প্রেসিডেন্ট সাইয়েদকে বরখাস্ত করার দাবি
প্রেসিডেন্ট সাইয়েদ - ছবি সংগৃহীত
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ সংলাপের জন্য হাতের কাছে থাকা সব সুযোগ নষ্ট করেছেন এবং সংসদের জন্য তাকে বরখাস্ত করার সময় এসেছে, আল-কুদস আল-আরাবিকে এ কথা বলেন মুভমেন্ট পার্টির মহাসচিব ।
লামিয়া আল-খামারি বলেন, কাইস সাইয়েদ অভ্যুত্থান করার সময় যে সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছেন তাতে তিনি 'যুক্তি ও বিচারবুদ্ধির সব ধরনের সীমাই অতিক্রম করেছেন।'
তিনি ব্যাখ্যা করেন, সাইয়েদের পদক্ষেপের ফলে 'রাষ্ট্রপতির আদেশ সংবিধানের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এবং প্রেসিডেন্টের আদেশে দেশের সংবিধান বাতিল হয়ে গেছে। তাই তাকে অপসারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।'
তিনি আরো বলেন, 'ব্যক্তিগতভাবে আমি সংসদের সভাপতি পদ থেকে রাশেদ ঘানুচির পদত্যাগ এবং তার দলের উপসভাপতির সংসদের নেতৃত্ব গ্রহণকে সমর্থন করি। কারণ এর মধ্য দিয়ে ঘানুচি দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিলেন এবং যারা তাকে চলমান সঙ্কটের অংশ হিসেবে দেখছে তাদের অভিযোগ নাকচ করলেন।'
তিনি বলেন, অতঃপর কাইস সাইয়েদের সংবিধান ও সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান, আইন লঙ্ঘন এবং সাংবিধানিক শপথ লঙ্ঘনের কারণে তাঁর প্রতি আস্থা প্রত্যাহারের জন্য একটি অনুমিত সংসদীয় অধিবেশন আহ্বান করতে হবে। আমি এই অধিবেশন আয়োজনের পক্ষে, কিন্তু ঘানুচি পদত্যাগ করার পর।'
তিনি বরেন, আমি বিশ্বাস করি সাইয়েদের সাথে সংলাপের সময় চলে গেছে। এখন সমাধান হচ্ছে তাকে একঘরে করা, কারণ অভ্যুত্থানের জন্য গত দুই মাসে তিউনিসিয়া, তিউনিসিয়ার অর্থনীতি এবং বিশ্বে তিউনিসিয়ার ভাবমূর্তিকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে।
২৫ জুলাই রাষ্ট্রপতি কাইস সাইয়েদ সংবিধানের ৮০ অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেশিশিকে বরখাস্ত করেন, সংসদের কাজ ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেন, মন্ত্রীদের অনাক্রম্যতা প্রত্যাহার করেন এবং একটি নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত নিজেকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন।
সরকারের অর্থনীতি পরিচালনা এবং করোনাভাইরাস মোকাবেলার সমালোচনা করে তিউনিসিয়ার বেশ কয়েকটি শহরে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরে এই পদক্ষেপ এসেছে। বিক্ষোভকারীরা সংসদ ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।
দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল এই পদক্ষেপকে 'সংবিধানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান' এবং ২০১১ সালের বিপ্লবের সাফল্যের পরিপন্থী বলে সমালোচনা করেছে।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর