথ্যচিত্রলেখটিতে অ্যাক্রোবের রণকৌশল, উচ্চ বাধা অতিক্রম করা, পানির মধ্য দিয়ে যাওয়া এবং পর্যবেক্ষণের ক্ষমতাকে চিহ্ণিত করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্প বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে।
টিএসকে সিরিয়া ও লিবিয়ায় এবং আজারবাইজানের সেনাবাহিনী নাগোর্নো-কারাবাখে তুর্কি ড্রোন নিয়োগ করার পর তা বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করে, যা সমরাস্ত্রটি আরো বেশি রফতানিকরণ চুক্তির পথ সুগম করে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ইদলিব প্রদেশে সংঘর্ষের সময় বাশার আল-আসাদ সরকারের স্থল বাহিনীর ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল। স্বয়ংকৃত গোলাগুলি ব্যবহারের পাশাপাশি ইউজিভি দেশটির আকাশসীমায় ফ্লাইট পরিচালনাকারী তুর্কি যুদ্ধবিমানের সাথে যৌথভাবে পরিচালিত হয়েছিল।
তুর্কি ইউএভি নাগোর্নো-কারাবাখে আর্মেনিয়ান দখলদার বাহিনীর উপর ব্যাপক আঘাত হানতে পেরেছিল। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা পরে বলেন, বাকুতে দ্রুত বিজয়ের আংশিক কৃতিত্ব তুর্কি এবং ইসরাইলি নির্মিত ড্রোনের ব্যবহার।
বায়রাক্তার টিবি২ ইউক্রেন, কাতার, আজারবাইজান ও পোল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশে বিক্রি করা হয়েছে। মে মাসে প্রথম ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে পোল্যান্ড তুরস্ক থেকে এই ড্রোন সংগ্রহ করে।
সৌদি আরবও তুর্কি ড্রোন কিনতে আগ্রহী ছিল বলে জানা গেছে। লাটভিয়াও ইঙ্গিত দিয়েছে তারা দ্বিতীয় ইইউ এবং ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে তুর্কি ড্রোন অর্জন করতে চায়। আলবেনিয়াও বায়রাকতার টিবি২ কিনতে একটি চুক্তি করতে আগ্রহী।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ